বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

ফের বাজছে তাসনুভা তিশার বিয়ের সানাই

মাতিয়ার রাফায়েল
  ১৮ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০
তাসনুভা তিশা

প্রচন্ড ভালোবেসে বিয়ে করা ফারজানুল হকের সঙ্গে সংসারটি শেষপর্যন্ত টেকাতে না পেরে এক প্রকার নিরাশই হয়ে পড়েছিলেন টিভি ও চলচ্চিত্র অভিনেত্রী তাসনুভা তিশা। বিয়ের মাত্র ৪ বছরের মাথায় বিয়েটা ভেঙে গেল। ফলে তাসনুভা তিশা প্রচন্ড মানসিক যন্ত্রণার মধ্য দিয়ে যান দীর্ঘ কয়েক মাস। অভিনয় থেকে এক প্রকার স্বেচ্ছা নির্বাসনে গিয়েছিলেন। এ নিয়ে ২০২১ সালে যায়দিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, বিয়ে নিয়ে এখনই আর ভাবতে চান না। বিষয়টি তিনি তার বাবা-মায়ের হাতেই ছেড়ে দিয়েছেন। আর কারও প্রেমের ফাঁদে পড়া ঘুঘু হতে যাবেন না। এ সম্পর্কে বলেছিলেন, 'বিয়েটা হচ্ছে পারস্পরিক সম্মানের বিষয়'। কাজেই তিনি এমন বিয়ে আর করতে চান না যেখান থেকে অসম্মানিত হয়ে জলে ভেজা ছলছল চোখে ফিরে আসতে হয়। তাসনুভার এই সাক্ষাৎকারটি নেওয়া হয়েছিল গেল বছর ২০২১ সালের মে মাসের ৫ তারিখে। এরপর দিন যায়যায়দিনে সেটি প্রকাশিত হয়। মাছ তো ডুবে ডুবে জল খাওয়ার জন্যই জলে বাস করে। এটাই মাছের বিধি। সেরকম বিধি খন্ডাতে পারেননি তাসনুভা তিশাও। ঠিক বাবা-মায়ের পছন্দে নয়। সেদিনের দেওয়া সাক্ষাৎকারের অনেক আগে থেকেই তাসনুভা তার দ্বিতীয় স্বামী নির্বাচন করে রেখেছিলেন। ওই সাক্ষাৎকারটি দেওয়ার ৫ মাস আগেই এই নির্বাচিত ছেলের সঙ্গে তার শুভ পরিচয়ের শুরু। এতোদিন ডুবিয়া ছিলেন পাত্রটির হৃদয় মাঝারেই।

'বিয়েটা হচ্ছে পারস্পরিক বোঝা-পড়ার বিষয়'- সাক্ষাৎকারে দেওয়া তাসনুভার ওই চমৎকার কৌশলী বক্তব্যটিতেই লুকিয়ে রেখেছিলেন ওই পরিচয়ের পালার পরবর্তীর 'পারস্পরিক বোঝা-পড়ার বিষয়'টি। অবশেষে এই 'পারস্পরিক বোঝা-পড়ার বিষয়'টি সম্পন্ন হওয়ার পরই চলতি মাসের ১৫ জানুয়ারি শনিবার তাদের বিয়ের বাগদানপর্বটি সারেন। তবে দুই পরিবারের উপস্থিতিতেই এই বাগদানপর্বটি সম্পন্ন হয়েছে। আগামী ২ ফেব্রম্নয়ারি সৈয়দ আজগর নামের বেসরকারি চাকরিজীবীকে বিয়ে করতে যাচ্ছেন টিভি, ওয়েব অভিনয়ে ব্যস্ততার তুঙ্গে থাকা তাসনুভা তিশা।

তিশা জানান, ২০২০ সালের ডিসেম্বর মাসের আজগরের সঙ্গে তার পরিচয়, এরপর দুজন দুজনকে কাছ থেকে দেখা ও জানাশোনা। একটু একটু করে তাদের মধ্যে ভালোবাসার ভালোলাগার সম্পর্ক গড়ে ওঠে।

এই প্রেমের সম্পর্ক চলার সময়েই দুজন দুজনের পরিবারকে বিষয়টি জানান এবং তারা সম্মতি দিলে

তারা বিয়ের জন্য প্রস্তুত হন।

তিশা আরও জানান, ২০১৮ সালের ২১ মে ভেঙে যাওয়া আমার আগের বৈবাহিক সম্পর্কের আনুশ নামের ছেলে থাকায় সেটা আমার জন্য খুবই স্পর্শকাতর বিষয় ছিল। আজগরের পরিবার বিষয়টি ভালোভাবে নেয় কিনা কিংবা ভালোভাবে না নিলে কী হবে এ নিয়ে ভাবনায় ছিলাম। কিন্তু দেখলা ওর (আজগর) পরিবার বেশ আন্তরিক এবং ইতিবাচক। ফলে এই বিয়ের বিষয়ে আমিও অনেক বেশি খুশিমনে অগ্রসর হই।'

প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২৮ অক্টোবর করা

তাসনুভা তিশা তার আগের বিয়েটিও কয়েক মাস গোপন রেখে এরপরের বছর ফেব্রম্নয়ারিতে সেটি প্রকাশ করেন। নানা ঘটনায় ভাষার মাস ফেব্রম্নয়ারিই যেন তিশার খুব প্রিয় মাস!

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে