সা ক্ষা ৎ কা র

সদ্য নতুন গানে কণ্ঠ দিতে অদ্ভুত রোমাঞ্চ হয়

বাঁধন সরকার পুজা- সংক্ষেপে পুজা নামেই পরিচিত। যার কণ্ঠের শ্রম্নতিমধুরতাই তাকে শ্রোতাপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী করে তুলেছে। ২০০৮ সালে চ্যানেল আই এ'র 'সেরাকণ্ঠ' থেকে উঠে এসেছেন এই শিল্পী। প্রথম অ্যালবাম- 'প্রজাপতির মন'। বেশ কিছু পেস্ন-ব্যাকও করেছেন তিনি। এ শিল্পীর কর্মব্যস্ততা ও গান নিয়ে কথা বলেছেন মাতিয়ার রাফায়েল

প্রকাশ | ০৫ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
নতুন গান কেমন যাচ্ছে? নতুন গান এখন খুব বেশি হচ্ছে না। তবে এরমধ্যে 'চোখে চোখে' নামের একটি গান করা হয়েছে। এই গানটিতে আমি এবং ইমরান কণ্ঠ দিয়েছি। গানটিতে মডেল হয়েছেন প্রার্থনা ফারদিন দীঘি এবং আরেফিন জিলানী। সুর ও সঙ্গীত করেছেন ইমরান নিজেই। আর কথায় আছে পীযূষ। এটা গত বছরের নভেম্বরে সিএমভির ব্যানারে রিলিজ পেয়েছে। এ ছাড়া নিজের ইউটিউব চ্যানেলের জন্য আরও কয়েকটি গান গুছিয়ে রাখছি। নতুন এই গানটিতে শ্রোতাদের সাড়া পেয়ে কেমন লাগছে? ইমরানের সঙ্গে আমি যে এই প্রথম গানের জুটি হয়েছি এমন নয়। তার সঙ্গে এর আগেও আমি অনেক গান করেছি। তবে এবার পাঁচ বছর পর আবার আমি এবং ইমরান মাহমুদুল এই মিশ্র গানে কণ্ঠ দিলাম। আগে আমাদের জুটির গান যেমন শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে এটাও সেরকম সাড়া পাচ্ছি শ্রোতাদের কাছ থেকে। তার সঙ্গে গাওয়া আমার সব গানই শ্রোতাপ্রিয় হয়েছে। স্টেজ শো কেমন করছেন? এখন তো নির্বাচনী পরিবেশের কারণে স্টেজ একদমই বন্ধ। বিশেষ করে উন্মুক্ত ময়দানে। তবে ইনডোর পর্যায়ে টুকটাক কিছু শো করছি। আশা করছি জানুয়ারির মাঝামাঝি থেকে আবার স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত হয়ে উঠতে পারব। সদ্য নতুন গানে কণ্ঠ দেওয়ার সময় কেমন রোমাঞ্চ হয়? আমি যা গাই তার সবই তো আমার। সব গানই আমারই নিজের মনে করি। তাতে নতুন আর পুরাতন কি। সবগান গাইতেই ভালো লাগে আমার। তবে একেবারে ইনস্ট্যান্ট নতুন মৌলিক গানে কণ্ঠ দিতে এক ধরনের অদ্ভুত রোমাঞ্চ অনুভূত হয় আমার। শ্রোতা কীভাবে গ্রহণ করেন না করেন এ নিয়ে মনের মধ্যে একটা মিশ্র অনুভূতির দোলাচলও থাকে। তবে ইনস্ট্যান্ট নতুন মৌলিক গান গাইতে অবশ্যই ভালো লাগে। এ পর্যন্ত এমন নতুন গান কয়টি করা হলো? সলো এবং ডুয়েট বেশ কয়েকটি গান করেছি। গানগুলো বিভিন্ন ব্যানার থেকে প্রকাশ পাবে। ইমরানের সঙ্গে করা গান তো রিলিজ হলোই। এছাড়া অনন্য মামুনের করা ১০০ জনের গান, রংগন মিউজিক, সিডি চয়েসসহ আরও কয়েকটি ভয়েস রেকর্ড কোম্পানি থেকে আমার নতুন গান আসছে। তবে আমি জানি না গানগুলো কবে রিলিজ পাবে। নতুন গান শ্রোতাদের কেমন টানে? স্টেজ শোতে যেমন সাড়া দেখি ভালোই তো মনে হয়। তবে এক সময় অডিও ইন্ডাস্ট্রির রমরমা অবস্থা ছিল তখন গানের প্রকৃতচিত্রটা বোঝা যেত। কারণ, মানুষ তো তখন টাকা খরচ করে ক্যাসেট, সিডি কিনত এবং শুনত। এখন ভিউ দেখেই আন্দাজ করতে হয় কেমন শ্রোতাপ্রিয় হচ্ছে গান। এখন আমাদের মিউজিক ভিডিওই ভরসার জায়গা। কোন পস্ন্যাটফর্মের গান বেশি টানে? আমাকে পেস্ন-ব্যাকই বেশি টানে। কারণ, পেস্ন-ব্যাকের মাধ্যমে যত সহজে যত বেশি মানুষের কাছে পৌঁছানো যায়, সেটা আর কোনো মাধ্যমেই সম্ভব নয়। এ ছাড়া সলো, ডুয়েট, জিঙ্গেল গানের প্রতিও আগ্রহ আছে আমার। তবে আমি পস্ন্যাটফর্মেই গান গাইতে এনজয় করি। এখন তো শিল্পীরা পূর্ণ সময়ই গানে ব্যস্ত থাকেন? আসলেই তাই। এখন গানের পরিধিটা অনেক বেশি বেড়ে গেছে। শিল্পীরাও অনেক ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তবে আমি এই ব্যস্ততাকে উপভোগ করলেও গড়পড়তা গানে আগ্রহী না। আমি সব সময়েই গানের কথা ও সুরের মানের দিকটাতেই জোর দিয়ে গান করি। আমি কখনোই অর্থের মোহে গান করিনি এবং করবোও না। গানের প্রতি ভালোবাসার টানেই গান করি। এই ভালোবাসার টানেই তো নিজের এডুকেশন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে পারলাম না।