আটচলিস্নশে প্রীতি জিনতা

প্রকাশ | ৩১ জানুয়ারি ২০২২, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
বলিউডের হাস্যোজ্জ্বল তারকা প্রীতি জিনতা। গালে টোল পড়া মিষ্টি হাসি দিয়ে চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মন জয় করা এই তারকা আজ পা দিলেন জীবনের আটচলিস্নশ বসন্তে। কিন্তু জন্মদিনে আহামরি কোনো আয়োজন নেই সদ্য জোড়া সন্তানের মা হওয়া এই অভিনেত্রীর। স্বামী-সন্তান আর পরিবারের সদস্যদের নিয়েই কাটাবেন বিশেষ দিনটি। বলিউডের এক সময়ের জনপ্রিয় এই নায়িকা ১৯৭৫ সালের ৩১ জানুয়ারি ভারতের হিমাচল প্রদেশের শিমলা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা দুর্গানন্দ জিনতা ছিলেন ভারতীয় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা। প্রীতির যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তিনি এক গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা যান। সেই গাড়িতে তার মা নিলপ্রভাও ছিলেন। তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে টানা দুই বছর শয্যাশায়ী ছিলেন। ইংরেজি ও অপরাধ মনোবিজ্ঞান বিষয়ে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর ১৯৯৮ সালে 'দিল সে' সিনেমা দিয়ে বলিউডে পা রাখেন প্রীতি। একই বছর 'সোলজার' সিনেমায় অভিনয় করে লাইমলাইটে চলে আসেন তিনি। দুটি সিনেমাতেই সাবলীল অভিনয়ের জন্য প্রীতি জিনতা শ্রেষ্ঠ নবাগত অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। ২০০০ সালে 'ক্যায়া কেহনা' সিনেমায় কিশোরী এক মায়ের চরিত্রে অভিনয় করে আলোচনার ধারা অব্যাহত রাখেন। ২০০৩ সালে নাট্যধর্মী 'কাল হো না হো' সিনেমাতে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন প্রীতি। পরবর্তীতে তিনি টানা দুই বছর ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল দুটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। প্রথমটি ২০০৩ সালে বিজ্ঞান কল্পকাহিনীধর্মী 'কোই মিল গায়া' এবং দ্বিতীয়টি ২০০৪ সালে রোমান্টিক সিনেমা 'বীর-জারা'। তিনি স্বাধীন আধুনিক ভারতীয় নারী চরিত্রে 'সালাম নমস্তে' (২০০৫) ও ভারতের বাইরে সর্বাধিক আয়কারী 'কাভি আলবিদা না কেহনা' (২০০৬) সিনেমাতে কাজ করেন।