সাক্ষাৎকার

শিল্প মাধ্যমকে টিকিয়ে রাখা এখন সময়ের দাবি

পুরো নাম কায়েস আরজু হলেও আরজু নামেই পরিচিত তিনি। প্রথম দিকেই চলচ্চিত্রে স্থায়ী একটা আসন করে নিয়েছেন তিনি। গত এক দশকে হাফ ডজনের বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। পেয়েছেন ভূয়সী প্রশংসাও। দীর্ঘ দুই বছর পর 'আগুনে পোড়া কান্না' সিনেমা দিয়ে আবারও ফিরছেন বড় পর্দায়। বর্তমানে সিনেমাটির শুটিং চলছে। এক ফাঁকে কথা হলো তার সঙ্গে-

প্রকাশ | ২০ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
'আগুনে পোড়া কান্না'... সবসময় চাই ভালো একটি গল্পের চলচ্চিত্রে অভিনয় করতে। প্রায়শই সিনেমার প্রস্তাব আসে। তবে মনের মতো গল্প পছন্দ হয় না, তাই কাজ করি না। 'আগুনে পোড়া কান্না'র চিত্রনাট্য পড়ে মনে ধরেছে। প্রেম, বিরহ ও একটি পারিবারিক গল্প দৃশ্যায়ন করা হবে এ চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে। বর্তমানে গাজীপুরের পুবাইলে আছি এ ছবির শুটিংয়ে। এতে আমার বিপরীতে অভিনয় করছেন নবাগত চিত্রনায়িকা আরোহী। নতুন নির্মাতা হিসেবে মেহদি হাসান ঈশার কাজের ধরন আমার পছন্দ হয়েছে। সব মিলে দর্শকদের জন্য ভালো কিছু নিয়েই হাজির হব। মানহীন কাজ করিনি... আমি প্রথম থেকেই দেখে শুনে কাজ করছি। তাই বারো বছরের চলচ্চিত্র ক্যারিয়ারে ছবি মুক্তি পেয়েছে নয়টি। সংখ্যায় কম হলেও আমি যেসব সিনেমায় কাজ করেছি প্রতিটি সিনেমাই দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। বলছি না, খুব ভালো সিনেমা করেছি, তবে মানহীন কাজ করিনি। চলচ্চিত্রে মন্দাভাব চলছে... চলচ্চিত্র নির্মাণ, বাজেট, ব্যবসায়িক কৌশলসহ প্রত্যেকটি জায়গায় সমস্যা রয়েছে। একমাত্র সরকার ছাড়া কারো পক্ষেই সম্ভব নয় বর্তমান চলচ্চিত্রের আমূল পরিবর্তন করা। আমরা অনেকের ওপরই নির্ভর করেছিলাম, কাজের কাজ কিছু হয়নি। দেশে যেমন যত্ন নিয়ে ফ্লাইওভার, মেট্রো রেল নিমার্ণ করা হচ্ছে, তেমনভাবে দায়িত্ব নিয়ে চলচ্চিত্রাঙ্গনকে বিনির্মাণ করতে হবে। ২০০০ সালের পর থেকে আমাদের চলচ্চিত্রে মন্দাভাব চলছে। এত বড় একটি শিল্প মাধ্যমকে টিকিয়ে রাখা এখন সময়ের সবচেয়ে বড় দাবি। সিনেমা হলে ফ্যান পর্যন্ত নেই... দর্শকদের কিভাবে বলব আপনারা পয়সা খরচ করে আমার সিনেমা দেখেন? ঢাকার বাইরের সিনেমা হলগুলোর দিকে তাকানো যায় না। এসি তো দূরের কথা অনেক সিনেমা হলে ফ্যানও নেই। অনেকটা গোডাউনের মতো অবস্থা। এ রকম পরিবেশে কে যাবে সিনেমা দেখতে? তাও এ পর্যন্ত যারা সিনেমা দেখতে আসছে তাদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। অভিনয়ই আমার পেশা... আমি অভিনয়ের মানুষ। অভিনয়ই আমার পেশা। তাই এ রকম মন্দা অবস্থার মধ্যেও সিনেমার জন্য কাজ করে যেতে হয়। চেষ্টা থাকে অল্প হলেও ভালো কাজ করার। তবে জোড় দিয়ে বলতে পারছি না 'আগুনে পোড়া কান্না' দিয়েই চলচ্চিত্রের দর্শক খরা মিটবে। এতটুকু আশ্বস্ত করতে পারি, দর্শক একটি ভালো গল্প দেখবে।