সা ক্ষা ৎ কা র

ফের বরিশালের ভাষায় অহনা

অহনা রহমান লাকি- একাধারে ছোট পর্দা ও বড় পর্দায় অভিনয় করেন। বিজ্ঞাপনচিত্রের মডেল হিসেবেও কাজ করেন মাঝে-মধ্যে। বরিশালের আঞ্চলিক ভাষায় বেশ মুন্সিয়ানা আছে তার। দর্শকের নজর কাড়েন 'নোয়াশাল' ধারাবাহিকে। 'দুই পৃথিবী', 'চাকরের প্রেম'সহ কয়েকটি সিনেমাতেও অভিনয় করেছেন। মাঝে অভিনয় থেকে বিরতিতে যান। সম্প্রতি নতুন করে ফের ব্যস্ততায় ফিরেছেন অভিনয়ে। এর মধ্যেই একসঙ্গে কয়েকটি নাটকে অভিনয় করেছেন। এগুলো আসন্ন কোরবানি ঈদে প্রচারিত হবে। এ নিয়ে তার সঙ্গে কথা বলেছেন

প্রকাশ | ০৭ জুলাই ২০২২, ০০:০০

মাতিয়ার রাফায়েল
লম্বা একটা সময় বিরতি শেষে ফের তবে ফিরলেন? হঁ্যা, দীর্ঘ চার বছর শেষে আবার বরিশালের ল্যাঙ্গুয়েজে একটি সিঙ্গেল কমেডি নাটকে অভিনয় করলাম জিয়াউর রহমান জিয়ার 'ঢাকা টু বরিশাল'। আগেরটা যেমন ছিল 'বরিশাল টু ঢাকা' সেটারই সিকু্যয়েল এটা। আরও কয়টি নাটকে অভিনয় করেছি। নিয়াজ মাহবুবের পরিচালনায় সাত পর্বের ধারাবাহিক 'ড্রিম টেরেস', মহিন খানের 'ক্র্যাশ যখন বিয়াইন', রিফাত আদনান পাপনের 'পালাবে কোথায়'। এগুলো ঈদে এটিএন বাংলা, দীপ্ত, আরটিভি প্রভৃতি চ্যানেলে প্রচার করা হবে। এছাড়া জিয়াউদ্দিন আলমের 'ডেয়ারিং বৌ' নামের একটি নাটকে অভিনয় করেছি। নতুন করে ব্যস্ততায় ফিরে কেমন লাগছে? খুবই ভালো লাগছে। আমি তো অভিনয়েরই মানুষ এ ছাড়া অন্য কোনো কাজের মানুষ তো আমি নই। আরও বেশ কিছু সিঙ্গেল নাটক আছে- এই মুহূর্তে এগুলোর নাম মনে করতে পারছি না। প্রস্তাবও আসছে আরও অনেক। সিনেমায়ও কি আবার ফিরছেন? ভালো গল্প ও চরিত্র পেলে আমি আবারও সিনেমায় অভিনয় করতে চাই। আমি তো নিয়মিত সিনেমায় অভিনয় করব বলেই সিনেমায় অভিনয় করেছিলাম। কিন্তু ঐ সময়টায় সিনেমার পরিবেশটা ভালো না লাগায় পরে আর সেখানে অভিনয় করিনি। এখন পরিস্থিতি অনেকটা বদলেছে- ইচ্ছে আছে আবারও সিনেমায় অভিনয় করার। ঈদ কোথায় করছেন? নিজে কোরবানি দেন? ঈদ আমি বরাবর ঢাকাতেই করি। কোরবানি আমরা প্রতি বছরই দিয়ে আসছি। ছোটকাল থেকেই দেখে আসছি আমাদের পরিবার কোরবানি দিয়ে আসছে। তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে নিজে কোরবানি না দিলেও কোরবানির সময় এলে আমি কোরবানির টাকাটা আমার মায়ের হাতে তুলে দিই। মা-বাবার টাকাতেও কোরবানি হয়। আমি ছাড়া তো আমার কোনো ভাই-বোন নেই- আমার মা-ই কোরবানির সব ব্যবস্থা করেন। কোরবানির পশুর হাটে গিয়েছেন কখনো? ওরে বাপ্‌! না কখনোই আমি কোরবানির হাটে যাইনি। সড়ক পথে মানুষের নিয়ে যাওয়া বড় বড় গরু দেখলেই আমার ভয় লাগে। সেখানে হাটে যাওয়া তো প্রশ্নই ওঠে না। ঈদে মজার স্মৃতি থেকে কিছু বলবেন? মজার স্মৃতি কি, এইতো গত বছর আমাদের গরুটা পালিয়ে যায় আর সবাই ধর ধর করে সেটার পেছনে ছুটতে থাকে। ছুটতে ছুটতে একটা মসজিদে ঢুকে পড়ে। সেখান থেকে ধরে আনার পর আবার ছুটে গিয়ে আরেক বাড়িতে ঢুকে পড়ে। আরও মজার স্মৃতি বলতে, আগে ঈদি নিতাম আর এখন ঈদি দেই- এটাই মজার এবং ভালোও লাগে অনেক।