সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৯ ডিসেম্বর ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সমালোচনায় রবির কোম্পানির বিজ্ঞাপন! বিনোদন রিপোটর্ এ বছরের চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া দুই অভিনেতা ও অভিনেত্রীকে নিয়ে দেশের মোবাইল কোম্পানি রবি দেশীয় চলচ্চিত্রের হেয় করে একটি বিজ্ঞাপন নিমার্ণ করে। যাহা ইতোমধ্যে সোস্যাল মিডিয়ায় চলচ্চিত্রপ্রেমীদের মধ্যে ভাইরাল হয়। অনেকেই আবার বিভিন্নভাবে এর প্রতিবাদ করছেন। আবার অনেকেই জানিয়েছেন, আমাদের দেশের বাংলা চলচ্চিত্র বা সিনেমা একটা যেমন স্বণার্লী অধ্যায় নিয়ে ঠিক তেমনি আছে একটা কুৎসিত রূপ। সাদাকালো সিনেমার দিনগুলোর পুরাটাকেই মোটামুটি বাংলা সিনেমার জয়জয়কার সময় হিসেবে বলা যায়। এ দেশের মানুষের মূল বিনোদনের উৎস হলো দেশীয় চলচ্চিত্র মাধ্যম। এক সময় পরিবারের সবাই মিলে সিনেমা দেখতে সিনেমা হলে যাওয়া ছিল একটা উৎসবের মতো। আর বিশাল পদার্য় মানুষ দেখার অনুভ‚তিই ছিল আলাদা। অনেক বাধা আর ক্লান্তিকাল পেরিয়ে যখন সিনেমাপ্রেমীরা হলমুখী হতে চলেছেন, ঠিক তখন কিছু অশুভ ছায়া হয়তো বাজে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে মানুষকে হলমুখী করতে অবাধ্য করছেন! কিন্তু তারাও দিন শেষে এই চলচ্চিত্রের মানুষই। এ নিয়ে এক চলচ্চিত্রের একজন অভিনেতা প্রতিবাদী ভাষায় লিখেছেন, ‘দেশের অন্যতম মোবাইল অপারেটর রবির নতুন একটি বিজ্ঞাপন দেখলাম, সেখানে তিশা সিনেমা হলে যাচ্ছে সিনেমা দেখতে, চঞ্চল চৌধুরী তিশাকে বলছেন ‘সিনেমা দেখতে হলে যেতে হয় নাকি? মোবাইলে ডাউনলোড করেইতো দেখা যায়।’ যেখানে চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট সবাই আমরা মানুষকে সিনেমা হলে যেয়ে সিনেমা দেখতে উৎসাহিত করি, সেখানে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত একজন অভিনেতা কিভাবে এমন একটা বিজ্ঞাপনে কাজ করে? সাধারণ একজন অভিনেতা থেকে নিশ্চয়ই জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত অভিনেতার দায়বদ্ধতা আরও অনেক বেশি..! আজ থেকে আমি রবি সিম ব্যবহার করা বাদ দিলাম, চলচ্চিত্র-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের এবং সিনেমাপ্রেমী সবাইকে রবি সিম ব্যবহার না করার অনুরোধ রইল। এভাবেই হোক প্রতিবাদ।’ এ ছাড়া আরও নানা ধরনের প্রতিবাদ শুরু করেছেন প্রযোজক, পরিচালক, অভিনেতা, অভিনেত্রীসহ চলচ্চিত্রের অনেক কলাকুশলিরা। ইমরান-কোনালের কণ্ঠে ‘হাতেখড়ি’ বিনোদন রিপোটর্ নতুন বছরের (২০১৯) শুরুতে ‘হাতেখড়ি’ শিরোনামের দ্বৈতগান নিয়ে দশর্ক-শ্রোতামহলে আসছেন ইমরান ও কোনাল। কোনো মেঘের ছেঁড়া পালে/ভাসে তোমার প্রেমের তরী/তুমি আমার ভালোবাসার/প্রথম ‘হাতেখড়ি’- এমন কথার গীতিকাব্যটি রচনা করেছেন শরীফ আল দ্বীন। সুর করেছেন নাজির মাহমুদ। সংগীতায়োজনে মুশফিক লিটু। এরই মধ্যে গানটিতে কণ্ঠ দেন ইমরান। দু-একদিনের মধ্যেই কোনাল কণ্ঠ দেবেন বলে জানান সুরকার নাজির মাহমুদ। এ প্রসঙ্গে নাজির মাহমুদ বলেন, ব্যক্তিগতভাবে গানটি আমার খুবই পছন্দের। এটি ক্লাসিক্যাল মেলোডি ঘরানার একটি গান। কথার উপর সুর বসানোর পর মনে হলো, ইমরান-কোনালের কণ্ঠে গানটি ভালো যাবে। তাই তাদের কণ্ঠেই গানটি তুলে দিলাম। আশা করি, গানটি দশর্ক-শ্রোতামহলে গ্রহণযোগ্যতা পাবে। সপ্তাহখানেকের মধ্যে গানটির ভিডিওর শুটিং শুরু হচ্ছে। নতুন বছরের শুরুতে গানটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিএমভি থেকে প্রকাশ পাবে বলে জানান নাজির মাহমুদ।