বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

বাধ্য হয়ে স্রোতের অনুকূলে গান গাই

নকুল কুমার বিশ্বাস- একাধারে তিনি গায়ক, যন্ত্রশিল্পী, সুরকার, গীতিকার ও সংগীত পরিচালক। তার গানে ভূপেন হাজারিকার গানের প্রভাব দেখা যায়। মাত্র আট বছর বয়সে যাত্রাপালার মাধ্যমে তার ক্যারিয়ার শুরু। এ শিল্পীর সাম্প্রতিক ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন- মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ২০ মে ২০২২, ০০:০০
নকুল কুমার বিশ্বাস

চলমান ব্যস্ততা কেমন?

ভালোই ব্যস্ততা যাচ্ছে। আজও (বৃহস্পতিবার) গান রেকর্ডিংয়ের জন্য স্টুডিওতে যাচ্ছি। ঈদেও কয়েকটি গান করেছি। এর মধ্যে এশিয়ান মিউজিক, বৈশাখী টিভিসহ বিভিন্ন চ্যানেলে গান প্রচারিত হয়েছে আমার। আর ধারাবাহিকভাবে স্টেজ শো চলছেই। রোজার মাসে কিছুদিন বন্ধ ছিল। এখন আবার এ গানে ফিরে আসছি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলেও গান আপলোড করছি।

\হ

কোন মাধ্যম এবং পরিবেশে গান করতে

ভালো লাগে আপনার?

যেহেতু আমি শিল্পী, তাই সব মাধ্যমেই গাইতে হয় আমাকে। তবে উন্মুক্ত খোলা পরিবেশে গান গাওয়ার সময় যে আলাদা একটা অনুভূতি আলাদা একটা রোমাঞ্চ হয় তার আবেদন একেবারেই আলাদা। আমি তো যাত্রামঞ্চ থেকেই গানবাজনা শুরু করি। তখন দেখতাম হাজার হাজার দর্শক বসে থাকতো। খালি গলাতেই গাইতাম। সেই দর্শকের শেষ প্রান্তের মানুষটি থাকতো তার কানেও আমার গানের কথা ও সুর পৌঁছে দিতাম। তখন মাইক যেমন ছিল না আজকের মতো সাউন্ড সিস্টেমও ছিল না। তাতে একটা আলাদা রকমের অনুভূতি হতো।

এখন গান হয় নাকি শুধু বাজনাই হয়?

এখন তো গানের চাইতে বাজনাটা বেশি হয়। বাজনার ঝালাপালায় গানের কথা ও সুরের কিছুই শোনা ও বোঝা যায় না। আগে তবলা বাজিয়ে গাইলেও মানুষ অ্যাপ্রিশিয়েট করতো। এখন তবলা বাজানোরই সুযোগ নেই। এখন কি-বোর্ড, বেইজ গিটার, অ্যাকোস্টিক গিটার, নিড গিটার ছাড়া কিছুই হবে না। একটা হইহুলেস্নাড়, উন্মাদনা থাকতেই হবে; আমরা আসলে এই ধরনের শিল্পী নই। বাধ্য হয়েই স্রোতের অনুকূলে গা ভাসিয়ে চলেছি। না চাইলেও করতে হচ্ছে। কারণ, স্রোতের প্রতিকূলে গেলে হারিয়ে যেতে হয়। আমি যদি আমার যন্ত্রীর কাউকে বলি, তোমরা ভলিউমটা একটু কমিয়ে দাও- তাতেও তারা মাইন্ড করেন। তাদের ভাবটা এমন, শিল্পী যাই গাক, আমাদেরটাই দেখ।

সে জন্যই বুঝি আপনার গানে হাস্যরস

ও পরিহাস বেশি?

গান তো সমাজ পরিবর্তনের জন্যও। যে গান মানুষের মাঝে কোনো ম্যাসেজই পৌঁছাতে পারল না সেতো গানই নয়। সেজন্যই দেখবেন আমার সব গানেই একটা ম্যাসেজ থাকে। গান মানেই তো সমাজকে শিক্ষা দেওয়া। আগে যাত্রাপালায় সমাজকে শিক্ষা দেওয়ার ম্যাসেজ থাকত। এখন মানুষ সমাজ নিয়ে কিছু ভাবে না। নীতিবোধ বলতে কিছুই নেই। যেকোনো উপায়েই এখন চলছে খালি অর্থ উপার্জন। এ কারণে যাত্রাতেও নোংরামি ঢুকে পড়ে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে