এই শূন্যতা পূরণ হবে না কোনোদিন

সবাইকে অবাক করে দিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক আমজাদ হোসেন। তার মৃত্যুর খবরে চলচ্চিত্রপাড়ায় নেমে আসে শোকের ছায়া। আমজাদ হোসেন পরিচালিত একাধিক চলচ্চিত্রের নায়িকা অঞ্জনা । কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মৃত্যুর খবর... আজ (গতকাল) বিকালে শুনতে পেলাম বাংলাদেশি চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি পরিচালক আমজাদ হোসেন আর নেই। চলচ্চিত্র শিল্পীসমিতি ও পরিচালক সমিতি থেকে ফোন করে খবরটি আমাকে জানানো হয়। খবরটি শোনার পর এত খারাপ লাগছে তা বোঝাতে পারব না। (কেদে ফেলেন অঞ্জনা)। এভাবে তিনি চলে যাবেন তা ভাবিনি। ভেবেছিলাম তিনি সুস্থ হয়ে আমাদের মাঝে ফিরে আসবেন। কিন্তু তা আর হলো না। তিনি চলে গেলেন ওপারে। আল্লাহ তাকে বেহেশত দান করুন এই দোয়াই করি। আল্লাহ তার পরিবারের সবাইকে ধৈযর্্য ধারন করার তৌফিক দান করুন। শেষ দেখা... তিনি অসুস্থ হওয়ার মাস দুই আগে এফডিসিতে এসেছিলেন একটি মিটিংয়ে। আমিও সেখানে ছিলাম। তখন আমাকে জিজ্ঞেস করলেন আমি কেমন আছি, কি করছি এসব নানা বিষয়ে কথা হলো। চলচ্চিত্রের বতর্মান নানা সমস্যা নিয়েও বলেছিলেন। আমিও তার শারীরিক অবস্থা সম্পকের্ জানলাম। সেই দিনই ছিল তার সঙ্গে আমার শেষ দেখা। আমার কাছে দোয়া চাইলেন আমিও তার কাছে দোয়া চাইলাম। এরপর তিনি অসুস্থ হয়ে যখন হাসপাতালে ছিলেন। খবর পেয়ে আমিও গিয়েছিলাম। কিন্তু তাকে দেখতে পাইনি। আমার যেতে একটু দেরি হওয়াতে তাকে দেখার সুযোগ ততক্ষণে বন্ধ হয়ে যায়। বারবার অনুরোধ করেছিলাম কিন্তু সেখানে কতর্ব্যরত চিকিৎসকরা আমাকে না যেতে উল্টো অনুরোধ করেছিলেন। প্রথম দিনের কথা... তিনিও চলচ্চিত্রের মানুষ ছিলেন আমিও চলচ্চিত্রে কাজ করতাম। তবে তার পরিচালনায় চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়েই প্রথম পরিচয় হয়েছিল সম্ভবত ১৯৭৯-৮০ সালে। আমজাদ ভাইয়ের পরিচালনায় আমি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছিলাম। এরমধ্যে ‘ষড়যন্ত্র’, ‘আশার প্রদীপ’, ‘সোনার পালংক’ ও ‘রূপালী সৈকত’। খুব সম্ভব তার ও আলমগীর কবীরের ‘রূপালী সৈকত’ চলচ্চিত্রে কাজ করতে গিয়ে প্রথম পরিচয় হয়েছিল। প্রথম পরিচয়ে তিনি আমায় বলেছিলেন তোমার নাচের অনেক সুনাম রয়েছে। চলচ্চিত্রে অভিনয়েও তুমি অনেক ভালো করবে। মনোযোগ দিয়ে কাজ করো। তোমার জন্য অনেক দোয়া রইল। অনেক বড় হও। শূন্যতা... এই সুন্দর পৃথিবী ছেড়ে সবাইকে একদিন চলে যেতে হবে। কিন্তু কিছু সুন্দর মানুষের চলে যাওয়াটা সত্যিই কষ্টের। খান আতা, জহির রায়হান ও আমাজাদ হোসেনের মত গুণীজনদের চলে যাওয়াটা আরও কষ্টের। তাদের এই স্থানগুলো পূণর্ হওয়ার নয়। আমজাদ হোসেনের শূন্যতা কেউ পূরণ করতে পারবে না। তার মতো লিজেন্ডের জায়গাটা শূন্যই থেকে যাবে। এখন ভালো নিমার্তার অনেক অভাব রয়েছে আমাদের চলচ্চিত্রে। একজন আমজাদ হোসেন হচ্ছে না। শুধু চলচ্চিত্রেই নয়, তিনি টিভি নাটকেরও প্রখ্যাত পরিচালক ছিলেন। এক সময় ঈদ মানেই আমজাদ হোসেনের নাটক। সেই সময়ের দশর্করা এখনও মনে রেখেছে তার ঈদের নাটক।