ফুটবল মাঠে হঠাৎ আবেগী শাকিরা

প্রকাশ | ১৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
শাকিরা
ফুটবলের সঙ্গে শাকিরার সম্পকর্টা ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে। সেবার জামাির্নতে অনুষ্ঠিত বিশ্বকাপের সমাপনী অনুষ্ঠানে সংগীত পরিবেশ করেছিলেন তিনি। এরপর ২০১০ দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের থিমসং ‘ওয়াকা, ওয়াকা’ গেয়ে তো পুরো ফুটবল দুনিয়াকেই জয় করে নিয়েছেন। ওই দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপ বেঁধে দিয়েছে তার জীবনের জুটিও। বিশ্বকাপ চলাকালেই প্রেমে পড়েন বাসেের্লানার স্প্যানিশ ডিফেন্ডার জেরাডর্ পিকের। এরপর থেকে নিয়মিতই প্রেমিকের সঙ্গে ফুটবল মাঠে আসেন তিনি। সম্প্রতি পিকের হাত ধরে গ্যালারিতে বসে ম্যাচ উপভোগ করছিলেন শাকিরা। আচমকাই ডাগআউটে নেমে (মাঠের সাইডলাইনের বাইরে) এসে গোল উদযাপন করলেন কলম্বিয়ান এই সংগীতশিল্পী। ডাগআউটের এ প্রান্ত থেকে ওপ্রান্ত পযর্ন্ত দৌড়ে উদযাপন করলেন গোল! একপযাের্য় ঢুকে পড়তে যাচ্ছিলেন মাঠের ভেতরেও। শেষ পযর্ন্ত নিজেকে প্রবোধ দিতে পেরেছেন মাঠে এক পা দেয়ার পর! হঠাৎ শাকিরার এমন আবেগী হয়ে উঠার কারণ কি? প্রেমিক পিকে গোল করলে তো গ্যালারিতে বসেই উদযাপন করেন। এবার কি প্রেমিকের চেয়েও আপন কেউ গোল করেছেন যে, আবেগের স্রোত ডাগআউটেই নামিয়ে আনল তাকে? হ্যঁা, প্রেমিক পিকের চেয়েও আপন একজনেই গোলটা করেছেন। সে কে? তারই গভের্র সন্তান। পিকে-শাকিরা জুটির দুই ছেলে, মিলান ও সাশা। এই দুই ছেলেকে নিয়েই অনুশীলনে নেমেছিলেন পিকে। বল নিয়ে কারিকুরি করতে করতে দৌড়ে এসে গোল করে বসেন ছোট ছেলে সাশা। অনুশীলনের ছোট্ট গোলপোস্টি ফঁাকা ছিল। মানে গোলরক্ষকবিহীন। সাশার গোল করতে কোনো রকম সমস্যাই হয়নি। গোলপোস্টের ঠিক পেছনেই দঁাড়িয়ে ছিলেন পিকে। বাসেের্লানা ডিফেন্ডারই প্রথম দুই হাত উপরে তুলে করতালির মাধ্যমে অভিনন্দন জানান গোলদাতাকে। শাকিরা হয়তো ডাগআউটের কাছেই কোথাও বসে ছেলেদের ফুটবল দীক্ষা উপভোগ করছিলেন। ছেলে গোল করার পর দৌড়ে এসে মেতে উঠেন বাঁধভাঙা উদযাপনে। তিনি নিজে সংগীতশিল্পী। জয় করেছেন বিশ্ব। চাইলে ছেলেদের সংগীতেই ক্যারিয়ার গড়ার দীক্ষা দিতে পারেন। কিন্তু দেখা যাচ্ছে, নিজের নয়, ছেলেদের স্বামীর মতো ফুটবলার বানানোর দিকেই তার আগ্রহ।