মোশাররফের 'বাদী যখন বেগম'

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
একসময় টিভি নাটক মানেই মোশাররফ করিমের উপস্থিতি থাকলেও ওয়েব সিরিজ ও সিনেমায় মনোযোগী হওয়ায় পর থেকে সেই সংখ্যা দিন দিন ভাটার দিকে টান পড়ছে। ফলে টিভি পর্দার আগের জৌলুস আর আগের মতো নেই। তবে বিশেষ দিনগুলোতে একাধিক কাজ নিয়ে হাজির হন তিনি। তখন টিভির মধ্যে আবার একটা দর্শক জাগরণ শুরু হয়ে যায়। এতেই বোঝা যায়, এখন মোশাররফ করিমের চাহিদা দর্শকের মাঝে কী রকম। তিন দশকেরও বেশি সময় ধরে অভিনয় করছেন এ অভিনেতা। তার নাটকের জন্য শুধু বাংলাদেশের দর্শক নয়, কলকাতার দর্শকও অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে। রোজার ঈদেও বেশ কিছু নাটকে দেখা গেছে মোশাররফ করিমকে। অভিনেত্রী তানহা তাসনিয়ার সঙ্গে জুটি হয়ে ৯টি নাটকে হাজির হয়েছিলেন তিনি। ৯টি নাটকই নির্মাণ করেছিলেন তাইফুর জাহান আশিক। নাটকগুলো হলো আল আমিন স্বপন রচিত- 'বাড়ি গাড়ি নারী', 'বউ সেটিং', 'আমি নার্ভাস', 'ফরেন লাভার', সুজিত বিশ্বাস রচিত 'স্বপ্ন যাবে বাড়ি', 'পাওনাদার', 'চিরকুমার সংরক্ষণ', 'সত্য বলিতে চাই' এবং হারুন রুশোর রচনায় 'চাকরিজীবী বউ'। এবারের ঈদেও বেশ কয়েকটি নাটক দর্শকদের উপহার দিচ্ছেন জনপ্রিয় এই অভিনেতা। সেই তালিকায় থাকা 'বাদী যখন বেগম' টেলিফিল্মটি বাংলাভিশনে প্রচারিত হয়েছে। জুয়েল এলিনের রচনায় টেলিফিল্মটি পরিচালনা করেছেন শামস করিম। টেলিফিল্মটির গল্পে দেখা যাবে, প্রত্যেক মাসে একটা নির্দিষ্ট তারিখে মিজানকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। সে ওই মামলার আসামি আর বাদী তারই স্ত্রী রুমা। দুর্ভাগ্যক্রমে সেই স্ত্রীকে নিয়ে ঘর করতে হয় তার আদালতের নির্দেশে। জনশ্রম্নতি আছে যে, বিয়ের রাতে বড়লোকের আদুরে মেয়ে রুমার যে পৌষ্য কুকুরটি সঙ্গে চলে এসেছিল বিড়াল মনে করে তার মাথায় আঘাত করেছিল মিজান। যে কারণে রুমার আদুরে কুকুরটি তিনদিন আইসিউতে থাকার পর মারা গিয়েছিল। সেদিনই রুমা বুঝে ফেলে দেখতে মেন্দা ভেজাবিড়াল লোকটি তাকে বিয়ের পর ডমিনেট করতেই এমন কাজটি করেছিল। তাই লেট না করেই বন্য প্রাণী আইনে মিজানের নামে মামলা ঠুকে দেয়। এদিকে প্রতিদিন বিভিন্ন ছুতোয় মিজানের ওপর রুমা এটা-ওটা ছুড়ে মারে। কিন্তু দুভার্গ্যজনকভাবে সবগুলো আইটেমই স্পিন বলের মতো তার ডান-বাঁ পাশ দিয়ে লেগ ব্রেক গুগলি হয়ে বেরিয়ে যায়। মোশাররফ করিম তার সময়কার অভিনেতাদের মধ্যে সবচেয়ে প্রতিভাবান। গল্পের চরিত্রকে বাস্তবে রূপ দিতে তার জুড়ি নেই। ইতোমধ্যে নাটকের পাশাপাশি বেশকিছু চলচ্চিত্রেও তেমন স্বাক্ষর রেখেছেন তিনি। তবে বাস্তবতা পাল্টায়। মোশাররফ সম্পর্কে ভক্তদের অভিযোগও কম নয়। ছোট পর্দায় কাজ কমিয়ে দেওয়ায় তার ভক্তদের মধ্যে হতাশা সৃষ্টি হয়েছে। অনেকেই মনে করেন ওটিটি ও চলচ্চিত্রের পাশাপাশি আগের মতো ছোট পর্দায় নিয়মিত কাজ করা উচ্তি এ অভিনেতার। দীর্ঘ ক্যারিয়ারে অসংখ্য মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছেন এই অভিনেতা। বাকি জীবনও অভিনয় আর তাদের ভালোবাসা নিয়েই কাটিয়ে দিতে চান তিনি। মোশাররফ করিমের ভাষ্যে, 'আমি অভিনেতা। তাই যত দিন বাঁচব, অভিনয়টাই করে যেতে যাই। কারণ একমাত্র এই কাজটি করেই আনন্দ পাই আমি। এ আনন্দটা আমি সারাজীবন পেতে চাই। ভালো না লাগলে সেটা তো আমি করি না, করতে পারি না। মানুষ আমাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। আমি মানুষের এত ভালোবাসা পাওয়ার যোগ্য কি-না তা ঠিক জানি না।'