সাক্ষাৎকার

কাজ করতে করতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাই

অভিনেত্রী মোমেনা চৌধুরী। টেলিভিশন নাটকের চেয়ে মঞ্চনাটক নিয়েই এখন বেশি ব্যস্ততা। বিজয়ের পুরো মাস ‘লালজমিন’ নিয়ে চষে বেড়াচ্ছেন দেশ-বিদেশ। নাটক ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১১ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মোমেনা চৌধুরী
এই সময়... মঞ্চ ও টিভি নাটক দুটো নিয়েই ব্যস্ত থাকতে হয়। এ ছাড়া নিজের সংসা তো আছেই। মাসের ১০ দিন মঞ্চে, ১০ দিন টিভি ও বাকি ১০ দিন সংসার এবং অন্যান্য কাজে ব্যস্ত থাকি। অভিনয়ের পাশাপাশি আমি কোয়ান্টম ফাউন্ডেশনে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবেও কাজ করছি। কাজ করতে করতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যেতে চাই। লালজমিন... ‘লালজমিন’ এর প্রথম মঞ্চায়ন হয়েছিল ২০১১ সালে মে মাসে। গত বছরের মাচের্ এর শততম মঞ্চায়ন হয়েছে, আশা করি আগামী মাচের্ এর দু’শততম মঞ্চায় হবে। চলতি ডিসেম্বরেই এর ৯টি মঞ্চায়নের পরিকল্পনা করেছি। ইতোমধ্যে এর তিনটি মঞ্চায়ন হয়েছে। আগামীকাল (আজ) রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে এর ১৭৮তম মঞ্চায়ন হবে। বুধবার রংপুর টাউন হলে, বৃহস্পতিবার নীলফামারী, ১৬ ডিসেম্বর ঢাকার উত্তরা ক্লাবে, ২৩ ডিসেম্বর কোরিয়া ও ২৬ ডিসেম্বর কলকাতার সোনাপুরে। এ ছাড়া ২৮ ডিসেম্বর কলকাতায় অবস্থিত বাংলাদেশি অ্যাম্বাসিতে একটি প্রদশর্নী হওয়ার সম্বাবনা রয়েছে। টেলিভিশন পদার্য়... ধারাবাহিকের পাশাপাশি টেলিভিশনে খÐনাটকেও কাজ করছি। এসএ টিভিতে প্রচার হচ্ছে ধারাবাহিক নাটক ‘তুমি আছ তাই’, এটিএন বাংলায় ‘সোনাবান’ এবং এনটিভিতে ‘মায়া মসনদ’। এ ছাড়া জাজিের্সর পরিচালনায় দুটি স্বল্পদৈঘর্্য চলচ্চিত্রে কাজ করলাম। নাম মনে না থাকলেও এ দুটি চলচ্চিত্রের প্রেক্ষাপট জঙ্গি। খুব ভালো কাজ হয়েছে। অন্যদিকে গিয়াস উদ্দিন সেলিমের নিদের্শনায় ‘প্রীতি’ নামের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করেছি। নাটকের এক বছর... গত ডিসেম্বর থেকে চলতি ডিসেম্বর পযর্ন্ত অভিনয়ে অত্যন্ত ভালো সময় কেটেছে। মঞ্চ ও টেলিভিশনের কাজগুলো করে অনেক ভালো সাড়া পেয়েছি। তবে বিগত এক বছরে প্রচুর নাটক নিমার্ণ হয়েছে। চ্যানলের পাশাপাশি অনেক নাটক ইউটিউবে প্রচার হয়েছে। ওয়েব সিরিজও নিমার্ণ হয়েছে। ইউটিউব ও ওয়েবভিত্তিক নিমার্ণ দিন দিন ভালো সাড়া পাচ্ছে। প্রযুক্তির কল্যাণে দশর্ক তা সহজে দেখতে পাচ্ছেন। ফেসবুক প্রসঙ্গ... সময়ের সঙ্গে নিত্যনতুন অনেক কিছুরই আবিভার্ব ঘটছে। এসবের থেকে আমরা যেমন সুবিধা পাচ্ছি, আবার সুবিধাও আছে। তরুণ প্রজন্মের কাছে এখন অতি প্রিয় ফেসবুক। অন্য বয়সীর লোকেরাও এর ব্যবহার করে। এর কবলে পড়ে আমরা সবাই তার দাস হয়ে গেছি। গল্প ও আড্ডা ছেড়ে এখন সবাই স্মাটর্ ফোন নিয়ে ব্যস্ত। গুরুত্বপূণর্ আলোচনাতেও অনেককে রাজার কাছে প্রজার মতো মাথানত করে ফেসবুক ব্যবহার করতে দেখা যায়। দিনরাত ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ফেসবুকের পেছনে আমরা অহেতুক যথেষ্ট সময় অপচয় করছি। এর দাসত্ব থেকে আমাদের মুক্ত হওয়া দরকার। অবশ্য আমি নিজেও ফেসবুক ব্যবহার করি তবে এর ব্যবহার এখন ওয়াল লেভেলে নিয়ে এসেছি। খুব বেশি প্রয়োজন ছাড়া তা ব্যবহার করি না।