সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৯ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
সুস্থ হয়ে উঠছেন রেহানা জলি বিনোদন রিপোটর্ প্রায় একবছর ধরে অসুস্থ হয়ে বিছানায় পড়েছিলেন চলচ্চিত্র অভিনেত্রী রেহানা জলি। অনেক ধরনের চিকিৎসার পর ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন তিনি। এ প্রসঙ্গে জলি বলেন, ‘আমি আগের চেয়ে অনেক ভালো আছি। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছি। চলতি বছরের শুরুর দিকে রেহানা জলি খুবই অসুস্থ ছিলেন। সে সময় ঠিকমতো কথা বলতে পারতেন না। হাঁটাচলা করতে পারতেন না। কঁাপুনি দিয়ে জ্বর আসত। প্রথমে তার রোগ নিণর্য় করা যায়নি।’ কয়েকজন চিকিৎসক দেখানোর পর বক্ষব্যাধি স্পেশালিস্ট ডা. আক্তার বিশ্বাসের মাধ্যমে জানতে পারেন, ফুসফুস ও মেরুদÐ ক্ষয়ে যাওয়া রোগে ভুগছেন রেহেনা জলি। এরপর নিয়মিত চেকআপ ও চিকিৎসকের পরামশর্ মেনে সুস্থ হচ্ছেন জানিয়ে তিনি বলেন, এখন আমি সবার সঙ্গে কথা বলতে পারি। বাসার মধ্যে হাঁটাহাঁটি করি। নিজের কাজ নিজেই করতে পারি। পুরোপুরি সুস্থ হতে আরও মাস দুয়েক লাগবে। এরপর সেপ্টেম্বর মাস থেকে আবার শুটিং শুরু করব। অনেক পরিচালক আমাকে নিয়ে কাজ করতে চাইছেন। আমি বলেছি সেপ্টেম্বর থেকে কাজ করব। সুস্থতা কামনা করে দোয়া চাওয়া ছাড়া আমার আর কিছু বলার নেই উল্লেখ করে রেহানা জলি বলেন, ‘চলচ্চিত্রে অভিনয় করে কিছু টাকা সঞ্চয় করেছিলাম, সব এখন চিকিৎসার পিছনে ব্যয় করতে হয়েছে। আমি সুস্থ হয়ে আবার কাজে ফিরতে চাই, সবাই আমার জন্য প্রাণ ভরে দোয়া করবেন।’ রেহানা জলি দীঘির্দন মঞ্চ নাটকের সঙ্গেও সম্পৃক্ত ছিলেন। এছাড়া বিজ্ঞাপন চিত্রেও কাজ করেছেন। ১৯৮৫ সাল থেকে এখন পযর্ন্ত প্রায় চার শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি। প্রয়াত শিল্পীদের জন্য দোয়া মাহফিল বিনোদন রিপোটর্ ঢাকাই চলচ্চিত্রের যাত্রা লগ্নে অনেক গুণী শিল্পী জড়িত ছিলেন। যাদের অক্লান্ত পরিশ্রমে অবদান রেখেছেন চলচ্চিত্র শিল্পে। তাদের অনেকেই আজ বেঁচে নেই। নিয়তির এক অমোঘ নিয়মে তারা পাড়ি জমিয়েছেন না ফেরার দেশে। চিরাচরিত এ নিয়মে বিভিন্ন বছর এই জুলাই মাসে চিরতরে হারিয়েছে ১৫জন গুণী অভিনয়শিল্পীকে। ২০০৩ সালের ৯ জুলাই আমির হোসেন বাবু ও ফিরোজ ইফতেখার, ২০০৩ সালের ১৩ জুলাই দিলদার, ২০০৫ সালের ১৮ জুলাই রহমান, ২০০৮ সালের ২১ জুলাই আব্দুল আলী লালু, ২০০৯ সালের ২২ জুলাই আব্দুল করিম, ২০১০ সালের ১৫ জুলাই বুলবুল আহমেদ, ২০১১ সালের ৩০ জুলাই নূর মিজার্, ২০১১ সালের ৩১ জুলাই আমিনুল হক, ২০১২ সালের ২৩ জুলাই শামসুদ্দিন টগর, ২০১৩ সালের ২২ জুলাই সৈয়দ আক্তার আলী, ২০১৫ সালের ১ জুলাই মুনির হোসেন বুলেট, ২০১৭ সালের ৮ জুলাই পাপিয়া সেলিম, ২০১৭ সালের ১৮ জুলাই রাতিন। সবের্শষ ২০১৮ সালের ৭ জুলাই রানী সরকার না ফেরার দেশে চলে গেছেন। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি কোরআন খতম ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করে গতকাল বুধবার। শিল্পকলায় ‘শেষ সংলাপ’ শুক্রবার বিনোদন রিপোটর্ আবারও মঞ্চায়িত হতে যাচ্ছে নাটক ‘শেষ সংলাপ’। শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে নাটকটি মঞ্চায়ন করবে ‘সময় নাট্যদল’। ওইদিন নাটকটির ৭৭তম মঞ্চায়ন করবে দলটি। মিশরের নাট্যকার তাওফিক-আল-হাকিমের ‘সুলতানুজ জান্নাম’ অবলম্বনে নাটকটি যৌথভাবে অনুবাদ করেছেন ড. সৈয়দ জামিল আহমেদ ও ম. সাইফুল আলম চৌধুরী। নাটকটি নিদের্শনা দিয়েছেন আকতারুজ্জামান। নাটকটির পোস্টার ডিজাইন করেছেন শিল্পী ঢালী আল মামুন, মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন ফয়েজ জহির, সংগীত পরিকল্পনা করেছেন কমল খালিদ, পোশাক পরিকল্পনায় আছেন আমিনুর রহমান মুকুল এবং আলোক পরিকল্পনা করেছেন আলমগীর হোসেন। নাটকটিতে দেখা যায়, মিসরের এক সুলতান উত্তরাধিকারী হিসেবে তার পালিত পুত্র একজন ক্রীতদাস সেনাধ্যক্ষকে মনোনীত করেন। কিন্তু দুভার্গ্যবশত মৃত্যুকালে তিনি তার মসনদের উত্তরাধিকারী সুলতানকে দাসত্ব থেকে মুক্তি দিয়ে যেতে পারেননি।