সা ক্ষা ৎ কা র

মানুষের ভালোবাসা পেয়েই নিশীতা বড়ুয়া হয়েছি

নিশীতা বড়ুয়া- 'ক্লোজআপ ওয়ান তোমাকেই খুঁজছে বাংলাদেশ' নামক রিয়েলিটি শোর মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ ঘটে তার। দীর্ঘ এক যুগের ক্যারিয়ারে দর্শক-শ্রোতাদের উপহার দিয়েছেন অসংখ্য গান। ২০০৭ সালে প্রকাশিত হয় তার প্রথম একক অ্যালবাম 'আমায় নিয়ে চলো'। পেস্ন-ব্যাক ছাড়াও বিজ্ঞাপনের জিঙ্গেলে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে নিয়ে 'রক্তমাখা সিঁড়ি' নামে একটি মিউজিক ভিডিও প্রকাশিত হয়। এ শিল্পীর বর্তমান ব্যস্ততা নিয়ে কথা বলেছেন....

প্রকাশ | ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
গান নিয়ে এখন কেমন ব্যস্ততা যাচ্ছে? সবেই তো জাতীয় নির্বাচন শেষ হলো। এ নিয়ে তো মাস দুই আমাদের সবাইকেই বসে থাকতে হয়েছে। বিশেষ করে আউট ডোরের স্টেজশো নিয়ে। এখন আবার শুরু করছি। শিগগিরই আবার গানের ব্যস্ততায় ফিরছি। এর মধ্যে নতুন কী গান করলেন? ইতোমধ্যে আমি নতুন চারটি মৌলিক গানের কাজ করেছি। তার মধ্যে সান ভাইয়ের সঙ্গীত পরিচালনায়, মাহমুদ মুরাদের কথা ও এস কে শানুর সুরে বন্ধু 'তোমায় দিলা কারে' শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছি। গীতিকার এবিএম ওয়ালিউর রেহমান খানের কথায় প্রথমবার একটি গানে কণ্ঠ দিলাম। গানটির সুর করেছেন মলয় দোস্তিদার আর সঙ্গীত আয়োজন করেছেন শামিম মাহামুদ। পাশাপাশি একটি ফোক গানে কণ্ঠ দিয়েছি। অন্যান্য গানের বিস্তারিত মনে না থাকলেও তার সব গানের কথা ও সুর দারুণ হয়েছে। 'রক্তমাখা সিঁড়ি' গানে কেমন সাড়া পাচ্ছেন? ও, সেটা তো বলার অপেক্ষাই রাখে না। সত্যিই এ গানটির প্রতি শ্রোতাদের সাড়া পেয়ে আমি খুবই উচ্ছ্বসিত ও আবেগাপস্নুত। আমার ধারণা ছিল না এত সাড়া পাব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকান্ড নিয়ে লেখা এই। লিখেছেন নেত্রকোনার বিরিসিরির দুর্গাপুরে অবস্থিত 'ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর কালচারাল একাডেমি'র পরিচালক সুজন কুমার হাজং (সুজন হাজং)। গানটির সুর সঙ্গীত করেছেন সুমন কল্যাণ। 'সুজন হাজং অফিসিয়াল' ইউটিউব চ্যানেলে গানটি প্রকাশের পর থেকে এখনও পর্যন্ত অসংখ্য ভিউ পড়েছে। নিজের গানের ক্যারিয়ার নিয়ে অসন্তুষ্টি কাজ করে? আমি আমার গান নিয়ে অনেক সন্তুষ্ট। গত ১৮ বছরে মানুষের ভালোবাসা পেয়েই আমি নিশীতা বড়ুয়া হয়েছি। এজন্য শ্রোতাদের প্রতি আমার অশেষ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। কখনো কোথায় কোনো বিরূপ পরিস্থিতে পড়লেও আমি বিচলিত হই না। কারণ এটা আমার সত্যিকারের ভালোবাসার জায়গা। \হ বেতারে তালিকাভুক্ত হতে এত বিলম্ব করলেন কেন? আসলে কর্মব্যস্ততার কারণে বাংলাদেশ বেতারের তালিকাভুক্ত শিল্পী হওয়া হয়ে ওঠে হয়নি। আরও অনেক আগেই এখানে অডিশন দিতে পারতাম। বেতারে তালিকাভুক্ত হওয়া মানে জাতীয় শিল্পী হওয়া। একজন জাতীয় শিল্পীর স্বীকৃতি পেতে আমি দীর্ঘসময় নিয়েছি। এটা আমার খামখেয়ালি ছাড়া কিছু নয়। তবে অডিশনের সময় আমার বারবার মনে হয়েছে, ব্যস্ততার পাশাপাশি বেতারকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা উচিত ছিল। আগের সিদ্ধান্ত আমার ভুল ছিল। বিয়ের পর থেকে গানের ব্যস্ততা বাড়ল নাকি কমল? বিয়ের পর আমার মধ্যে তেমন কোনো পরিবর্তন আসেনি। তবে এখন কাজের সঙ্গে বাড়তি হিসেবে যোগ হয়েছে আমার সংসার। তবে আমার গান নিয়ে শ্বশুরবাড়ির সবাই খুব উৎসাহ দেন।