উৎসবমুখর পরিবেশে চলচ্চিত্র দিবস উদ্বোধন

প্রকাশ | ০৪ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
উৎসবমুখর পরিবেশে গতকাল বিএফডিসিতে উদ্বোধন হলো দুই দিনব্যাপী জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস। এ উপলক্ষে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) সেজে ওঠে নতুন সাজে। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে দু'দিনের এ বর্ণাঢ্য আয়োজনের উদ্বোধন করেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। উপস্থিত ছিলেন তথ্য সচিব আবদুল মালেক, বিএফডিসির ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক লক্ষণ চন্দ্র দেবনাথ, চলচ্চিত্র দিবস উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সৈয়দ হাসান ইমাম, কো-চেয়ারম্যান নায়ক আলমগীর, ইলিয়াস কাঞ্চন, চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সভাপতি মুশফিকুর রহমান গুলজার, শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান, অভিনেত্রী রোজিনা, অঞ্জনাসহ আরও অনেকে। সকাল ১০টা ১৫ মিনিটে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিএফডিসিতে আসেন। তাকে ফুল দিয়ে বরণ করেন চলচ্চিত্র উদযাপন কমিটির সদস্যরা। উদ্বোধনের আগে তথ্যমন্ত্রী বিএফডিসিতে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। চলচ্চিত্র দিবস উদ্বোধনের পর তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আজকে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র প্রতিষ্ঠার পেছনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অবদান অনস্বীকার্য। তার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় এই বিএফডিসি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আজকের দিনে তাকে আমাদের সবাইকে স্মরণ করতে হবে। আমাদের সরকার চলচ্চিত্রবান্ধব। চলচ্চিত্রের উন্নয়নে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। অচিরেই বদলে যাবে আমাদের চলচ্চিত্র। অনুষ্ঠানে সিনিয়র শিল্পীদের অনেকেই উপস্থিত থাকলেও প্রথমদিনে দেখা মেলেনি তরুণ শিল্পীদের। চিত্রনায়ক শাকিব খান ও বুবলি দু'জনই আগেই চলচ্চিত্র দিবস বয়কট করেছেন। চলচ্চিত্র দিবসে তরুণ শিল্পীতের অনুপস্থিতি নিয়ে চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। চলচ্চিত্র দিবস অনুষ্ঠানে অভিনয় শিল্পীদের উপস্থিতি কম দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেন নায়ক আলমগীর। তিনি বলেন, এ চলচ্চিত্র যাদের বড় তারকা বানিয়েছে তারা আজ বেশিরভাগই আসেননি। সব অভিনয় শিল্পীকে কার্ড দেয়া হয়েছে, উপস্থিত হওয়ার জন্য তাগাদাও দেয়া হয়েছে; কিন্তু তারা আসেননি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। অন্যদিকে সৈয়দ হাসান ইমাম সব বিভেদ ভুলে চলচ্চিত্র দিবসকে উৎসব মনে করে পালন করার আহ্বান জানান। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে প্রথম চলচ্চিত্র দিবস পালন শুরু হয়। সে হিসেবে এ বছর অষ্টম বারের মতো পালিত হচ্ছে চলচ্চিত্র দিবস। এবারের দিবসের প্রতিপাদ্য- 'চলচ্চিত্র বাঁচলে সংস্কৃতি বাঁচবে।' প্রথমদিন সীমাবদ্ধ ছিল আয়োজন উদ্বোধন, শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, স্থিরচিত্র ও চলচ্চিত্র প্রদর্শন। আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় অনুষ্ঠিত হবে জমকালো সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।