বুধবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

মনে হচ্ছে আমি নেই

গৌতম ঘোষ পরিচালিত এবং মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের অমর উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত 'পদ্মা নদীর মাঝি' চলচ্চিত্রের 'মালা' চরিত্রের অভিনেত্রী গুলশান আরা আক্তার চম্পা। পাঁচবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এ অভিনেত্রীর অভিনীত 'শান' সিনেমাটি মুক্তি পেয়েছে গত ঈদে। এ সিনেমাটিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন- মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ২৪ মে ২০২২, ০০:০০
গুলশান আরা আক্তার চম্পা

'শান' সিনেমাটি কেমন লাগল?

খুবই ভালো লেগেছে অনেকদিন পর আবার দর্শকদের সামনে পর্দায় আসতে পেরে। ঈদে মুক্তি পাওয়া নিজের সিনেমা তো এর আগে কতই দেখেছি। এমনিতেই ঈদে মুক্তি পাওয়া সিনেমা নিয়ে আমাদের আলাদা একটা উচ্ছ্বাস থাকেই, তার ওপর করোনাকাল পেরিয়ে অনেকদিন পর আবার ঈদে মুক্তি পাওয়া নিজের সিনেমা দেখতে পারছি এটা তো ভীষণ ভীষণ আনন্দের। সবচেয়ে ভালো লাগছে ছবিটা নিয়ে দর্শকদের অভূতপূর্ব সাড়া দেখে। এ দেখে তখন আমার মনে হয়েছে আবার যেন আমরা সেই বাংলা সিনেমার সোনালি যুগে ফিরে এসেছি।

সেই সোনালি যুগটাই কি তবে আবার ফিরল?

সত্যি কথাই বলেছেন। সেই সময়ে তো একসঙ্গে অনেকগুলো সিনেমা মুক্তি পেত। কখনো তো আমার নিজেরই তিন/চারটা সিনেমা মুক্তি পেত। সব সিনেমা দেখতে পারতাম না। তাতে মন খারাপ হয়ে যেত। ভাবতাম, আমার একটি সিনেমা মুক্তি পেলেই ভালো হতো। সেখানে আমার সহশিল্পীদের সিনেমা মুক্তি পেলে ভালো হতো। যাহোক, ঈদের আনন্দ তো আছেই সেই সিনেমা আরেকটা বাড়তি আনন্দানুভূতি জুগিয়ে দিত। সারাদিন নিজের সিনেমার পাশাপাশি আমাদের অন্য সহশিল্পীদের সিনেমাও একত্রে দেখতাম। দর্শকদের খুব প্রশংসা দেখে ঈদের আনন্দের সঙ্গে তাতে এত আনন্দ অনুভূত হতো যে, তা সব আনন্দকেই ছাপিয়ে যেত।

আপনার 'রিকশাগার্ল' সিনেমাটিও তো

আমেরিকায় বেশ সাড়া পড়েছে!

আমি এ ছবিটা সম্পর্কে এখনো ঠিক জানি না। সিনেমাটিতে আমি অবশ্য রিকশা গ্যারেজের মালিকের একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছি। জানি না দর্শক আমার অভিনয় কীভাবে অ্যাকসেপ্ট করেছেন। তবে পত্রপত্রিকায় যেভাবে নিউজ করছে তাতে দেখে আমার মনে হচ্ছে, ছবিটিতে বুঝি আমি নেই। ছবিটিতে আমি শুটিং করলেও হয়তো পরে আর আমাকে রাখা হয়নি; সেখানে অন্য কাউকে নেওয়া হয়েছে। নয়তো পত্রপত্রিকায় কেন আমার বিষয়েও কোনো নিউজ রাখবে না? শুধু সিনেমাটির নায়ক-নায়িকাদের নিয়েই নিউজ হবে?

এই নায়ক-নায়িকা কেন্দ্রিক সিনেমা হওয়া

কীভাবে দেখছেন?

নায়ক-নায়িকার গুরুত্ব সব সময়ই ছিল এবং সব সময়েই থাকবে। দর্শক সিনেমা দেখতেই যান নায়ক-নায়িকার জন্য। কিন্তু আগে তো নায়ক-নায়িকার পাশাপাশি যারা গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করতেন পত্রপত্রিকায় তারাও সমান হাইলাইটেট হতেন। কখনো বা নায়ক-নায়িকার চাইতেও অনেক বেশি হাইলাইটেট হতেন। পত্রপত্রিকাকে তো শুধু দর্শক টাইপের হলে হবে না; জুরিবোর্ডের মতোও হতে হবে। আগে সিনেমা, চিত্রালীসহ যেসব বিনোদনবিষয়ক পত্রপত্রিকা ছিল সেগুলো কিন্তু এমন ছিল না।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে