সা ক্ষা ৎ কা র

তারকা নয়, শিল্পী হওয়ার চেষ্টা থাকতে হবে

আবুল হায়াত। নাট্য অভিনেতা ও পরিচালক হিসেবেই পরিচিত তিনি। পাশাপাশি লেখক হিসেবেও সুনাম আছে তার। দীঘির্দন ধরেই লেখালেখির সঙ্গে জড়িত তিনি। প্রতিবারের মতো এবারের বইমেলাতেও প্রকাশ পেয়েছে তার লেখা বই। অভিনয়, পরিচালনা, লেখালেখি ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১১ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আবুল হায়াত
বইমেলায় ‘বিষফল’... এবারের বই মেলায় আমার লেখা ‘বিষফল’ নামে একটি উপন্যাস বের হয়েছে। প্রকাশ করেছে প্রিয় প্রকাশনী। বইটির প্রচ্ছদ করেছে আমার বড় মেয়ে বিপাশা হায়াত। আমার বেশির ভাগ বইয়ের প্রচ্ছদ বিপাশাই করেছে। গত বছর মেলাতে প্রকাশ হয়েছিল আমার লেখা তিনটি বই। ঢাকা শহরের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে রসগল্প ‘ঢাকা মি’, স্মৃতিকথার ‘জীবন খাতার ফুটনোট’ এবং আমার বিভিন্ন গল্প নিয়ে লেখা ‘মিতুর গল্প’ । লেখালেখি... সেই ইন্টারমিডিয়েটে পড়া সময় থেকেই লেখালেখি করি। অভিনয়ের পাশাপাশি লেখার অভ্যাসটা এখনো রয়ে গেছে। ‘বিষফল’ আমার লেখা ৩০তম বই। প্রথম বই প্রকাশ হয়েছিল আজ থেকে ২৭ বছর আগে বাংলা ১৩৯৮ সালে। সেটি ছিল উপন্যাসের বই ‘আপ্লুত মরু’। ইচ্ছে আছে আগামীতে নতুন কিছু নিয়ে লেখার। অভিনয় ও পরিচালনা... বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচার চলতি কয়েকটি ধারাবাহিকের পাশাপাশি খÐ নাটকেও অভিনয় করছি। আর প্রতি বছরই একাধিক নাটক পরিচালনা করে থাকি। সবের্শষ ‘ঝুমকা’ নামে সমাজ সচেতনমূলক একটি নাটক পরিচালনা করেছিলাম। চলতি বছরে এখনো শুরু না করলেও পরিকল্পনা আছে পরিচালনার। চলচ্চিত্রেও সরব... ১৯৭২ সালে ঋত্বিক কুমার ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে আমার সিনেমায় কাজ শুরু। এরপর ভিন্নধারা ও বাণিজ্যিক ধারা অনেক ছবিতে কাজ করেছি। সবের্শষ তৌকির আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়ায়’ চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নিমির্ত এ ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে আগামী ১৫ ফেব্রæয়ারি। নতুন চলচ্চিত্রের বিষয়ে কথা চলছে। আশা করি খুব শিগগিরই কাজ শুরু করব।