সাক্ষাৎকার

চলচ্চিত্রে গান কমিয়ে দিয়েছি

আধুনিক বাংলা গানের প্রখ্যাত সংগীতশিল্পী আবিদা সুলতানা। চলচ্চিত্রে পেস্নব্যাক করেও অর্জন করেছেন সুখ্যাতি। কণ্ঠ দিয়েছেন প্রায় সাড়ে চারশ চলচ্চিত্রের গানে। রবীন্দ্র ও নজরুল সংগীতেও তিনি সিদ্ধহস্ত। বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের দীর্ঘদিনের তালিকাভুক্ত শিল্পী তিনি। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১৫ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
আবিদা সুলতানা
চলমান ব্যস্ততা... এখন (গতকাল মঙ্গলবার) একটি গানের রেকর্ডিংয়ে আছি। ঈদ উপলক্ষে 'স্বপ্নীল মনের ঠিকানা' শিরোনামে গানটি করছি। তবে কত তারিখে প্রকাশিত হবে তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। এছাড়া বিভিন্ন জায়গায় স্টেজ শো নিয়ে ব্যস্ত আছি। দেশের বাইরের বেশ কিছু প্রোগ্রাম হাতে আছে। এগুলোতেও অংশ নেব। এসব নিয়েই আপতত ব্যস্ত। চলচ্চিত্রে গান... ১৯৭৪ সাল থেকে চলচ্চিত্রে গান করে আসছি। লম্বা একটি পথ পাড়ি দিয়েছি। এখন চলচ্চিত্রে গান করা কমিয়ে দিয়েছি। সেভাবে সময় ও সুযোগ হয় না। মাঝে মধ্যে ভালো গান পেলে দু-একটি কাজ করি। নতুনদের গান... বর্তমানে সংগীতাঙ্গনের অবস্থা ভালো ও মন্দের মিশেল। এ নিয়ে বেশি কিছু বলতে চাই না। এটা সবসময়ই থাকে। তবে নতুনদের মধ্যে অনেকেই ভালো গান করছে। আমি সময় পেলেই নতুনদের গান শুনি। ওদের থেকেও অনেক কিছু শেখার আছে। সেদিন টিভিতে দেখলাম, নতুন একটি মেয়ে এত সুন্দর করে গান গাইছে, অভিভূত হয়ে গেলাম। মিউজিক ভিডিও... সত্যি বলতে কি, এই বয়সে এসে নিজের টাকা খরচ করে মিউজিক ভিডিও করার ইচ্ছে নেই। আমরা যে সময়টা থেকে উঠে এসেছি তখন এসব ছিল না। সেই সময় কেবল ভালো গানকে গুরুত্ব দেয়া হতো। এখন ভালো আর মন্দ নেই, সব গানেই মিউজিক ভিডিও করা হয়। নিজেকে টিকিয়ে রাখার জন্য আমিও দু-একটি মিউজিক ভিডিও করেছি। তবে আর নয়। কিংবদন্তি সুবীর নন্দী... চলচ্চিত্রে গান গাইতে এসেই প্রথম সুবীরদা'র সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল। তার সঙ্গে গান গাওয়া সে এক অন্যরকম অভিজ্ঞতা। আমি কিছুটা ভয়ে ভয়ে গান করছিলাম, দাদা আমাকে সাহস দিলেন। কোথাও একটু ভুল হলে ধরিয়ে দিতেন। এমনকি একটা শব্দ উচ্চারণে ভুল হচ্ছে, সেটাও ঠিক করে দিতেন। পরে তার সঙ্গে বহু গানে কণ্ঠ দিয়েছি। এভাবেই তার সঙ্গে আমার পারিবারিক সুসম্পর্ক তৈরি হয়। নিয়মিত ফোনে কথা আদান প্রদান হতো। তিনি চাইতেন আমরা যাতে ভালো গান গাই। তার মতো এত উদার মনের মানুষ এ সংগীতাঙ্গনে পাওয়া খুব কঠিন। গানের এমন মহান ব্যক্তিকে হারিয়ে সংগীতাঙ্গন সত্যিই শোকে স্তব্ধ।