সুদিনের অপেক্ষায় তারকারা

প্রকাশ | ১৩ এপ্রিল ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
বিনোদন রিপোর্ট দেশীয় চলচ্চিত্রের অবস্থা দিন দিন আরও ভয়ানক অবস্থার দিকে ধাবিত হচ্ছে। ক্রমেই কমে আসছে ছবি নির্মাণ আর খ্যাতিমান শিল্পী-কলাকুশলীর সংখ্যা। পাশাপাশি একের পর এক ভেঙে ফেলা হচ্ছে বড় সব সিনেমা হল। প্রতি সপ্তাহে একাধিক নতুন ছবি মুক্তি, হাউজফুল প্রেক্ষাগৃহ, মাসের পর মাস সগৌরবে ছবির চাহিদা- এসব এখন ইতিহাসের পাতায় জায়গা করে নিয়েছে। চলতি বছরের কয়েক মাস পেরিয়ে গেলেও উলেস্নখযোগ্য ছবি মুক্তি পায়নি। হাতেগোনা যে ক'টি ছবি মুক্তি পেয়েছে সেগুলো প্রেক্ষাগৃহে দর্শক টানতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে। এসব চলচ্চিত্রে কাজ করেছেন তৃতীয় শ্রেণির অভিনেতা-অভিনেত্রী। প্রথম শ্রেণির নায়ক-নায়িকার কোনো ছবি মুক্তি পায়নি। বিশেষ দিবস উপলক্ষে চলচ্চিত্রপাড়া চাঙ্গা থাকার কথা থাকলেও নিস্তব্ধ-নীরবতা বিরাজ করছে। ঈদ-বৈশাখ নিয়ে নেই কোনো হৈ চৈ। এবারের পহেলা বৈশাখে কয়েকটি নতুন ছবি মুক্তির কথা থাকলেও গতকাল শুক্রবার নীরবেই মুক্তি পেয়েছে একটি মাত্র ছবি। তাও আবার নতুন নায়ক-নায়িকাদের যা মুক্তি পেয়েছিল এক মাস আগে। ঈদের অনেক আগে থেকে কাজ শুরু হয় নতুন চলচ্চিত্রের। খবরে রটে সেইসব ছবির নাম। কিন্তু এবারের ঈদের ছবি নিয়ে এখনো কোনো তোড়জোড় শুরু হয়নি। সব মিলিয়ে চলচ্চিত্রের নাজুক পরিস্থিতি বিরাজ করলেও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টদের অনেকে আশা করছেন সুদিনের। অপেক্ষা করছেন চলচ্চিত্রের হারানো গৌরব ফিরে পেতে। চিত্রনায়িকা রোজিনা বলেন, 'আমি আপাদ মস্তক একজন চলচ্চিত্রের মানুষ, মরার আগ পর্যন্ত চলচ্চিত্রকে ভালোবেসেই থাকতে চাই। চলচ্চিত্র নিয়ে কাজ করতে চাই। আমরা সবাই যদি চলচ্চিত্র নিয়ে ভাবি, চলচ্চিত্রকে ভালোবেসে তার উন্নয়নে কাজ করি, তাহলে এর সুদিন ফিরে আসবে। আবার দর্শকরা হলমুখী হবেন। দর্শকদেরও বলব, আপনারা সিনেমা হলে ফিরে আসুন।' চিত্রনায়ক ফারুক বলেন, 'একটা সময় চলচ্চিত্রের স্বর্ণালি যুগ ছিল। চলচ্চিত্রের কিছু স্বার্থান্বেষী ব্যক্তির কারণে আজ চলচ্চিত্রের করুণ দশা। এ অবস্থা থেকে ফিরে আসতে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। সবাই মিলে কাজ করলে আমার বিশ্বাস চলচ্চিত্রের হারানো সময়টা আমরা ফিরে পাব।' চিত্রনায়ক ফেরদৌস বলেন, 'আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচিয়ে রাখতে ভালো ভালো কাজ করতে হবে। ভালো কাজের মাধ্যমেই চলচ্চিত্রের উন্নয়ন সম্ভব।' অভিনেতা আলিরাজ বলেন, 'কথায় বলে যায়দিন ভালো আসে দিন খারাপ। আগের মতো না হলেও চলচ্চিত্রে এখনো ভালো কাজও হচ্ছে। এই ভালো কাজের সংখ্যা বাড়াতে হবে।' অন্যদিকে চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুশফিকুর রহমান গুলজার নির্বাচনে জয়ী হয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নের কিছু পদক্ষেপের কথা জানান। এর মধ্যে দেশের ৬৪টি জেলায় স্টার সিনেপেস্নক্স নির্মাণ, ই-টিকিটিং চালু ও হল মালিক-প্রযোজকদের মধ্যে সরাসরি যোগাযোগ অন্যতম। চলচ্চিত্র প্রযোজনায় ইমপ্রেস টেলিফিল্মের প্রশংসা করে নির্মাতা তৌকীর আহমদ বলেন, 'বাণিজ্যিক ধারার বদলে ভিন্নধর্মী গল্পের চলচ্চিত্র তৈরি করতে ইমপ্রেসের এগিয়ে আসাটা বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের সুদিন ফিরিয়ে আনতে ভূমিকা রাখছে। \হ \হ