তিনি আমার কাছে আদর্শ ছিলেন

এ প্রজন্মের ব্যস্ত সংগীতশিল্পীদের একজন দিলশাদ নাহার কনা। দীর্ঘ সময় ধরেই উপহার দিয়ে আসছেন জনপ্রিয় সব গান। সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউলস্নাহ থেকে পেয়েছিলেন অনুপ্রেরণা। দুজনার সম্পর্কও ছিল চমৎকার। সেসব জানতেই মুঠোফোনে কথা হলো তার সঙ্গে ...

প্রকাশ | ২৫ মার্চ ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
দিলশাদ নাহার কনা
প্রিয় শিল্পী আর নেই ... গভীর রাতেই মুঠোফোনের মাধ্যমে জানতে পারি কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী শাহনাজ রহমতউলস্নাহ আর নেই। সংবাদটা বজ্রপাতের মতোই লাগল আমার কাছে। এত কষ্ট আগে কখনো পাইনি। তিনি আমার কাছে আদর্শ ছিলেন। তার সঙ্গে প্রথম পরিচয় ... বেশ কয়েক বছর আগে কাতারে গিয়েছিলাম একটি অনুষ্ঠানে। সেখানেই তার সঙ্গে প্রথম দেখা ও পরিচিত হওয়া। তাকে দেখে বোঝার উপায় ছিল না, তিনি এত বড় মাপের একজন শিল্পী। পরিচিত হওয়ার পরেই তিনি বুকে টেনে নিয়েছিলেন। মাথায় হাত বুলিয়ে দোয়া করেছিলেন। তারপরেও যোগাযোগ হতো তার সঙ্গে। আমার বাসায় তো প্রতি ঈদেই কার্ড পাঠাতেন তিনি। দ্রম্নতই মানুষের সঙ্গে মিশতে পারার অসাধারণ ক্ষমতা ছিল তার। তার মধ্যে অহংকারবোধ কাজই করত না। সেরা মুহূর্ত ... তার গান শুনেই আমরা বড় হয়েছি। তাকে যদি একজন কণ্ঠশিল্পী ধরা হয়, তাহলে আমি কনা কিছুই না। এত বড় মাপের একজন শিল্পী হয়েও তিনি আমাদের প্রজন্মের গান শুনতেন। তার মতো বন্ধুসুলভ ও হাস্যোজ্জ্বল মানুষ কমই দেখেছি। ব্যাক স্টেজে আমার কাছে গানও শুনতে চেয়েছিলেন। আমিও শুনিয়েছিলাম। তার সঙ্গে আমার কাটানো সেরা মুহূর্তগুলোর একটি এটি। অনুপ্রেরণা ... ছোটবেলায় শাহনাজ রহমতউলস্নাহর গান ছাড়া তো গান শেখাই হতো না। তার 'একতারা তুই দেশের কথা বল', 'একবার যেতে দে না আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়'- এসব গান তখন আমাদের মুখে মুখে। আর 'এক নদী রক্ত পেরিয়ে' এই গান গাইতে না পারলে তো বদনাম হয়ে যেত, গাইতে পারে না বলে। তাই ছোট থেকেই তিনি ছিলেন আমার অনুপ্রেরণার আরেক নাম। অপূরণীয় ক্ষতি ... একজন শাহনাজ রহমতউলস্নাহ বারবার আসবে না। বাংলা গানের অমূল্য সম্পদ হারালাম আমরা, যা কখনই পূরণ হবে না।