চাষী নজরুলের মৃত্যুবাষির্কী আজ

প্রকাশ | ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০৮

বিনোদন রিপোটর্
চাষী নজরুল ইসলাম
আজ ১১ জানুয়ারি, দেশের স্বনামধন্য চলচ্চিত্র পরিচালক চাষী নজরুল ইসলামের মৃত্যুবাষির্কী। দীঘির্দন ক্যান্সারের সঙ্গে লড়াই করে ২০১৫ সালের এই দিনে তিনি রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। দেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্রের পরিচালক, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকজয়ী নিমার্তা, কালজয়ী চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুলের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা কমর্সূচি গ্রহণ করেছে। সকালে শ্রীনগর উপজেলার সমষপুরে তার কবরে পুষ্পস্তবক অপের্ণর মাধ্যমে শ্রদ্ধা নিবেদন করবে তার পরিবার, বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিসহ বিভিন্ন সংগঠন। পরিবারের পক্ষ থেকে রাজধানীর কবি জসিম উদ্দিন রোডে তার বাসভবনে কোরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়া বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির উদ্যোগে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন এফডিসিতে শনিবার সকালে কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সমিতির মহাসচিব মুশফিকুর রহমান গুলজার। তিনি বলেন, শুক্রবার এফডিসি অফিসিয়ালি বন্ধ থাকে। লোকজন কম আসেন। তাই আমরা কালজয়ী চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুলের মৃত্যুবাষির্কী উপলক্ষে শনিবার কোরআন খতম, দোয়া মাহফিল ও আলোচনা সভার আয়োজন করেছি। তবে শুক্রবার আমাদের সমিতির পক্ষ থেকে তার কবরে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হবে। খ্যাতিমান এ চলচ্চিত্র পরিচালক ১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুর শ্রীনগর থানার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৬১ সালে তখনকার খ্যাতিমান পরিচালক ফতেহ লোহানীর সঙ্গে ‘আছিয়া’ চলচ্চিত্রে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর প্রখ্যাত সাংবাদিক ও চলচ্চিত্রাকার ওবায়দ-উল-হকের সহকারী হিসেবে ‘দুইদিগন্ত’ চলচ্চিত্রে কাজ করেন ১৯৬৩ সালে। ১৯৭১-এর স্বাধীনতা যুদ্ধের পর তিনিই প্রথম নিমার্ণ করেন মুক্তিযুদ্ধভিক্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ এই চলচ্চিত্রটি ১৯৭২-এ মুক্তি দেয়ার মাধ্যমে পরিচালক হিসেবে চাষী নজরুলের আত্মপ্রকাশ করেন। এ ছাড়া নিয়মিত বেতারে, টিভিতে সান্ধ্য অভিনয় অব্যাহত ছিল। চলচ্চিত্রের প্রায়াত এ নিমার্তা একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ জীবনে অসংখ্য পুরস্কার অজর্ন করেছেন। ২০০৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। চাষী নজরুল ইসলাম চারবার বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির নিবাির্চত সভাপতি ছিলেন। তিনি ছিলেন জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি।