মঙ্গলবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

এখনকার প্রতিটি সিনেমাই ভিন্ন স্বাদের

তিন শতাধিক সিনেমার অভিনয় শিল্পী অঞ্জনা সুলতানা। প্রখ্যাত চলচ্চিত্র নির্মাতা আলমগীর কবিরের 'পরিণীতা' সিনেমায় ললিতা চরিত্রের জন্য শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছিলেন তিনি। 'মোহনা', 'গুণাইবিবি', 'রূপালী সৈকতে', 'রজনীগন্ধা', 'নান্টু ঘটক', 'অশিক্ষিত, 'আলাদিন আলিবাবা সিন্দাবাদ', 'রাম রহিম জন'সহ অনেক কালজয়ী সিনেমায় অভিনয় করেছেন এই গুণী সিনিয়র অভিনেত্রী। সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া সিনেমাসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৮ আগস্ট ২০২২, ০০:০০

সাম্প্রতিক সিনেমাগুলো কেমন মনে করছেন?

যতদিন সেন্সরবোর্ডে ছিলাম সেইসব দেখা সিনেমাসহ সাম্প্রতিক মুক্তি পাওয়া সিনেমাগুলো দেখে আমি বলব যে, আলস্নাহর অশেষ রহমত আমাদের বাংলা সিনেমা আবার ঘুরে দাঁড়াচ্ছে। প্রত্যেকটা সিনেমাই ভালো। প্রত্যেকটা আর্টিস্ট ভালো করছে। দর্শকও তাদের পছন্দ করছে- দর্শক আবার প্রেক্ষগৃহে যাচ্ছে- এটাই সবচেয়ে আনন্দের বিষয়।

আপনি তো একটা সিনেমা বানাবেন বলছিলেন-

সেটার কী খবর?

আমি এখন আসলে বাড়িঘর নিয়ে নানা ঝামেলায় আছি। এই ঝামেলাগুলো থেকে রেহাই পেলেই আমি সিনেমা বানানোতে সময় দেব। আমার সবই প্রস্তুত আছে। আলস্নাহ যদি কবুল করেন এবং যদি আমাকে হায়াত দারাজ করেন তাহলে আমার প্রোডাকশন হাউজ থেকে সিনেমাটির

কাজে হাত দেব।

এখনকার সামাজিক ও বাণিজ্যিক সিনেমা দুটোই

বদলে যাচ্ছে- কী বলেন?

আসলে যখনকার সময় যেমন সে অনুযায়ীই সিনেমা দাবি করে। এই যেমন 'দিন : দ্য ডে' সিনেমাটি, বিশ্বের একটা বিদেশি টেস্টের সিনেমা তারা পপুলেশন করেছে- খুবই ভালো সিনেমা। অন্যদিকে 'পরান'ও খুবই ভালো। আবার 'হাওয়া' সামুদ্রিক প্রেক্ষাপটে তৈরি খুবই ভালো একটা সিনেমা। এর আগের গলুই, শান প্রতিটিই আলাদা টেস্টের। আমি ধন্যবাদ জানাব দেবাশীষকে। কারণ তার 'শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ-২' যেভাবে দর্শককে প্রেক্ষাগৃহে ফেরানো পথ দেখিয়েছে সেই রাস্তা ধরেই বাকি সিনেমা একইভাবে দর্শক ফেরানোর কাজটি করছে। আশা করছি, আগামীতে আরও অনেক দর্শকপ্রিয় সিনেমা হবে। ১৪শ সিনেমা হল ছিল সেটা না হলেও অন্তত ৪শ হল হোক সেটাই কামনা করছি।

আগে কোনো সিনেমা নৃত্য ছাড়া কল্পনাই করা যেত না-

এখন সেটা কি হারিয়েই গেল?

না, কেন হারিয়ে যাবে! এখনকার সিনেমাতেও তো নাচ আছে। তবে সেটা অন্যরকম। যখনকার সময়ের নাচ তখনকার দর্শক সেটা তেমনই উপভোগ করতেন বা করছেন। সময়ের চাহিদা অনুযায়ীই আগে যেভাবে নৃত্যটা প্রদর্শিত হতো সেটাই শুধু বদলে গেছে। এখকার যারা নির্মাতা তারা অনেক সুন্দর সিনেমা বানাচ্ছে। তবে আমি বলব, ছোটপর্দা থেকে যেসব ডিরেক্টর বড়পর্দায় আসছেন তারা যেন প্রকৃত অর্থেই ফিল্ম বানান। টেলি ফিল্ম জাতীয় কিছু যেন না বানান।

এখন ছোটপর্দার নির্মাতা ও শিল্পী ঝাঁকেঝাঁকে বড়পর্দায়-

কেমন মনে করছেন?

কেউ যদি ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় আসে সমস্যা কী? দুটোই তো মাধ্যম। একটা ছোটমাধ্যম আরেকটা বড়মাধ্যম। আগেও ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় এসে অনেকে ভালো করেছেন। যেমন হুমায়ুন ফরীদি একজন লিজেন্ড অ্যাক্টর- সুবর্ণা, আফজাল এসেছিলেন- তারাও কিন্তু পর্দা কাঁপিয়েছেন। পরে সিয়াম, শুভসহ আরও অনেকে এসেছে। তবে আমি অনুরোধ করব, যারা ছোটপর্দা থেকে বড়পর্দায় আসছে তারা যেন রেগুলার ছোটপর্দায় না থাকে। একসঙ্গে দুটো মাধ্যমেই কাজ না করে। যদি সুযোগ থাকে তারা যেন নিয়মিত বড়পর্দাতেই কাজ করে। ছোটপর্দার যেসব নির্মাতা বড়পর্দায় ভালো করেছেন তারা যেন নিয়মিত বড়পর্দার জন্যই সিনেমা বানান। দেশের চলচ্চিত্র যেভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে এই সুবাতাসটা যেন অবিরাম বইতে থাকে।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে