অভিনয়ে ফিরছেন সুমাইয়া শিমু

প্রকাশ | ২৩ মে ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
সুমাইয়া শিমু
একসময় নাটক ও বিজ্ঞাপনচিত্রে ব্যস্ত সময় পার করলেও দীর্ঘদিন ধরেই অভিনয় থেকে বেশ খানিকটা দূরে সরে রয়েছেন সুমাইয়া শিমু। সংসার আর স্বামী-সন্তান নিয়েই ব্যস্ত এখন তিনি। তবে খবর হচ্ছে, অনেকদিন পর আবার ছোটপর্দার দর্শকের কাছে হাজির হচ্ছেন তিনি। আসছে ঈদুল ফিতর উপলক্ষে একাধিক নাটক-টেলিফিল্মে অভিনয় করেছেন শিমু। পান্থ শাহরিয়ারের রচনায় খন্দকার আলমগীরের পরিচালনায় 'সেদিনও বিকেল ছিল' টেলিফিল্মে দেখা যাবে এই তারকাকে। এতে শিমুর সহশিল্পী হিসেবে অভিনয় করেছেন আরেক জনপ্রিয় ও সিনিয়র অভিনেতা আফজাল হোসেন। টেলিফিল্মটি প্রচার হবে ঈদের পঞ্চম দিন বিকাল ৪টা ৩০ মিনিটে। এ প্রসঙ্গে সুমাইয়া শিমু বলেন, 'অনেকদিন পর খুব ভালো গল্পের একটি টেলিফিল্মে কাজ করেছি। এটি ঈদে প্রচার হবে। গুণী অভিনেতা আফজাল হোসেন এতে অভিনয় করেছেন। টেলিফিল্মটি দর্শকদেরও ভালো লাগবে।' শিমু জানান, একসময় লেখাপড়া আর অভিনয়কে সমন্বয় করে চলতে হয়েছে তাকে। এখন সংসার ও অভিনয় সামলাতে হচ্ছে ছন্দময় গতিতে। শিমু বলেন, 'অভিনয় ভীষণ ভালোবাসি। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত যেন অভিনয়ের প্রতি এই ভালোবাসা থাকে সেই প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তার কাছে। আর দর্শকের কাছে আমার অনেক ঋণ। কারণ তারা শ্রদ্ধা, ভালোবাসা দিয়ে সাধারণ একটি মেয়েকে আজকের সুমাইয়া শিমু বানিয়েছেন।' অনেকের মতো তারকা খ্যাতি পাওয়ার জন্য অভিনয় করেন না এই অভিনেত্রী। 'নাটক'-এর ওপর এমফিল ও পিএইচডি করার পরও তার মধ্যে নেই কোনো গর্ব-অহংকার। শিমু বলেন, 'শুধু টিভিতে নিজের চেহারা দেখানোর জন্য কোনোদিন কাজ করিনি। যেদিন থেকে সত্যিকার অর্থে অভিনয়ের প্রেমে পড়েছি সেদিনই আমার এই দায়িত্ববোধ তৈরি হয়েছে। ভক্তের ভালোবাসার বিনিময়ে তাদের ভালো কিছু কাজ উপহার দেয়ার এক ধরনের চেতনা আমার মধ্যে কাজ করে।' \হতাই এখন আর মাসের ত্রিশ দিন অভিনয়ে ব্যস্ত থাকতে পারি না। ১০টি নাটকের প্রস্তাব পেলে তার মধ্যে সবচেয়ে ভালো গল্পের হয়তো দুটি নাটকে অভিনয় করি।' কাজ নির্বাচনের ক্ষেত্রে কোনদিকে বেশি গুরুত্ব দেন এই লাস্যময়ী অভিনেত্রী। ১০টি কাজ পেলে তার থেকে বাছাই করে দু-একটিতে কাজ করেন। শিমু বলেন, 'সামগ্রিক গল্পটি কেমন তা আগে পড়ি। যদি দেখি গল্পটি ভিন্নধর্মী তারপর আমার চরিত্রটির গভীরতা বা গল্পে তার গুরুত্ব কতখানি তা বিচার করি। আর একটি বিষয় খেয়াল করি, তা হলো- গল্পে বিনোদন থাকবে সেটা ঠিক আছে, কিন্তু তা সমাজের জন্য সকল দৃষ্টিকোণ থেকে ভালো কি না? যে গল্প সমাজের প্রতি কোনো ইতিবাচক বার্তা বহন করে সেই কাজ করতে অনেক বেশি আগ্রহী হই। এই কাজগুলো করলে শিল্পী বা দেশের নাগরিক হিসেবে দায়বদ্ধতা কিছুটা হলেও পূরণ করতে পেরেছি বলে মনে হয়।' কম ব্যস্ততা- বেশি ব্যস্ততা এসব নিয়ে শিমুর কোনো মাথাব্যথা নেই। শুধু ভালোমানের কিছু কাজ করতে চান তিনি। যা দেখে দর্শক তার ওপর থেকে আস্থা হারিয়ে না ফেলেন। অনেক হিসাব করে কাজ করেন বলে ইদানীং শিমু অভিনীত নাটকের সংখ্যা বেশ কম। তবে যে কাজটি করেন সেটি দর্শক সানন্দে গ্রহণ করেন।