সা ক্ষা ৎ কা র

বাংলাদেশকে আমি হৃদয়ে ধারণ করি

সিদ্দিকুর রহমান- নাটকের কমেডি চরিত্রের জন্য আলোচিত অভিনেতা। অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। মাঝে অভিনয় ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। কিন্তু অভিনয়ের মধ্য দিয়ে তার যে বিপুল অনুরাগী দর্শক তৈরি হয়েছে তার টানেই আবার ফিরে আসেন। বর্তমানে সামাজিক কর্মকান্ডেও জড়িয়ে গেছেন এই অভিনেতা। তার বর্তমান ব্যস্ততাসহ নানা বিষয়ে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চলমান ব্যস্ততা কেমন যাচ্ছে আপনার? এখন সামাজিক কর্মকান্ডেই বেশি ব্যস্ততা যাচ্ছে আমার। নিজ এলাকার উন্নয়নমূলক কাজ করছি। এখন আমি জাতীয় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত। গতকাল আমার পার্শ্ববর্তী এলাকার এক রিলেটিভ অনাথের বিয়ে দিয়েছি। এটা আমার সামাজিক কর্মকান্ডের অংশ। আমার এলাকার তৃণমূলের যারা অসহায়, অনাথ আছে তাদের বিয়ে দেওয়ার কাজ করছি। আগামীকাল (আজ) আবার ঢাকায় ফিরে যাব। তারপরে সেখানে ঢাকা-১৭ সংসদীয় এলাকায় নির্বাচনী জনসংযোগ করব। আপনি কি আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী? এমপি হওয়ার জন্য অলরেডি আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের হয়ে মনোনয়ন প্রত্যাশা করে দুটো এলাকাতে জনসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছি। এর একটি হচ্ছে আমার নিজ এলাকা টাঙ্গাইল-১ এবং ঢাকা-১৭। প্রধানমন্ত্রী যেখান থেকে ভালো মনে করবেন সেখান থেকে মনোনয়ন পেলেই আমি খুশি। এখন আমি মাসের পাঁচ দিন রেখেছি শুটিংয়ের জন্য আর মাসের বাকি দিনগুলো রেখেছি সামাজিক কর্মকান্ডসহ রাজনৈতিক জনসংযোগের জন্য। নাটকে অভিনয় বা নির্মাণের কাজে কী করছেন? ইতোমধ্যে আমি আমার ফাইভ স্টার হাউজ থেকে ২৫টি নাটক ২৫টি জেলা থেকে বানিয়েছি। এগুলো অলরেডি একটি করে রিলিজ করছি। এ ছাড়া হাতে যেসব নাটক আছে, শিডিউল দেওয়া আছে- সেগুলো করছি। তবে যেহেতু আগামী জানুয়ারিতে নির্বাচন হবে তাই আমাকে আগামী সংসদ নির্বাচনে যোগদানের জন্য জনসংযোগ চালাতে হচ্ছে, আপাতত নতুন কাজ নিচ্ছি না। তার মানে এমপি হতে পারলে আপনার অভিনয়ও শেষ- যেমন অন্যদের হয়েছে? আমি আসাদুজ্জামান নূর ভাই, তারানা হালিম, সুবর্ণা মোস্তফা, মমতাজ বা অন্য যারা আছেন তাদের মতো নই। তারা তো তাদের পেশাগত মর্যাদাই অর্জন করতে পারেনি। আমি কিন্তু তাদের থেকে ব্যতিক্রম। তাই এ দেশের জন্য অন্তত একটা সিদ্দিকুর রহমান দরকার। আমি তো নাটক পরিবারেরই সন্তান। একটা সময় পুরো জীবিকা নির্বাহ করতাম অভিনয়ের মাধ্যমেই। তো, ব্যক্তি সিদ্দিক একটা দলের পক্ষে থাকতেই পারে কিন্তু যখন আমি নাট্যকার, অভিনেতা বা নির্মাতা সিদ্দিকুর রহমান তখন এক শ্রেণির জনগণের জন্য নয়- তখন আমি সারা বাংলাদেশের মানুষের। আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাতীয় পার্টি বা অন্য কোনো দলের সমর্থক হয়ে কাজ করব না। ফালতু যেসব সংলাপ দিয়ে পূর্ণ হয়ে উঠছে নাটক- এ সম্পর্কে কিছু বলবেন? এটার জন্য আমি সব সময়েই প্রতিবাদ করে আসছি। যারা আমার পরিবারে হানা দেবে আমার পরিবারকে ছোট করবে তাদের বিরুদ্ধে আমি সব সময়েই সোচ্চার। আমি মনে করি, শিল্পী মানে সমগ্র মানুষের জন্য একটা আইডল। কাজেই তার মুখ থেকে শুধু 'ভিউ' বাড়ানোর জন্য এমন ফালতু ল্যাঙ্গুয়েজ বের হবে না যেটা পরিবার বা সমাজের জন্য ক্ষতিকর। এমন অঙ্গভঙ্গি করব না যেটা পরিবার ও দেশ গঠনের ক্ষেত্রে বাধাগ্রস্ত হবে। এ জন্য আন্দোলনে নামতে হলেও রাজি আছি। যেহেতু নাটকের মধ্য দিয়ে আমি একটা আইডল হতে পেরেছি সেহেতু বাংলাদেশের ভুখন্ড ও পতাকা আমার অন্তরে ঠাঁই করে নিয়েছে। কারণ, বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব আমি ক্যারি করি। যারা সার্বভৌমত্ব ক্যারি করে আমি মনে করি তাদের এই ধরনের নাটক করা উচিত নয় যেটা পরিবারের জন্য ক্ষতিকারক হবে। চলচ্চিত্র যেমন যাচ্ছে, কেমন মনে করছেন? আমি কয়েকটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করলেও চলচ্চিত্রের মানুষ নই। তবে এক্ষেত্রে এটুকু বলব আমাদের দেশ এখনো চলচ্চিত্রের জন্য তৈরি হয়নি। সেটা হওয়া দরকার। সরকারের তরফে যতটুকু সহায়তা পাওয়া দরকার সেটাও অপর্যাপ্ত। বড় বড় বিল্ডিংয়ের জন্য এক হাজার কোটি টাকার বাজেট করলেই সেটা চলচ্চিত্রের উন্নতি করা নয়। এমনিতেই আমাদের সিনেমা ভঙ্গুর। তার ওপর যারা বিদেশি সিনেমা আনতে চায় আমি মনে করি, তারা এ দেশের ইন্ডাস্ট্রিকে ধ্বংস করতে চাচ্ছে। আমরা এ দেশকে দুবাই বানাতে চাই না। এজন্য যদি আন্দোলনে নামতে হয় আমি তাতে থাকব।