আসছে বছরের শুরুতেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে মাহমুদ দিদার পরিচালিত চলচ্চিত্রটি। ২০১৭ সালের ৬ ফেব্রæয়ারি থেকে শুরু হয় চলচ্চিত্রটির শুটিং। নওগঁার সাপাহার ও মানিকগঞ্জে সাকাের্সর বিশাল যজ্ঞে জয়া সেজেছেন সাকার্সকন্যা বিউটি। সম্প্র্রতি শেষ করে চলচ্চিত্রটির শুটিং শেষে এখন সম্পাদনার টেবিলে। এরই মধ্যে সোমবার চলচ্চিত্রটির ডাবিংয়ে অংশ নিলেন জয়া।
ছবিটি প্রসঙ্গে জয়া আহসান বলেন, ‘আমি বলব, এই কাজটি আমার অভিনয় জীবনের খুব রোমাঞ্চকর কাজের একটি। অভিনয়শিল্প আপনাকে এমন কিছু জায়গায় নিয়ে যায়, যেখানে আপনি আগে কোনোদিন যাননি, আবার এমন কিছু চরিত্র প্রদশর্ন করার সুযোগ করে দেয়Ñ যার অভিজ্ঞতাটাও একেবারে নতুন। এবার এমনি একটি ভিন্নধমীর্ চরিত্রে অভিনয় করার সুযোগ এসেছিল; সাকার্স প্রদশর্নকারী সেজে তাও আবার এক জম্পেশ সাকাের্সর স্টেজে! সাকাের্সর এই পুরো অভিজ্ঞতাটাই আমার জন্য সম্পূণর্ নতুন ছিল, সামনে থেকে কখনো দেখার সুযোগ হয়নি বলে।’
সাকার্সকে কেন্দ্র করে এক নারীর টিকে থাকার গল্প ‘বিউটি সাকার্স’। সাকার্স পুড়িয়ে দেয়ার পরও গণমানুষের পক্ষ নিয়ে হুমকির মুখেও একজন নারীর আপন শক্তিতে টিকে থাকার গল্প ফুটে উঠবে চলচ্চিত্রটিতেÑ ঠিক এমনটিই জানায় এই ছবির পরিচালক মাহমুদ দিদার।
ছবিটি নিয়ে নিমার্তা মাহমুদ দিদার বলেন, ‘এটা খুবই চমৎকার এবং উত্তেজনাকর, এক শীতে চলচ্চিত্রটির শুটিং শুরু হয়েছিল, অন্য শীতে ডাবিং চলছে। সিনেমাও শেষের দিকে আছে। আমাদের প্রধানতম অভিনেত্রী জয়া আহসান আমাদের সঙ্গে আছেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘এ মাসের শেষের দিক থেকেই একটা ক্যাম্পেইন প্ল্যানিংয়ে যাব। নতুন বছরে নতুন সম্ভাবনা আকারে ‘বিউটি সাকার্স’ বড় পদার্য় দেখা দেবে।’
উল্লেখ্য, ময়ূরের রঙিন পালকের হ্যাট, মাথায়, ঘাড়ে বসে থাকা পোষা পায়রা নিয়ে ঝলমলে পোশাকের চরিত্রটিতে কোনো ধরনের স্ট্যান্টম্যান ছাড়াই ৬০ ফুট ওপরে দড়ির ওপর হেঁটেছেন জয়া। হাতি, ঘোড়া, ভালুকের সঙ্গেও মিশেছেন স্বাভাবিকভাবেই। অন্যদিকে তারকাবহুল চলচ্চিত্রটিতে জয়া আহসানের বিপরীতে অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস, তৌকীর আহমেদ, এবিএম সুমন। চলচ্চিত্রটির বিশেষ একটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হুমায়ূন সাধু। সরকারি অনুদানের চলচ্চিত্রটির প্রযোজনা সহযোগী হিসেবে আছে ইমপ্রেস টেলিফিল্ম।
