মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১
সা ক্ষা ৎ কা র

এখনো জন্মদিন এলে আনন্দ করি

সুভাশিস মজুমদার বাপ্পা- বাংলা রোমান্টিক গানে বাপ্পা মজুমদার একটি জনপ্রিয় নাম। তরুণদের 'বাপ্পা দা' হিসেবে পরিচিত এ শিল্পী একাধারে সঙ্গীতশিল্পী, সুরকার ও গীতিকার। 'দলছুট' নামের ব্যান্ডদলের প্রধান। এই জনপ্রিয় সঙ্গীত শিল্পীর আজ জন্মদিন। ১৯৭২ সালের এ দিনে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। আজ তিনি ৫৩ বছরে পা রাখলেন। এ দিনটিসহ শিল্পীর নানা দিক নিয়ে কথা বলেন মাতিয়ার রাফায়েল
নতুনধারা
  ০৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৩, ০০:০০
সুভাশিস মজুমদার বাপ্পা

এবারে জন্মদিনটি কীভাবে কাটাবেন বলে ঠিক করেছেন?

?তেমন কিছুই না। গতকাল থেকেই ফোনে আর ফেসবুকে অসংখ্য ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা পাচ্ছি। এমন তো প্রতিবারই হয়। বন্ধুরা আসছেন আমার স্টুডিওতে। আসছেন আমার 'দলছুট' এর সদস্যরাও। সবাইকে নিয়ে আনন্দেই যাচ্ছে দিন।

এতে বিশেষ কোনো আয়োজন রাখছেন?

সেরকম কিছু নয়। তবে দিনটি এলেই বাবা-মাকে খুব মিস করি। স্ত্রী তানিয়া হোসাইন ও আমাদের তিন বছরের মেয়ে পিয়েতাকে নিয়ে ঘরোয়াভাবে কেক কাটব, আনন্দ করব। এই আনন্দে আমার আড্ডার বন্ধুবান্ধব ও সহযাত্রীরাও থাকবেন।

জন্মদিন এলে মনের মাঝে কেমন অনুভূতি কাজ করে?

এখন জন্মদিনের অনুভূতি তো আর শৈশবের মতো হবে না। এখন জন্মদিন এলেই বয়স বাড়ার ব্যাপারটিই বেশি ভাবায়। এখন জন্মদিন মানেই জীবন থেকে আরেকটি বছর ঝরে যাওয়া। অথচ ছোটবেলায় জন্মদিন এলেই মনে খুব আনন্দানুভূতি হতো। এখনো আনন্দ হয় না তা নয়। এখনো আনন্দ হয় যখন বন্ধুদের ও অনুরাগীদের সুভেচ্ছা পাই। তখন ভাবি, এখনো অনেক কিছু করার আছে আমার। এখনো অনেক কিছু জানা ও শেখার আছে। এই ভাবনা থেকে প্রতিনিয়তই চেষ্টা করছি নিজেকে আরও সমৃদ্ধ ও উজ্জ্বল করতে।

\হ

কেমন মাতাচ্ছে স্টেজ শো-তে এখন আপনার দলছুট?

ইতোমধ্যে বেশ কিছু স্টেজ শো করলাম। মাঠে এবং করপোরেট লেভেলে এ শোগুলো করা হয়েছে। ঢাকাতেই বেশি শো করেছি। ঢাকার বাইরেও করেছি- এইতো।

বিউটিফুল ভয়েসেস সিজন ওয়ান নামের কদ্দূর এগিয়েছে?

এর মধ্যে বেশ কিছু শিল্পীর গান রেকর্ড করা হয়েছে। রিলিজও হয়েছে কয়েকজনের। তাদের মধ্যে আছেন এলিটা করিম, সোমনূর কোনাল, আলিফ আলাউদ্দিন, আঁখি আলমগীর, টিনা রাসেল, সানিয়া রমা ও ফারহিন খান জয়িতা। শিগগিরই তাশফীর গান ছাড়া হবে। কাজটি শুরু করেছিলাম করোনাকালীন অবরুদ্ধ পরিবেশের সময়। তবে পরে সবকিছু ঠিকঠাক হয়ে আসলে বাইরের কাজ নিয়েই ব্যস্ত হয়ে পড়ি। ফলে এখন এটা ঠিক সেভাবে এগোতে পারছে না।

এ পর্যন্ত গাওয়া কোন গানগুলোকে এগিয়ে রাখবেন?

অনেক গানই তো আছে? তবে আমার প্রথম অ্যালবাম 'তখন ভোর বেলা'র নাম করা যায়। সেখানে সঞ্জীব দা'র লেখা একটা গান আছে 'রানী ঘুমায়'- এটি আমার খুব পছন্দের একটি গান? এ ছাড়া রানার লেখা 'বৃষ্টি পড়ে' গানটিও আমার ভালো লাগে? সঞ্জীব দা'র লেখা ও সুর করা আরও একটি গান 'আমার সন্তান' এটিও অসাধারণ? আমার ভীষণ প্রিয় গানগুলোর একটি। এ ছাড়া 'ঘুম জড়ানো', 'অজানা এ কোন ভেলা', 'পরী', 'দিন বাড়ি যায়', 'রাতের ট্রেন' প্রভৃতি গানগুলোও ভালো লাগে।

গানের কপিরাইট এখন কতটা জোরদার

হয়েছে বলে মনে করেন?

এখন গানের কপিরাইট বিষয়ে শিল্পীরা

আগের চেয়ে অনেক সিরিয়াস হয়েছে। আগে শিল্পীরা নিজেদের কপিরাইট, রয়্যালিটি এসব নিয়ে তেমন সচেতন ছিলেন না। যখন কোভিড এসে শিল্পীদের বেকার করে দিয়েছিল তখন থেকেই এই সচেতনতা এসেছে।

এখন গীতিকার, সুরকার, শিল্পী- সবাই কপিরাইট নিয়ে অনেক সিরিয়াস। এ নিয়ে এখন প্রায়ই সচেতনতামূলক সেমিনার হচ্ছে। আমি এটাকে খুব ইতিবাচক

দিক বলে মনে করি।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়

উপরে