সা ক্ষা ৎ কা র

'আমার গানগুলো বেঁচে থাকুক'

২০০৮ সালে 'সেরাকণ্ঠ' প্রতিযোগিতার মাধ্যমে সংগীতাঙ্গনে পা রাখেন বাঁধন সরকার পূজা। এরপর থেকে বেশ কিছু জনপ্রিয় গান উপহার দিয়েছেন তিনি। 'তুমি আমার', 'দূরে দূরে', 'মানে না মন', 'হারিয়ে গেলে কষ্ট পাবো', 'কেন বারে বারে', 'ভালোবেসে যে ভুলে যায়'- এই শিল্পীর উলেস্নখযোগ্য গান। প্রথম অ্যালবাম- 'প্রজাপতির মন'। বর্তমান ব্যস্ততাসহ বিভিন্ন বিষয়ে এই শিল্পীর সঙ্গে কথা বলেন মাতিয়ার রাফায়েল

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বাঁধন সরকার পূজা
এখন তো বেশ শীত পড়েছে। কেমন চলছে স্টেজ শো? এটাই তো স্টেজ শো'র মৌসুম। এই স্টেজ শো নিয়েই এখন ব্যস্ততা চলছে আমার। প্রায় প্রতিদিন একটানাই শো থাকছে। বছরটা শুরু হয়েছে কয়েকটি স্টেজ শো'র মধ্য দিয়ে। কয়েকটি গান আগেই বাঁধানো ছিল। এর মধ্যে দুটি রিলিজ হয়েছে। সামনে আরও কয়েকটি রিলিজ হবে। এই গান আমার নিজস্ব ইউটিউব চ্যানেলেও দর্শক দেখতে পাবেন। শীতকাল সব শিল্পীরই বিশেষ পছন্দের- তাই না? গানের জন্য এই ঋতুটা অবশ্য খুবই ভালো একটা ঋতু। তবে আমার একটু শীত বেশি। ঠান্ডায় একেবারে কাবু হয়ে পড়ি। সে জন্য বলতে পারেন, শীতকালটা আমার খুব একটা পছন্দের না। বর্ষাকালাই আমার কাছে খুব পছন্দের। সমসাময়িক কাদের গান ভালো লাগে? অনেকের গানই তো ভালো লাগে। সুনির্দিষ্টভাবে কারও নাম তো করা যাবে না। গানের ক্ষেত্রে আমি যেমন সব ধরনের গান পছন্দ করি, তেমনি সব ধরনের শিল্পীদের গান পছন্দ করি। আমি নিজেও ভার্সেটাইল শিল্পী। সে জন্য আমাকে সব ধরনের গানই শুনতে হয়। তাই আলাদা করে পছন্দের কোনো শিল্পীর নাম উলেস্নখ করতে চাই না। শিল্পী হলেও পারিবারিক, ব্যক্তিগত জীবন- এগুলো একসুতায় গাঁথেন কীভাবে? নিজের শিল্পীসত্তাকে অক্ষুণ্ন রেখেও আমি সবকিছুতেই সমান গুরুত্বের সঙ্গে সামলাতে পারি। যখন থেকে সংসারি হলাম, তখনো এর কোনো ব্যাঘাত ঘটতে দেইনি। ফলে যত যা-ই কিছু ঘটুক- আমার গানের চর্চায় কোনোভাবেই কোনো কিছুর জন্য ব্যাঘাত ঘটে না। বলা হয়, এখন মানুষ কোনো গান বেশিদিন শোনে না- এ নিয়ে কী বলবেন? এ নিয়ে আমার বলার কিছু নেই। তবে আমার লক্ষ্য হলো- যতটা সম্ভব, বেশি বেশি গান গেয়ে যাওয়া। আমি মনে করি, যত বেশি গানে কণ্ঠ দিতে পারব, তত বেশি শ্রোতার কাছাকাছি থাকতে পারব। আমি যখন থাকব না, তখন তো শ্রোতারা এই গান দিয়েই আমাকে স্মরণ করবে। সে জন্য মনে রাখার মতো আরও ভালো ভালো কথার গানে কণ্ঠ দিয়ে যেতে চাই। আমার গান কত দিন শ্রোতারা শুনবে, জানি না। তবে মৃতু্যর পরও গানগুলো বেঁচে থাকুক; সে রকম গানই যেন গাইতে পারি- এটাই আমার কামনা। এখন পেস্ন-ব্যাক কেমন করছেন? এ পর্যন্ত আমি গোটা তিরিশেক পেস্ন-ব্যাক করেছি। এখন খুব বেশি গাওয়া হচ্ছে না। সিনেমাই তো কম হচ্ছে। সম্প্রতি 'সাইকো' ছবির একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। সামনে আরও কয়টি পেস্ন-ব্যাক করার কথা ঠিক হয়ে আছে।