সাক্ষাৎকার

সেন্সরশিপ না থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ ওয়েব সিরিজ

যদি প্রশ্ন করা হয়, এ দেশের 'মি. পারফেকশনিস্ট' কে? অনেকেই হয়তো চোখ বন্ধ করে অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরীর নাম বলবেন। ছোটপর্দা কিংবা বড়পর্দা, নিজের চরিত্রটিকে ফুটিয়ে তোলার অসাধারণ ক্ষমতা রয়েছে তার। উপহার দিয়েছেন 'মনপুরা', 'আয়নাবাজি' ও 'দেবী'র মতো বস্নকবাস্টার সুপার হিট সিনেমা। সম্প্রতি অভিনয় করেছেন ওয়েব সিরিজেও। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হলো গুণী এই অভিনেতার সঙ্গে ...

প্রকাশ | ২৩ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
চঞ্চল চৌধুরী
লাইট, ক্যামেরা, অ্যাকশন ... অভিনয়ই আমার পেশা। অভিনয় করেই রুটিরুজি জোগাড় করি। বর্তমানে বেশ কিছু নাটকের কাজ করছি। বিভিন্ন চ্যানেলে প্রচারও হচ্ছে একাধিক ধারাবাহিক নাটক। তার মধ্যে সাগর জাহানের 'টি টোয়েন্টি', 'সোনার খাঁচা' আর মাসুদ সেজানের 'খেলোয়াড়' শিরোনামে নাটকগুলো প্রচারিত হচ্ছে। এদিকে ঈদের কাজও শুরু হয়ে গেছে। গত মাসেই সকাল আহমেদের সাত পর্বের দুটি ধারাবাহিকের কাজ শেষ করে নেপাল থেকে ফিরলাম। ওয়েব সিরিজ প্রসঙ্গ ... প্রথমবারের মতো 'নীল দরজা' নামের ছয় পর্বের একটি ওয়েব সিরিজে কাজ করলাম। এটি পরিচালনা করেছেন গোলাম সোহরাব দোদুল। কাজের অভিজ্ঞতা অন্যসব অভিনয়ের মতোই। সব মাধ্যমেই কাজের আগে চিন্তা করি, কাজের মান কেমন হবে। গল্পটা কেমন? কাজটি দর্শকের প্রত্যাশা মেটাবে কি না? এসব ব্যাটে-বলে মিলে গেলেই কাজ করি। যদিও ওয়েব সিরিজে বাজেট বেশি থাকে। গল্পের মধ্যেও ভিন্নতা থাকে। ফলে কাজগুলো করা হয় যত্ন নিয়ে। টিভি নাটকে একদিনে সাত-আটটা সিকোয়েন্স করা হয়, সেখানে ওয়েব সিরিজে চার বা পাঁচটার বেশি নয়। এছাড়া তেমন কোনো পার্থক্য দেখি না। তবে টিভি নাটকে সেন্সরশিপ থাকলেও ওয়েব সিরিজে নেই। ফলে ঝুঁকিও আছে। সত্যি বলতে ওয়েবে যার যোগ্যতা আছে সেও অভিনয় করছে, যার নেই সেও করছে। দেবীর পরে ... 'দেবী' চলচ্চিত্রের পরে নতুন করে কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হইনি। অনেকেই এসেছে কথাবার্তা বলতে। তবে সেসব আমার পছন্দ হয়নি। হয়তো এ বছরের শেষের দিকে নতুন কোনো ছবিতে চুক্তিবদ্ধ হতে পারি। সে বিষয় আগ বাড়িয়ে কিছু বলতেও চাচ্ছি না। রহস্য ... আমার চলচ্চিত্রগুলো বেশি দর্শকপ্রিয়তা পাওয়ার পেছনে সত্যিই কোনো রহস্য নেই। মূল বিষয় হচ্ছে, যাচাই-বাছাই করে কাজ করি। অভিনয়কে আমি পেশা হিসেবে নিলেও সিনেমায় অভিনয় করাকে কখনই পেশা হিসেবে নিইনি। ভালো লাগে তাই কাজ করি। দর্শকরাও সেসব কাজ লুফে নিয়েছে। ফলে আমারও সিনেমার পর্দায় আলাদা চাহিদা তৈরি হয়েছে। ইচ্ছা করলেই তিনশ' সিনেমায় অভিনয় করতে পারতাম। কিন্তু করেছি হাতে গোনা কয়েকটাতে। হ-য-ব-র-ল কাজ করে সংখ্যা বাড়াতে চাই না। একজন দায়িত্বশীল অভিনয় শিল্পী হিসেবে, ভালো মানের কাজ সবসময়ই করতে চেয়েছি এবং করেছিও।