সা ক্ষা ৎ কা র

সব বয়সির জন্যই গান করি

জানিতা আহমেদ ঝিলিক- গানের ভুবনে ঝিলিক নামেই পরিচিত। চ্যানেল আই 'সেরাকণ্ঠ'খ্যাত এ শিল্পী নতুন প্রজন্মের কাছে অল্প সময়েই অন্যতম শিল্পী হয়ে উঠেছেন। এ কণ্ঠশিল্পীর চলমান ব্যস্ততাসহ নানা প্রসঙ্গে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল

প্রকাশ | ২০ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

মাতিয়ার রাফায়েল
জানিতা আহমেদ ঝিলিক
কেমন কাটালেন এবারের শীতের মৌসুম? ভীষণ ভালো কেটেছে। শীতকালটা আমাদের সবারই পছন্দের ঋতু। শীতকাল মানেই আমাদের স্টেজ মৌসুম। সুতরাং এই সময়টা আমাদের খুব ভালো কাটে। আলহামদুলিলস্নাহ, খুব ভালো একটা সিজন গেল। বলতে পারেন গত করোনাকালীন পরিস্থিতির পর সুন্দর একটা প্রপার সময় কাটালাম। বাংলাদেশের প্রায় সব জায়গাতেই এবার শো করেছি। উলেস্নখযোগ্য কোথায় কোথায় শো করলেন? অনেক জায়গাতেই তো শো করেছি আলাদাভাবে উলেস্নখ করতে পারছি না। বেশিরভাগ শোই ছিল স্কুল বা কলেজের শত বা পঞ্চাশ বছর পূর্তি বা কোনো ব্যাচের বর্ষপূর্তি, পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান। তাই উলেস্নখযোগ্য হিসেবে কোনোটাই মনে নেই বা চিহ্নিত করে বলতে পারব না। ইনডোরেও তো অনেক শো করেছেন- তাই না? তা করেছি। তবে ইনডোর এবং ওপেন স্টেজ দুটোর অনুভূতিই আলাদা। ইনডোর শোতে অবশ্য সুন্দর গানগুলো গাওয়ার সুযোগ থাকে। আর ওপেন শোতে সব ধরনেরই গান হয়। আনন্দ উলস্নাস বেশি হয়। এনভায়রনমেন্টই এখানকার আনন্দ-উলস্নাস বাড়িয়ে দেয়। ইদানীং যারা ইনডোরের অ্যারেঞ্জ করেন তারাও আনন্দ উলস্নাস পেতে চান। তবে দুটো জায়গার আনন্দই আলাদা রকমের। কনসার্টে তারুণ্যের উচ্ছ্বাস থাকেই- স্টেজ শোতেও তাই হয়? স্টেজ শোতে মিক্সড অডিয়েন্স হয়। শ্রোতার টেস্টও মিশ্র। সেজন্য আমরা গান গাওয়ার আগে সেটা মাথায় রেখেই গাই। তাই এমন গানই সিলেক্ট করি যাতে সব বয়সের শ্রোতা উপভোগ করতে পারেন। তবে সব শোতেই কিছুটা নাচানাচি, আনন্দদায়ক গান দিয়েই অনুষ্ঠানটি শেষ করা হয়। টিভি লাইভ শো কেমন করলেন? টিভিতে মাশাআলস্নাহ আমার গান সবাই পছন্দ করেন। সবারই আমার প্রতি আগ্রহ আছে। তবে স্টেজ শো'র কারণে টিভিতে কোনো প্রোগ্রাম করতে পারিনি। ডাক আসলেও সাড়া দিতে পারিনি। এখন যেহেতু স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ততা থাকবে না রোজার পরে আবার টিভিতে গান গাইতে শুরু করব। সামনে তো ২৬ মার্চ। কনসার্ট, স্টেজ শো'র জন্য একটা গুরুত্বপূর্ণ দিন এখন যে রোজার সময় চলে এলো। অন্যান্য বছরে স্বাধীনতা দিবসে যে রকম অনেক বড় পরিসরে আয়োজন হয় এবার রোজার কারণে আমাদের কারোরই কোনো প্রোগ্রাম থাকছে না। সেক্ষেত্রে এই দিনটিতে আমাদের সেলিব্রেট করার মতো কিছু নেই। স্টেজ শো করে কীরকম সম্মানী পান? এটা আমি এককভাবে বললে তো হবে না। তবে আমার যতটুকু পরিচিতি সেটা মাথায় রেখেই আমি সম্মানী চাই। চাই বললেও ভুল হবে আমি যে মানের শিল্পী আমার যা প্রাপ্য সেটা আমি আদায় করবই। সবার কথা বলতে পারব না আমি সম্মানী আদায়ে কোনো ছাড় দিই না। সেটা ইনডোর হোক আর আউটডোরই হোক। কারণ এটা আমার প্রফেশন। শুধু তাই নয়, আমি মনে করি সবারই তা-ই করা উচিত। নাটকে বা পেস্ন-ব্যাকে নতুন কিছু করেছেন? আপাতত নাটকে বা পেস্ন-ব্যাক করা হয়নি। সেভাবে ডাকও আসেনি। সে রকম যদি ডাক আসে তাহলে নাটকে নেপথ্য গানে কণ্ঠ দেওয়াসহ পেস্ন-ব্যাক করব। নাটক বা সিনেমা তো আমি বানাই না যারা বানান তারা যদি না ডাকেন তাহলে কী করে সেখানে গাইব। আপনার গানের ইনস্টিটিউটের অগ্রগতি কেমন? আমার আব্বা গানের শিল্পী ছিলেন। টিভি, রেডিওতে নিয়মিত গাইতেন। আমার ইচ্ছা ছিল আব্বার সম্মানে বড় পরিসরে গানের ইনস্টিটিউট করার। স্বপ্ন তো সবাই দেখতে পছন্দ করে। আমিও একটা স্বপ্ন দেখি। আসলে হয় কি একা কারও পক্ষে বড় কোনো কিছু করা সম্ভব হয় না। ইচ্ছে ছিল স্কুলটি করার। এখন সেটা কতটুকু কী হবে জানি না, তবে চেষ্টা করব।