ক্যান্সারে আক্রান্ত সুজেয় শ্যাম

প্রধানমন্ত্রীর সহযোগিতা প্রাথর্না

প্রকাশ | ২১ জুলাই ২০১৮, ০০:০০

বিনোদন রিপোটর্
সুজেয় শ্যাম
একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য সুরকার, সংগীত পরিচালক ও মুক্তিযোদ্ধা সুজেয় শ্যাম প্রোস্টেট ক্যান্সারে আক্রান্ত। গত সপ্তাহে ভারতের একটি হাসপাতাল থেকে নিজের এমন দুরারোগ্য রোগ সম্পকের্ নিশ্চিত হন এ সংগীত ব্যক্তিত্ব। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে আবারও তিনি ভারত যাবেন বায়োপসি করতে। এরপরই তিনি জানতে পারবেন প্রোস্টেট ক্যান্সারের কোন ধাপে আছেন তিনি। তবে দুরারোগ্য এই ক্যান্সার থেকে নিরাময় লাভের জন্য এখনই বেশ আথির্ক সংকটে পড়েছেন এই কিংবদন্তি সংগীত পরিচালক। তাই প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকষর্ণ করে তিনি তার কাছ থেকে আথির্ক সহযোগিতা কামনা করেছেন। সুজেয় শ্যাম বলেন, ‘দিনগুলো ভালোভাবেই কাটছিল। ভেবেছিলাম এভাবে সুস্থ থাকতে থাকতেই হয়তো এই সুন্দর পৃথিবী থেকে বিদায় নিতে পারব। কিন্তু কখনো যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হব তা ভাবিনি। আথির্কভাবে খুব সচ্ছল নই আমি। যে কারণে এই রোগের ব্যয়বহুল চিকিৎসা আমার জন্য অনেক কষ্টের। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যদি আমার এই চিকিৎসার জন্য পাশে দঁাড়ান তাহলে হয়তো তার সহায়তায় বিধাতার অপার কৃপায় এই রোগ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারব। তাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দৃষ্টি আকষর্ণ করছি।’ স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শেষ গান এবং স্বাধীনতার প্রথম গানের সুরস্রষ্টা সুজেয় শ্যাম। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের গীতিকার শহীদুল আমিনের লেখা ‘বিজয় নিশান উড়ছে ঐ’ গানের সুর সংগীত করেছিলেন তিনি। এই গানের প্রধান কণ্ঠশিল্পী ছিলেন অজিত রায়। আরও গেয়েছিলেন কল্যাণী ঘোষ, ঊমা চৌধুরী, রথীন্দ্রনাথ রায়, তিমির নন্দী, কাদেরী কিবরিয়া, প্রবাল চৌধুরী, বুলবুল মহলানবীশ, রফিকুল আলম, মৃণাল, অসিত, রূপা, মালা। এরপরও সুজেয় শ্যাম অনেক মুক্তিযুদ্ধের গান লিখেছেন। যেমন রক্ত দিয়ে নাম লিখেছি বাংলাদেশের নাম, আয়রে মজুর কুলি, আহা ধন্য আমার জন্মভূমি, রক্ত চাই রক্ত চাই, মুক্তির একই পথ সংগ্রাম ইত্যাদি। স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী হিসেবে গত বছর মুক্তিযোদ্ধার সনদ পান সুজেয় শ্যাম। ২০১৪ সালে স্বাধীনতা দিবসে শুদ্ধ সুরে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয় প্রধামন্ত্রী শেখ হাসিনার সম্মুখে। এর সংগীতায়োজন করেছিলেন সুজেয় শ্যাম। মুক্তা দেবের প্রযোজনায় আল মামুনের লেখায় সুজেয় শ্যামের সবের্শষ গানের অ্যালবাম ‘এক জনমের ভালোবাসা’। ২০০৯ সালে স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের ৫০টি গান এই প্রজন্মের শিল্পীদের দিয়ে গাইয়েছেন সুজেয় শ্যাম তারই সংগীতায়োজনে, সহযোগিতা করেছেন পাথর্ বড়–য়া।