প্রধানমন্ত্রীকে 'লাল জমিন' দেখানোর স্বপ্ন মোমেনার

প্রকাশ | ১৯ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
মোমেনা চৌধুরী
মঞ্চের একজন দাপুটে অভিনেত্রী হিসেবে এরইমধ্যে দেশে-বিদেশে বেশ সুনাম কুড়িয়েছেন মোমেনা চৌধুরী। মান্নান হীরা রচিত ও সুদীপ চক্রবর্তী নির্দেশিত মুক্তিযুদ্ধ ও যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ 'লাল জমিন' প্রথম মঞ্চায়ন হয় ২০১১ সালের ১৯ মে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটমন্ডলে। দীর্ঘ সাত বছরেরও অধিক সময়ে এরইমধ্যে আজ বিকাল সাড়ে তিনটায় 'লাল জমিন'-এর ২০০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। আর এ নিয়ে দারুণ উচ্ছ্বসিত, আনন্দিত মোমেনা চৌধুরী। কারণ বাংলাদেশে কোনো একক অভিনীত নাটকের এবারই প্রথম ২০০তম মঞ্চায়ন হতে যাচ্ছে। শূণ্যন রেপার্টরি থিয়েটারের প্রথম প্রযোজনা 'লাল জমিন'। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয় এরইমধ্যে ৭৪টি শো'র মঞ্চায়নের জন্য অনুদান দিয়েছে। এই নাটক মঞ্চায়নের ক্ষেত্রে মোমেনা চৌধুরী দেশের কিংবদন্তি এবং তরুণ নাট্যকার, নাট্যনির্দেশক, অভিনয়শিল্পীদের অনুপ্রেরণা পেয়েছেন। একই অঙ্গনের মানুষদের কাছ থেকে অনুপ্রেরণাও যেন মোমেনা চৌধুরীর পথচলাকে আরো বেগবান করেছে। আজ কুর্মিটোলা এয়ারপোর্টের বিএটিসি মিলনায়তনে শুধু আমন্ত্রিত অতিথিদের 'লাল জমিন' প্রদর্শন করা হবে বলে জানান মোমেনা চৌধুরী। নিজের একক নাটকের ২০০তম মঞ্চায়ন এবং এর সাফল্য, স্বপ্ন প্রসঙ্গে মোমেনা চৌধুরী বলেন, 'লাল জমিনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসার জন্য আমার পরিবারের প্রত্যেক সদস্য যে ছাড় দিয়েছে তাতে কৃতজ্ঞ তাদের প্রতি। তারা ছাড় না দিলে লাল জমিনকে আজকের পর্যায়ে নিয়ে আসা আমার পক্ষে সম্ভব হতো না। দেশে-বিদেশে অনেকেই এরইমধ্যে লাল জমিন দেখেছেন। যেহেতু এটি মুক্তিযুদ্ধে এবং যুদ্ধোত্তর বাংলাদেশে এক নারীর সংগ্রামী জীবনের নাট্যপ্রকাশ; তাই আমার স্বপ্ন আমার দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল জমিন দেখানোর। আমার বিশ্বাস, আমার এ স্বপ্ন একদিন নিশ্চয়ই পূরণ হবে। কারণ প্রধানমন্ত্রী সংস্কৃতিমনা একজন মানুষ। আর নাটকটি যেহেতু মুক্তিযুদ্ধ-কেন্দ্রিক গল্পের নাটক, তাই এ নাটক সম্পর্কে অবগত হলে তিনিও হয়তো আগ্রহী হবেন। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লাল জমিন দেখানোর স্বপ্ন দেখি। আমি কৃতজ্ঞ এ নাটকের নাট্যকার মান্নান হীরার কাছে। কারণ তিনি যদি এ নাটক না লিখতেন তবে লাল জমিন দাঁড়াতে পারত না। ধন্যবাদ নির্দেশক সুদীপ কুমার দীপকে। অনেক কৃতজ্ঞতা সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়কে ও আমার প্রাণপ্রিয় দর্শকদের, যারা বারবার লাল জমিন দেখার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।'