কলকাতার প্রেক্ষাগৃহে অপণার্-পরমের ছবি

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
অপণার্ ঘোষ ও পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়
২০১৭ সালের ৩ মাচর্ বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অপণার্ ঘোষ ও টালিউড অভিনেতা পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়ের ছবি ‘ভুবন মাঝি’। এরপর ছবিটি অংশ নিয়েছে বিভিন্ন আন্তজাির্তক উৎসবে। আগামী ৩ আগস্ট ছবিটি মুক্তি পাচ্ছে ভারতের কলকাতায়। পরিচালক অরিন্দম শীলের প্রযোজনা ও পরিবেশনা প্রতিষ্ঠান থেকে ছবিটি ভারতে মুক্তি দেয়ার ব্যাপারে উদ্যোগ নেয়া হয়। ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্রটি একজন সাধারণ সংগ্রামী মানুষের জীবনে বিদ্রোহী হয়ে ওঠার গল্প। গল্পের শুরু ১৯৭০ সালে, শেষ হয় ২০১৩ সালে। ১৯৭০ সালের নিবার্চনের কিছুদিন আগে গ্রাম থেকে কুষ্টিয়া শহরে ডিগ্রি পড়তে আসে নহির। দেশজুড়ে নিবার্চন আর স্বাধীনতার আন্দোলন তাকে বিন্দুমাত্র বিচলিত করেনি। বরং চাচাতো বোনের বান্ধবী ফরিদা বেগম আর থিয়েটার ছিল তার ধ্যানজ্ঞান। কিন্তু ধীরে ধীরে স্বাধীনতা সংগ্রাম ও বাংলাদেশের জন্মের বহু ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী হয়ে যায় সে। ১৯৭১ থেকে ২০১৩ সাল পযর্ন্ত বিস্তৃত ইতিহাস ও প্রেম, বিদ্রোহ ও মানবিকতা, স্বাধীনতা ও সংস্কৃতির এসব নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘ভুবন মাঝি’র গল্প। গড়াই ফিল্মসের ব্যানারে নিমির্ত ‘ভুবন মাঝি’ ছবির কাহিনি ও চিত্রনাট্য লিখেছেন এবং পরিচালনা করছেন ফাখরুল আরেফিন খান। এটি তার পরিচালিত প্রথম পূণৈর্দঘর্্য চলচ্চিত্র। ছবিতে অভিনয় করেছেন কলকাতার পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং বাংলাদেশের অপণার্ ঘোষ, মাজনুন মিজান, কাজী নওশাবা আহমেদ, সুমিত সেন, সুষমা সরকার, মামুনুর রশীদ, শুভাশীষ ভৌমিক, ওয়াকিল আহাদ, লালিম হক প্রমুখ। গত ২০ এপ্রিল ভারতে ‘ভুবন মাঝি’ চলচ্চিত্র সেন্সর বোডর্ থেকে ছাড়পত্র পায়। এরপর অনুভূতি জানাতে গিয়ে ফাখরুল আরেফিন খান বলেন, ‘‘প্রথম থেকেই ইচ্ছা ছিল শুধু দেশেই নয়, ভারতেও ‘ভুবন মাঝি’ মুক্তি দেব। তাই ছবিটি ভারতের সেন্সর বোডের্ জমা দিই। তবে অনেক দিন পর ছাড়পত্র পেয়েছে ছবিটি। ভারতের কলকাতা, আসামসহ বিভিন্ন জায়গায় চলচ্চিত্রটি মুক্তি দেয়ার প্রক্রিয়া চলছে।’’ ‘ভুবন মাঝি’ ছবির গানের সুর ও সংগীত পরিচালনা করেন ভারতের প্রখ্যাত শিল্পী প্রয়াত কালিকাপ্রসাদ ভট্টাচাযর্। ফাখরুল আরেফিন খান বলেন, ‘‘কালিকাপ্রসাদ ভাইয়ের একটা স্বপ্ন ছিল, তিনি শুরু থেকেই বলতেন, ‘ভুবন মাঝি’ যেন কলকাতা বা ভারতে বাণিজ্যিকভাবে মুক্তি পায়। সেখানকার মানুষ যেন ছবিটি প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে দেখতে পায়। কালিকাপ্রসাদের সেই স্বপ্ন পূরণ করতেই ছবিটি ভারতে মুক্তি দেয়ার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছি আমরা।’’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি আমার পরিচালনায় নিমির্ত প্রথম পূণৈর্দঘর্্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের সঙ্গে আমার অনেক আবেগ আর অনুভূতি জড়িয়ে আছে। বিশেষ করে কালিকাপ্রসাদের স্মৃতি। তাঁকে ভাই বা বন্ধু যা-ই বলি না কেন, তিনি অনেক পরিশ্রম করে আমার ছবিটির সংগীতায়োজন করেছিলেন। এখন ছবিটি ভারতের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। কিন্তু তিনি বেঁচে নেই। তিনি বেঁচে থাকলে আজ আরও বেশি খুশি হতাম।’