নুসরাতের পর মিমিও ছাড়ছেন রাজনীতি!

প্রকাশ | ১৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির নায়িকারা এবার রেকর্ড ১৬ জন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য হওয়ার বাসনায় মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন গাঁটের টাকা খরচ করে। কিন্তু বিধিবাম! তাদের সবারই সে আশার গুড়েবালি। কোনোই ফলোদয় হলো না। স্বপ্নভঙ্গের বেদনায় পুড়ছেন তারা এখন। ঢাকাই ইন্ডাস্ট্রির নায়িকাদের মধ্যে সংসদ সদস্য হওয়ার এই শখটি হয়তো ওপার বাংলার নায়িকাদের সংসদ সদস্য হওয়া দেখেই হয়ে থাকবে। সেজন্যই এবার রেকর্ড সংখ্যক অভিনেত্রী একপ্রকার ঢাকঢোল পিটিয়েই এই ফরম কিনেছিলেন। কিন্তু ওপার বাংলার চিত্র আরেক রকম। তাদের কেউ কেউ নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে মোহভঙ্গ ঘটেছে। যেমন ওপার বাংলার জনপ্রিয় অভিনেত্রী মিমি চক্রবর্তী তার নিজ নির্বাচনী আসন যাদবপুরের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে গিয়ে তিনি সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানান। বিধানসভা থেকে বেরিয়ে নিজেই তা ঘোষণা করেছেন। মিমি জানান, তিনি লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হতে চান না। এর আগে রাজনীতি ছাড়ার আভাস দিয়ে রেখেন নুসরাত জাহানও। বৃহস্পতিবার বিধানসভায় মমতা যখন বক্তৃতা করছেন, তখনই তার ঘরে ঢুকে গিয়েছিলেন মিমি। কিছুক্ষণ পর ওই ঘরে ঢোকেন তৃণমূলের দুই তারকা বিধায়ক সোহম চক্রবর্তী এবং জুন মালিয়া। মুখ্যমন্ত্রীর বক্তৃতা শেষ হলে তিনি নিজের ঘরে যান। তার পর মিমি এবং বাকিদের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠক হয়। সেখান থেকে বেরিয়ে মিমি জানান, তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে মুখ্যমন্ত্রী এখনও সেই ইস্তফা গ্রহণ করেননি। মিমি এ-ও জানান, মুখ্যমন্ত্রী ইস্তফা গ্রহণ না করলে তিনি লোকসভার স্পিকারের কাছে গিয়ে ইস্তফাপত্র দিয়ে আসবেন। সম্প্রতি সংসদের দু'টি স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যপদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন মিমি। সংসদের শিল্পবিষয়ক স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্য ছিলেন তিনি। ছিলেন কেন্দ্রীয় শক্তি মন্ত্রণালয় এবং নবীন ও পুনর্নবীকরণযোগ্য বিদু্যৎ মন্ত্রকের যৌথ কমিটির সদস্যও। এই দু'টি পদ থেকেই তিনি ইস্তফা দেন। এর পর জানা যায়, যাদবপুর লোকসভার অধীন নলমুড়ি এবং জিরানগাছা বস্নক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারপারসন পদও মিমি ছেড়ে দিয়েছেন। তার পর থেকেই তার রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ ঘিরে জল্পনা শুরু হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, ২০২৪ সালে যাদবপুর থেকে আর কি প্রার্থী হবেন মিমি? নিজের ধারাবাহিক পদত্যাগ প্রসঙ্গে অবশ্য এর আগে তিনি মুখ খোলেননি। বৃহস্পতিবার জানিয়ে দিলেন, আর সাংসদ থাকতেই চান না তিনি। মিমি বলেন, 'আমার যা বলার ছিল, দিদিকে বলেছি। অনেকে বলছিলেন, আমি পরবর্তী টিকিট পাকা করার জন্য এটা করছি। কিন্তু আমি বিশ্বাস করি, রাজনীতি আমার জন্য নয়।'