ফের বিস্ফোরক সারা আলী

প্রকাশ | ২৭ মার্চ ২০২৩, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সারা আলী খান। অল্প কিছু সময়ের মধ্যেই তিনি জনপ্রিয় হয়ে গেছেন। অভিনয়ে নিজেকে প্রমাণ করেছেন। বলিউডের অনেক অভিনেতা, অভিনেত্রী আছেন, যারা সিনেমার পাশাপাশি সামাজিক ক্রিয়াকলাপ ও রাজনীতি নিয়েও মন্তব্য করেন। কিন্তু সারা আলী খানকে এ বিষয়ে মন্তব্য করতে দেখা যায়নি। এ বিষয়ে তিনি বলেন, 'আমি যেমন মেয়ে, আমি একবার কথা বলতে শুরু করলে তো রোজই বিস্ফোরণ ঘটবে! তাই আমি চুপ করে থাকি'। তবে ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বেশ খোলামেলা কথা বলেন তিনি। বিস্ফোরক তথ্য দেন। আর তাই বাবা সাইফ আলী খান ও মা অমৃতা সিংয়ের বিচ্ছেদ নিয়ে আরও একবার কথা বললেন সারা আলী খান। নতুন ছবি 'গ্যাসলাইট'-এর প্রচারে পারিবারিক প্রসঙ্গ আনলেন সারা। দিলেন বিস্ফোরক তথ্য। তিনি জানালেন, বিচ্ছেদের কথা তুলে মা-বাবাকে অপরাধবোধে ভোগানোর চেষ্টা করতেন অভিনেত্রী। সারা ও ইব্রাহিম আলী খান নিজেদের দেখাতে চাইতেন যে, মা-বাবার সেই সিদ্ধান্তের জন্য ভুগছেন তারা। সারা জানান, এখনো মজার ছলে এমনটা করে থাকেন তিনি। ১৯৯১ সালে ভালোবেসে বিয়ে করেন সাইফ ও অমৃতা। কিন্তু তাদের দাম্পত্য শেষমেশ টেকেনি। ২০০৪ সালে ১৩ বছরের সম্পর্কে ইতি টানেন তারা। ২০১২ সালে কারিনা কাপুরকে বিয়ে করেন সাইফ। বর্তমানে তাদেরও দুই সন্তান তৈমুর আলি খান ও জাহাঙ্গির আলি খান। সারা জানান, মা-বাবার বিচ্ছেদের প্রসঙ্গ তুলে তাদের থেকে নানা ধরনের সুযোগ-সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করতেন তারা। সারার কথায়, 'আমিও অনেক সময় বাবা-মাকে আমার শিকার বানিয়েছি, বস্ন্যাকমেইল করেছি। তখন আমার বয়স ১১, বাবার কাছে গিয়ে বলেছি, আব্বা, এখানে মা নেই, আমাদের তাই এটা দিতেই হবে। আবার যখন আমার বয়স ১৫ তখন গিয়ে বলেছি, আব্বা তুমি আমাদের সঙ্গে থাকো না, তাই এটা আমাদের চাই।' তবে শৈশব থেকেই সাইফ-অমৃতার এমন সিদ্ধান্তের কারণ বুঝেছিলেন সারা। এক সাক্ষাৎকারে সারা বলেন, 'আমি ছোট থেকেই অনেক পরিপক্ক ছিলাম। যখন আমার ৯ বছর বয়স, তখনই বুঝতাম, বাবা-মা একসঙ্গে সুখে নেই। বরং তারা আলাদা থাকার পর থেকে অনেক হাসিখুশি জীবন কাটিয়েছেন। প্রথম ১০ বছরে আমি মায়ের মুখে হাসি দেখিনি, যেটা বাবার থেকে আলাদা হওয়ার পর দেখেছি। যদি দুটি পৃথক বাড়িতে বাবা-মাকে সুখী দেখি, তাহলে আমরা দুঃখ কেন পাব!' বিচ্ছেদের পর অমৃতার কাছে থেকেছেন সারা ও ইব্রাহিম। সাইফের সঙ্গেও তাদের সহজ সমীকরণ। ব্যস্ত রুটিনে ফাঁক পেলেই বাবার সঙ্গে সময় কাটান তারা।