অবশেষে পর্দায় ফিরছেন পপি

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০২৪, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
ঢালিউডের অনিন্দ্যসুন্দরী নায়িকা সাদিকা পারভিন পপি। একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই চিত্রনায়িকা প্রায় তিন বছর ধরে অন্তরালে রয়েছেন। হঠাৎ করেই নিজেকে আড়াল করে নেন এই অভিনেত্রী। প্রথম দিকে পপির এ অনুপস্থিতিকে স্বাভাবিক মনে করেছিলেন চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্টরা। কিন্তু সময় যতই এগোতে থাকে ততই তাকে ঘিরে ধোঁয়াশা তৈরি হয়। ২০১৯ সালে এফডিসিতে 'সাহসী যোদ্ধা' নামের সিনেমার শুটিংয়ে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু সিনেমাটির কাজ শেষ করেই নিজেকে সবকিছু থেকে গুটিয়ে নিয়েছেন জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। তবে এবার আড়াল থেকে বেরিয়ে আসছেন তিনি। সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত সেই সিনেমাটি ২০২১ সালে 'ডাইরেক্ট অ্যাকশন' নামে সেন্সর বোর্ড থেকে ছাড়পত্র পেয়েছে। বেশ কয়েকবার সিনেমাটির মুক্তির খবর পাওয়া গেলেও শেষ মুহূর্তে পিছিয়ে যায়। অবশেষে আসছে আগস্টের শেষ সপ্তাহে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। এই সিনেমার মাধ্যমে দীর্ঘদিন পর পর্দায় ফিরছেন পপি। এ সিনেমায় পপির সহশিল্পী জনপ্রিয় চিত্রনায়ক আমিন খান। পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, 'বেশ কয়েকবার সিনেমাটি মুক্তির পরিকল্পনা করলেও শেষ মুহূর্তে পেছাতে হয়েছিল। এবার আর পিছু হাঁটছি না। আগামী ২৩ আগস্ট সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে।' সিনেমাটি মুক্তি নিয়ে পপির সঙ্গে যোগাযোগ হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি বলেন, 'না হয়নি। সিনেমাটির শুটিং চলাকালীন পপি বলেছিল যেদিন বিয়ে করবে সবকিছু থেকে নিজেকে গুটিয়ে নেবে। আর কখনো সিনেমায় ফিরবে না এবং মিডিয়ার কারো সঙ্গে যোগাযোগ রাখবে না।' জানা গেছে, সমাজের অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের গল্পে নির্মিত হয়েছে সিনেমাটি। এতে একজন পুলিশ কর্মকর্তার চরিত্রে অভিনয় করেছেন পপি। তবে আমিন খানের চরিত্রটি পরিষ্কার করেননি নির্মাতা। শুধু জানিয়েছেন আমিন খানের চরিত্রে অনেক টুইস্ট আছে। সিনেমাটিতে আরও অভিনয় করেছেন চিত্রনায়ক মামনুন হাসান ইমন, অভি, চিত্রনায়িকা শিরিন শিলা প্রমুখ। পপি স্কুলে পড়াকালীন সময়েই ১৯৯৫ সালে লাক্স আনন্দ বিচিত্রা ফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতার মাধ্যমে মিডিয়ায় পা রাখেন। ১৯৯৭ সালে সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত 'আমার ঘর আমার বেহেশত' ছায়াছবিতে অভিনয়ের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রে যাত্রা শুরু করেন পপি। তবে তার প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত 'কুলি'। প্রথম ছবি দিয়েই সাফল্য পান এই লাস্যময়ী। এরপর ১৯৯৮ সালে রিয়াজের বিপরীতে 'বিদ্রোহ চারিদিকে', ১৯৯৯ সালে মান্নার বিপরীতে 'কে আমার বাবা' ও 'লাল বাদশা', ২০০২ সালে কমল সরকার পরিচালিত 'ক্ষ্যাপা বাসু' ছবিগুলো তাকে অভিনেত্রী হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে। একের এক প্রায় দেড় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী। পপি অভিনীত উলেস্নখযোগ্য ছবিগুলো 'উজ্জ্বল কারাগার', 'রানি কুঠির বাকি ইতিহাস', 'বিদ্রোহী পদ্মা', 'কী জাদু করিলা', 'বস্তির রানি সুরাইয়া', 'দরিয়া পাড়ের দৌলতি', 'মেঘের কোলে রোদ', 'কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র' ইত্যাদি। সর্বশেষ সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত 'সাহসী যোদ্ধা' ছবিতে অভিনয় করেছেন পপি। উলেস্নখ্য, এই সিনেমা দিয়ে দীর্ঘদিন পর বড়পর্দায় ফিরছেন পপি। সর্বশেষ ২০১৯ সালে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে পপি অভিনীত 'দি ডিরেক্টর' সিনেমাটি। এরপর আর তার কোনো সিনেমা মুক্তি পায়নি। পপির আড়াল থাকার কারণে আটকে আছে রাজু আলীম ও মাসুমা তানি পরিচালিত 'ভালোবাসার প্রজাপতি' ও আরিফুর জামান আরিফের 'কাঠগড়ায় শরৎচন্দ্র' সিনেমা দু'টি।