সা ক্ষা ৎ কা র

অশৈল্প নয়, শিল্প আর শিল্পীর জয় হোক

দুই পদার্র জনপ্রিয় অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। সুদক্ষ অভিনয়ের জন্য দুইবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেছেন তিনি। এ ছাড়াও ২০১৮ সালে মুক্তি প্রতীক্ষিত হুমায়ূন আহমেদের লেখা উপন্যাস অবলম্বনে নিমির্ত মিসির আলি চরিত্রে ‘দেবী’ চলচ্চিত্রটি। অভিনয় ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হয় তার সঙ্গেÑ

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চঞ্চল চৌধুরী
যা নিয়ে ব্যতিব্যস্ত... আগামী ঈদুল আজহায় ঈদের জন্য চারটি সাত পবের্র, আর একটি হচ্ছে ১০ পবের্র। ১০টির মতো এক পবের্র নাটক ও টেলিছবিতে অভিনয় করছি। এ ছাড়া পঁাচটি ধারাবাহিক নাটক আমাকে দেখা যাবে। সবগুলো কাজেরই গল্প এবং চরিত্র আলাদা। গতবারের পরিচালকদের সঙ্গে এবারও কাজ করছি। ওভাবেই পরিকল্পনা করে শিডিউলমাফিক ঈদের নাটকে শুটিং করছি। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্তির অনুভ‚তি... প্রতিটি পুরস্কারের অনুভূতিই দারুণ। তবে পুরস্কারের জন্য নয়, মূলত অভিনয়কে ভালোবেসেই প্রাণ উজাড় করা আবেগ আর পরিশ্রম দিয়ে কাজ করে। সত্যি বলতে, কখনো পুরস্কারের আশায় পরিকল্পনা করে কাজ করিনি। আমার এই পরিশ্রমকে সরকার সম্মান করেছেন এতেই আমি স্বাথর্ক। আমি মনে করি, আমার এই অজর্ন দশের্কর ভালোবাসার কারণেই সম্ভব হয়েছে। আমার কাজ নিয়ে আপনাদের ভালোবাসার দিকে তাকিয়ে থাকি, থাকবও। কৃতজ্ঞতা সবার প্রতি। নাটকের হালচাল... আমি একটি কথায় বলব, বড় বড় কথা না বলে নাট্যাঙ্গনে মানুষদের স্বাথের্ক পেছনে ফেলে মানসম্মত নাটক নিমাের্ণ এগিয়ে আসতে হবে। সততার সঙ্গে শিল্পের কাজটা করতে হবে, সেই সঙ্গে নাটকের বাজেট বাড়াতে হবে। শুধু তাই নয়, দু-একজনকে কেন্দ্র করে নাটক বানানো বন্ধ করতে হবে। তাহলেই অনেক সিনিয়র গুণী শিল্পী সসম্মানে কাজ করে বেঁচে থাকবেন। সেই সঙ্গে শিল্পীদের নিজের সুস্থ জীবন চচার্ করাটাও অতি আবশ্যক। বাংলাদেশে ভালো অভিনয়শিল্পী অনেক রয়েছেন। তবে কাকে কোন চরিত্র দেয়া হবে সেটা সঠিকভাবে নিধার্রণ করা অতি প্রয়োজন। আমরা কেউই দুস্থ শিল্পী হয়ে, মানবেতর জীবন পার করে মৃত্যুবরণ করতে চাই না। অশৈল্প নয়, শিল্প আর শিল্পীর জয় হোক। অভিনয়ের প্রাপ্তি... জীবনে প্রাপ্তির তো শেষ নেই। তবে এখনই সব শিখছি। আমার জীবনের বড় প্রাপ্তিটা হলো, প্রতিটি কাজেই বেশ প্রশংসার বাতার্গুলো সবসময় পাই। বেশি কাজে অভিনয়ে মানের সমস্যা... আমি মনে করি একা দশটি নাটক না করে আমার মতো আরো দশজন যদি কাজের সুযোগ পেত, সেটি আমার ও নাট্যাঙ্গনের সবার জন্য ভালো হতো। এতে কাজের বৈচিত্র্য আসত কোয়ালিটিও ভিন্ন হতো। যখন একজন আটিের্স্টর ওপর বেশি চাপ পড়ে যায়, তখন তার নতুন করে ভাবনার সুযোগও থাকে না। সব কাজই এক ধরনের তাড়াহুড়ো ও ব্যস্ততার মধ্য দিয়েই করতে হয়, যে কারণে কাজের বৈচিত্র্যতা রক্ষা করা কঠিন। এটা বাজে দিক। কোন ধরনের গল্পে কাজ করতে বেশি আগ্রহী... বিনোদন মানে যে দশর্ককে শুধু হাসানো, সেটা নয়। দশর্কদের রুচির জায়গাটাতেও কিছু কিছু ক্ষেত্রে আরও উন্নত হওয়া দরকার। দশর্ক ভালো-মন্দের তফাৎটা অনেক সময় বুঝতে পারে না। সব দশের্কর কথা বলছি না। সে ক্ষেত্রে আমাদেরও অনেক দায়বদ্ধতা আছে। ভালো কাজ করে তাদের সে স্বাদ পরিবতর্ন করা। ভালো কাজের মধ্যে হাসি, কান্না, নানান ধরন ও অনুভ‚তি ও বাতার্ থাকে। আর দুঃখের বিষয় এখনকার সময়ে কম নাটকেই ইতিবাচক বাতার্ থাকে। বেশির ভাগ সময় বিনোদন দিতে গিয়ে কিংবা হাসাতে গিয়ে, যা করা হচ্ছে, সেটা আমাদের নাটকের জন্য ভালো কিছু হচ্ছে না। অনেক সিরিয়াস গল্পও দশর্ক খুব ভালোভাবেই নেয়। গত দুই ঈদে আমি খেয়াল করেছি, সিরিয়াসধমীর্ গল্পগুলো বেশ আলোচিত হয়েছে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা... আমি একটাই কাজ করছি, তা হচ্ছে অভিনয়। ভবিষ্যতেও এই অভিনয় নিয়েই বেঁচে থাকতে চাই। আরো ভালো ভালো গল্পের কাজ করতে চাই। সবাই আমার পরিবার আর পরিজনের জন্য দোয়া করবেন।