আঁখি আলমগীর সর্বজনে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবেই পরিচিতি লাভ করেছেন। কিন্তু সঙ্গীতের বাইরেও তিনি একজন অভিনেত্রী ও উপস্থাপিকা। বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী এই শিল্পীর আজ ৪৯তম জন্মদিন। আঁখি আলমগীরের জন্ম ১৯৭৪ সালের ৭ জানুয়ারি ঢাকায়। বেড়ে উঠেছেন সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে। তার পিতা বাংলাদেশের নন্দিত অভিনেতা আলমগীর এবং মাতা গীতিকার খোশনূর আলমগীর। বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী রুনা লায়লা তার সৎমা।
জন্মদিন প্রসঙ্গে আঁখি আলমগীর বলেন, 'মহান আলস্নাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করছি যে, তিনি আমাকে সুস্থ, সুন্দর এক জীবন দিয়েছেন। আমার দুই মেয়ে স্নেহা এবং আরিয়াকে নিয়ে আমার জীবন, আমার সঙ্গীত জীবনসহ সব মিলিয়ে আমি বেশ ভালো আছি। আমার ভালোবাসার মানুষেরা সব সময়ই আমার সঙ্গে আছেন, এটাই জীবনের অনেক বড় প্রাপ্তি।' এদিকে জন্মদিনের পরপরই নতুন নতুন গান নিয়ে আসছেন আঁখি আলমগীর। তবে বিস্তারিত এখনই জানাতে চাচ্ছেন না তিনি।
একজন প্রতিষ্ঠিত সংগীতশিল্পী হলেও, শোবিজে আঁখি আলমগীরের শুরুটা হয়েছিল অভিনয় দিয়ে। সদ্য প্রয়াত আমজাদ হোসেনের কালজয়ী ছবি 'ভাত দে'-তে শিশুশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছিলেন আঁখি। ১৯৮৪ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত এই ছবিতে অসাধারণ অভিনয়ের জন্য শিশু শিল্পী হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। কিন্তু তখনো তার ধ্যান-জ্ঞান সংগীতকে ঘিরে। শাস্ত্রীয় ও সমসাময়িক সংগীতের উপর দখল থাকা আঁখি চলচ্চিত্রের গান দিয়েই তার সঙ্গীত ক্যারিয়ার শুরু করেন। দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় প্রথম ১৯৯৪ সালে 'বিদ্রোহী বধূ' ছবিতে পেস্নব্যাক করেন। এরপর বিভিন্ন ছবিতে পেস্নব্যাক করার পাশাপাশি একক অ্যালবাম করার বিষয়ে মনোযোগী হন। তার প্রথম একক অ্যালবাম 'প্রথম কলি' প্রকাশিত হয় ১৯৯৭ সালে। সেই থেকে এ পর্যন্ত ১৮টি একক এবং বিভিন্ন শিল্পীর সঙ্গে ৫০টিরও বেশি দ্বৈত/মিশ্র অ্যালবাম প্রকাশ করেছেন। এছাড়া প্রায় ১৩০টি চলচ্চিত্রে পেস্নব্যাক করেছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন কনসার্টে অংশ নিয়ে কাটছে আঁখি আলমগীরের বর্তমান দিনকাল।
