আলাউদ্দিন আলীর অবস্থা সংকটাপন্ন

প্রকাশ | ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ০০:০০ | আপডেট: ২৪ জানুয়ারি ২০১৯, ১০:৩৫

বিনোদন রিপোটর্
আলাউদ্দিন আলী
কিংবদন্তি সুরকার ও সংগীত পরিচালক আলাউদ্দিন আলী হাসপাতালে। মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর মহাখালীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে তাকে ভতির্ করা হয়। তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। আলাউদ্দিন আলীর পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। সেসঙ্গে জ্বরও ছিল। মঙ্গলবার রাতে তা বেড়ে গেলে হাসপাতালে যেতে হয়েছে আটবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারজয়ী এই সংগীত পরিচালককে। জানা গেছে, রাতে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চেকআপ শেষে আলাউদ্দিন আলীকে আইসিইউতে রাখার পরামশর্ দেয়া হয়। এদিকে তার মেয়ে সংগীতশিল্পী আলিফ আলাউদ্দিন মঙ্গলবার রাতেই ফেসবুকে পোস্ট দিয়ে জানিয়েছেন, তার বাবা আইসিইউতে। কেউ যেন বিষয়টি নিয়ে কোনোরকম গুজব না ছড়ায়। তিনি বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন। প্রসঙ্গত, আলাউদ্দীন আলী বাংলা গান, বিশেষ করে বাংলা চলচ্চিত্রে অসংখ্য শ্রোতাপ্রিয় গান সৃষ্টি করেছেন। তিনি একাধারে সংগীত পরিচালক, সুরকার, বেহালাবাদক ও গীতিকার। তার জন্ম ১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর, মুন্সীগঞ্জের বিক্রমপুরে। লোকজ ও ধ্রæপদী গানের সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা আলাউদ্দিন আলীর সুরের নিজস্ব ধরন বাংলা সংগীতে এক আলাদা ঢঙ হয়ে উঠেছে বিগত প্রায় চার দশক ধরে। বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের বহু বিখ্যাত শিল্পী তার সুরে গান করেছেন। ‘সুখে থাকো ও আমার নন্দিনী হয়ে কারও ঘরনি’, ‘ও আমার বাংলা মা তোর’, ‘সূযোর্দয়ে তুমি সূযাের্স্তও তুমি ও আমার বাংলাদেশ’, ‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়ি গেলাম দেখা পাইলাম না’, ‘যেটুকু সময় তুমি থাকো কাছে মনে হয় এ দেহে প্রাণ আছে’, ‘প্রথম বাংলাদেশ আমার শেষ বাংলাদেশ’, ‘এমনও তো প্রেম হয় চোখের জলে কথা কয়’, ‘আছেন আমার মুক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার’, ‘জন্ম থেকে জ্বলছি মাগো’, ‘ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়’, ‘সবাই বলে বয়স বাড়ে আমি বলি কমে রে’, ‘আমায় গেঁথে দাওনা মাগো একটা পলাশ ফুলের মালা’, ‘কেউ কোনো দিন আমারে তো কথা দিল না’, ‘পারি না ভুলে যেতে স্মৃতির মালা গেঁথে’, ‘যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়’Ñ এমন আরও অনেক কালজয়ী গানের রূপকার আলাউদ্দিন আলী।