বিচারকের আসন থেকে সরে দঁাড়ালেন কোনাল

প্রকাশ | ১২ ফেব্রুয়ারি ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
সোমনুর মনির কোনাল
শিশুদের নিয়ে চ্যানেল আইয়ের রিয়েলিটি শো ‘গানের রাজা’র অন্যতম বিচারক ছিলেন কণ্ঠশিল্পী সোমনুর মনির কোনাল। এতদিন ভালোয় ভালোয় চললেও হঠাৎ করে বিচারকের দায়িত্ব থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে নেন চ্যানেল আই সেরাকণ্ঠখ্যাত এ তারকা। জানা গেছে, বিচারের রায় উপেক্ষা ও শিশুদের গান নিবার্চনে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ এনে অনুষ্ঠানটি থেকে সরে যান তিনি। অনুষ্ঠানটির পরের পবর্গুলোয় আর দেখা যাবে না তাকে। সরে দঁাড়ানোর বিষয়টি ব্যাখ্যা করে কোনাল বলেন, মাত্রাতিরিক্ত অনিয়মের কারণেই স্বেচ্ছায় নিজেকে সরিয়ে নিই। এ অনিয়মের কারণে অনুষ্ঠানটি স্বাভাবিকভাবে বিচার কাজ চালানো যাচ্ছিল না। আমাদের সময়ে ৪০ শতাংশ ভোট দিতেন দশর্ক। এখানে সেই সুযোগ নেই। এখন সবকিছু নিধার্রণ করেন প্রযোজক। একজন বিচারক বা দশর্ক কখনো সঠিক সিদ্ধান্ত দিতে পারেন না। অনুষ্ঠান টিম শুরু থেকেই এ কাজে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। শুরুতে ছোটখাটো অনেক ব্যাপার মেনে নিয়েছি। পরে দেখলাম শিশুদের গান বাছাই করার ক্ষেত্রে অনিয়ম করছেন তারা। দেখা গেছে, বিচার কাজে তারা যে সিদ্ধান্ত দিচ্ছেন, সেটাও মেনে নিতে হচ্ছে। তাহলে আর বিচারক থেকে লাভ কী?’ জানা গেছে, অনিয়মের কারণে শিশুদের গানের প্রতিযোগিতা ‘গানের রাজা’র শীষর্ ছয় থেকে সম্প্রতি বাদ পড়েছেন খুলনা বিভাগের প্রতিযোগী সালভিয়া আফরোজ জয়ী। তার অভিভাবক জানান, চক্রান্ত করে তার মেয়েকে বাদ দেয়া হয়েছে। যে গান যে প্রতিযোগী ভালো পারে, তাকে সেই গান দেয়া হয়েছে। যাকে বাদ দেয়া হবে, তাকে দেয়া হয়েছে একেবারে অচেনা একটি গান। অনিয়মের অভিযোগ প্রসঙ্গে ‘গানের রাজা’র পরিচালক তাহের শিপন বলেন, ‘প্রতিযোগিতার বিচারক কোনাল ও ইমরানের নম্বরের ভিত্তিতেই প্রতিযোগীদের বিচার করা হয়েছে। তাদের সই করা নম্বরপত্র আমাদের কাছে আছে। চাইলে আমরা সেটা দেখাতেও পারব।’ ‘গানের রাজা’র নিবার্হী প্রযোজক ইসমত আরা ইতি বলেন, ‘এটি একটি প্রতিযোগিতা। এখান থেকে স্বাভাবিক নিয়মে আমাদের কিছু প্রতিযোগীকে বাদ দিতে হয়। বিচারকরা যে নম্বর দিয়েছেন, তার ভিত্তিতেই ওই প্রতিযোগীকে বাদ দেয়া হয়েছে।’ একজন নিয়মিত বিচারক কেন অনুষ্ঠান ছেড়ে দিলেন? তিনি বলেন, ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার কিছু বিষয় থাকে। সে রকম একটা ঘটনার জেরে তিনি চলে গেছেন।’