সুবীর নন্দীর গান সংরক্ষণের উদ্যোগ

প্রকাশ | ২৪ মে ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
সুবীর নন্দী
কণ্ঠশিল্পী সুবীর নন্দী মারা গেছেন গত ৭ মে। দৈনন্দিন কাজ আর নতুন নতুন ঘটনার ভিড়ে না থাকা মানুষটিকে ভুলে যাওয়াটা অস্বাভাবিক কিছু না। কিন্তু এমন কিছু মানুষ আছেন যারা দেহত্যাগ করলেও সহজে ভুলে যাওয়া যায় না। তাদের রেখে যাওয়া সৃষ্টিগুলো তাকে স্মরণ করিয়ে দেয় বার বার। সুবীর নন্দী তেমনি একজন মানুষ। সুবীর নন্দীর চলে যাওয়া এখনো তার অনুরাগীরা মেনে নিতে পারেননি। মেনে নিতে পারেননি তার দীর্ঘ দিনের সহকর্মীরা। সে কারণে এই গানের পাখিকে স্মরণ করতে গত বুধবার (২২ মে) জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজন স্মরণানুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ। সভাপতি ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি। স্মরণানুষ্ঠানের শুরুতে সুবীর নন্দীর আত্মার শান্তি কামনায় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। তারপর আগত অতিথিরা সুবীর নন্দীকে নিয়ে একের পর এক স্মৃতিচারণ করেন। সাবিনা ইয়াসমীন সুবীর নন্দীর স্মৃতিচারণ করে বলেন, 'সুবীর নন্দী ও তার গান সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি কতটা ভালো মানুষ ছিলেন সেটা সবাই জানেন। 'ছুটির ঘণ্টা' ছবিতে 'রহমত ভাই, তোমায় নাম দস্তখত শেখাতে চাই' গানে কণ্ঠ দিয়েছিলাম আমরা। তারপর অসংখ্য গানে কণ্ঠ দিয়েছি একসঙ্গে। বাংলা গান সমৃদ্ধ করতে সুবীর নন্দী যে অবদান রেখে গেছেন, তা কোনোদিন ভোলার নয়। আমার বিশ্বাস এই প্রজন্ম সুবীর নন্দীকে বেশি বেশি করে চর্চা করবে।' প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ সুবীর নন্দীর গানগুলো সংরক্ষণের ঘোষণা দেন। তিনি বলেন, 'সুবীর নন্দী অকালেই চলে গেলেন আমাদের ছেড়ে। তার চলে যাওয়ার মধ্য দিয়ে আমাদের সংস্কৃতিতে বিরাট শূন্যতা সৃষ্টি হলো। তার গান বাংলা সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। সে কারণে তার গান সংরক্ষণ করা হবে সরকারিভাবে। সংরক্ষিত সেসব গানের মধ্য দিয়ে আগামী প্রজন্ম সুবীর নন্দী সম্পর্কে জানতে পারবে।' স্মৃতিচারণ পর্ব ও স্মরণ অনুষ্ঠানের শেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন শিল্পকলার মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকি।