সা ক্ষা ৎ কা র

নতুনদের মধ্যে নজরুলসংগীত চচার্ বাড়ছে

প্রথিতযশা নজরুলসংগীত শিল্পী শাহীন সামাদ। তরুণ প্রজন্মের মাঝে নজরুল বন্দনা ছড়িয়ে দিচ্ছেন তিনি। বিশেষ করে নতুন প্রজন্মের কাছে নজরুলের বাতার্ পেঁৗছে দিচ্ছেন এই গায়িকা। মুক্তিযুদ্ধের একজন কণ্ঠযোদ্ধা হিসেবেও ‘শাহীন সামাদ’ সমাদৃত একটি নাম। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের সময় শাহীন সামাদ গানের মাধ্যমে উজ্জীবিত করেছিলেন মুক্তিকামী যোদ্ধাসহ আপামর জনসাধারণকে। নজরুলসংগীত ও আনুষঙ্গিক অন্যান্য বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে

প্রকাশ | ২১ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
শাহীন সামাদ
নজরুলসংগীত চচার্ ... বতর্মানে নজরুলের গানের চচার্ শুদ্ধভাবে হচ্ছে। নতুন ছেলেমেয়েদের কণ্ঠে নজরুলের গান শুনে আমি মুগ্ধ। ওদের এত সুন্দর কণ্ঠ ও গায়কী আমাকে আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। ওদের মধ্যে নজরুলসংগীত চচার্ বেড়েছে। এভাবেই নজরুল দীঘির্দন টিকে থাকবে সবার মাঝে। এছাড়াও জাতীয় পযাের্য় আরও উদ্যোগ নেয়া দরকার। দেশের গণমাধ্যমগুলোকে এ বিষয়ে অগ্রণী ভূমিকা রাখতে হবে। গান প্রচারের আর একটি বড় মাধ্যম হচ্ছে চলচ্চিত্র। এখানেও নজরুল গানের সংখ্যা বাড়াতে হবে। নজরুলসংগীত নিয়ে ... আমি ছায়ানটে এতগুলো বছর ধরে আছি। ছায়ানটের শিক্ষাব্যবস্থা অন্যরকম। গান যেভাবে শেখানো হয় তা নিজের ভিতর নিয়ে বড় হয় ছেলেমেয়েরা। এজন্যই জুনিয়র সেকশনে সিনিয়র সেকশনের শিল্পীরাই শিক্ষকতা করে। তবে একটা জিনিস মিডিয়ায় নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে। সবার মধ্যে একটা বিষয় লক্ষ্য করা যায় টিভিতে মুখ দেখাতে হবে। গান নজরুল একাডেমিতে শেখানো হচ্ছে। জেলা পযাের্য় চচার্ হচ্ছে। আরও নানান জায়গায় হচ্ছে। মিডিয়ায় নিজেকে দেখানোর লোভ সংবরণ করতে পারলে একাডেমিক শিক্ষা আরও সুফল বয়ে আনবে বলে আমার বিশ্বাস। চলমান মিউজিক ভিডিও... এখন দেখছি যেকোনো গান শোনার পাশাপাশি দেখার বিষয় হয়ে দঁাড়িয়েছে। অনেকেই তাদের গানের ভিডিও করছে। কিন্তু এসব নিয়ে আমার তেমন পরিকল্পনা নেই। তবে কেউ মিউজিক ভিডিও করতে চাইলে আমার আপত্তি নেই। বিষয়টি নিয়ে আমি এত আগ্রহ দেখাই না। বাংলাদেশ মুক্তি-সংগ্রামী শিল্পী সংস্থা... এ সংস্থাটি গঠিত হয়েছিল ১৯৭১ সালে কলকাতার ১৪৪ নং লেনিন সরণিতে। আমাদের সহযোগিতা করেছিলেন দীপেন বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক সাংবাদিক। মুক্তিযোদ্ধাদের উদ্বুদ্ধ করতে আমরা এটা করেছিলাম। আমরা বিভিন্ন শরণাথীর্ শিবিরে গিয়ে তাদের গান শুনাতাম। সেই সব দিনগুলো... স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রে গিয়ে দিনের পর দিন বসে থাকা যেত না, কারণ আমাদের কাজটা ছিল বাইরে। সমর দাস আমাদের তখন ডেকেছিলেন। তারপর আমরা সেখানে ৬-৮টি গান রেকডর্ করি। একপযাের্য় আমরা টালিগঞ্জ টেকনিশিয়ান স্টুডিও থেকে ১৪টি গান রেকডর্ করে পাঠিয়েছিলাম। সে গানগুলোর মধ্যে ছিল জনতার সংগ্রাম চলবেই, আমার প্রতিবাদের ভাষা, একি অপরূপ রূপে মা তোমার, খঁাটি সোনার চেয়েও খঁাটি ইত্যাদি। সেখানেও নজরুলের গানই ছিল বেশি। কারণ নজরুলের গানগুলো ছিল অনুপ্রেরণামূলক।