সাক্ষাৎকার

আমার চোখ দিয়ে আরেকজন দেখবে, এটাই বড় আনন্দের

লাক্সকন্যা আজমেরী হক বঁাধন। সন্তান ও সংসারের দায়িত্ব পালনের কারণে আগের মতো নিয়মিত অভিনয় করতে পারছেন না। গত ২৫ নভেম্বর মরণোত্তর চক্ষুদান করে নতুন করে আলোচনায় এসেছেন তিনি। অভিনয় ও সমসাময়িক নানা বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ২৭ নভেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আজমেরী হক বঁাধন
মরণোত্তর চক্ষুদান... সন্ধানী জাতীয় চক্ষুদান সমিতিতে মরণোত্তর চক্ষুদান করেছি। কাজটি করে ব্যক্তিগতভাবে নিজেকে খুব হালকা লাগছে। মনে হচ্ছে মানুষের জন্য একটা কিছু করার চেষ্টা করেছি। আমি মারা যাওয়ার ছয়-সাত ঘণ্টার মধ্যে চোখের কণির্য়া সংগ্রহ করবে সন্ধানী। সেই কনির্য়া আরেকজন অন্ধ মানুষের চোখে প্রতিস্থাপন করলে ফিরে পাবে দৃষ্টিশক্তি! এটা ভাবতেই তো আমার বতর্মান পৃথিবী আরও আলোকিত মনে হয়। আমি মরে যাব, অথচ আমার চোখ দিয়ে আরেকজন মানুষ পৃথিবীর রূপ দেখবেÑএর চেয়ে আনন্দের খবর আর কী হতে পারে? যেভাবে কাটে চলমান সময়... পরিবার ও একমাত্র সন্তান সায়রাকে নিয়েই আমার সারাদিনের ব্যস্ততা। মেয়েকে নিয়মিত টেককেয়ার করছি। পরিবারের অন্যান্য কাজও করতে হয়। এ ছাড়া আমি বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির একজন নিবাির্চত সদস্য হিসেবে সেখানেও সময় দিতে হয়। সব কিছু মিলে সময়টা খারাপ যাচ্ছে না। ভালোই কেটে যাচ্ছে দিন রাত। অভিনয়ের খবর... অভিনয়ের নতুন কোনো খবর নেই। অনেক দিনই হলো নানা কারণে অভিনয় করা হচ্ছে না। তবে অভিনয় আমি ছাড়িনি। যেহেতু অভিনয়ই আমার নেশা ও পেশা তাই আবারও আমাকে লাইট-ক্যামেরার সামনে দঁাড়াতে হবে। যখন নাটকে অভিনয় শুরু করব, তখন এ খবরটি অবশ্যই সবাই জানতে পারবে এবং তা নতুন বছরেই। সবের্শষ নাটকে কাজ করেছিলাম মাসুদ সেজানের একটি ধারাবাহিকে। ধারাবাহিকটির নাম ‘খেলোয়াড়’। আগে অভিনয় করা কোনো ধারাবাহিক নাটক এখন কোনো চ্যানেলে প্রচার হচ্ছে কিনা তাও আমার জানা নেই। যে পদার্য় দেখা মেলবে... আমি তো নাটকেরই মানুষ। বিরতির পর নাটকেই অভিনয় করব। ‘দহন’ ছবিতে কাজ করা না হলেও সিনেমায় অভিনয়ের ইচ্ছা এখনও শেষ হয়ে যায়নি। আগামীতে হয়তো দশর্ক আমাকে বড় পদার্য় দেখতে পাবেন। পছন্দের গল্প ও চরিত্র হলে অবশ্যই চলচ্চিত্রে অভিনয় করব। জীবনের এই সময়ে... আমি আসলে অনেক স্ট্রাগল করে এত দূর এসেছি। অভিনয়, সংসার-বাচ্চা আবার পড়াশোনা সব কিছু মিলে আমার জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়ে। এরপর আবার আমার সংসারজীবনের একটি দুঘর্টনা। আমার সঙ্গে আমার মেয়েকেও কষ্ট করতে হয়েছে। অনেক লড়াই করে মেয়েকে আমি পেয়েছি। এর মধ্যে চলচ্চিত্রের সুযোগও এসেছে। আমি একজন অভিনেত্রী এবং ভবিষ্যতেও এই পরিচয়েই থাকতে চাই। মিডিয়া আমাকে অনেক কিছু দিয়েছে, ভালো কাজের মাধ্যমে আমিও মিডিয়াকে কিছু দিতে চাই।