সাক্ষাৎকার

অভিনয়ই আমার কাছে মুখ্য

মনোজ প্রামাণিক। উদীয়মান বৈচিত্র্যময় অভিনেতা। নাটকের পাশাপাশি বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রেও কাজ করছেন। করছেন শিক্ষকতাও। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয় নিয়ে যায়যায়দিনের অফিসে কথা হয় তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ২৬ মে ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
মনোজ প্রামাণিক
শুটিং চলছে... এবারে ঈদের নাটকের ব্যস্ততা কিছুটা বেশি। ইচ্ছে করেই কাজের চাপ বেশি নিয়েছি। সংখ্যার হিসাব করলে প্রায় বিশটি খন্ড নাটকে আমাকে দেখা যাবে। এখনো অনেক নাটকের কাজ শেষ হয়নি। আগামী মাসের ৩ তারিখ পর্যন্ত টানা শুটিং চলবে। অন্য পেশা... অভিনয় ও শিক্ষকতা দুটোই করছি। শিক্ষকতা করার মজাই আলাদা। শিক্ষার্থীরাও আমাকে ইতিবাচকভাবেই গ্রহণ করেছে। আমাকে প্রতিনিয়ত দেখতে দেখতে তারাও অভ্যস্ত হয়ে গেছে। এছাড়া আমি কোনো বড় তারকা নই যে, ক্লাসে ঢুকলে আমাকে দেখার জন্য ভিড় লেগে যাবে (হাসি)। সব মিলিয়ে ভালোই যাচ্ছে। প্রায় একই চিত্রনাট্য... সত্যি বলতে আমাদের এখানে রোমান্টিক ঘরানার কাজ বেশি হচ্ছে। সবচেয়ে অবাক করা বিষয়, চিত্রনাট্যগুলোও প্রায় একই রকমের। একই বিষয় নিয়ে তিন চারটা নাটক নির্মাণ হচ্ছে। অনেক সময় মনে হয় একই ধরনের কাজ করব না। তবুও করতে বাধ্য হই। ভিন্ন কিছু করতে চাই। সবসময় চেষ্টা করি এমন একটি চরিত্রে অভিনয় করতে, যেটা আগে কখনো করিনি। নতুন গল্পে কাজ করার লোভ আমার আছে। চলচ্চিত্র... শিল্পনির্ভর চলচ্চিত্র বা বাণিজ্যিক চলচ্চিত্রকে আমি আলাদা করে দেখি না। আমার কাছে অভিনয়ই মুখ্য। মূল বিষয় হচ্ছে, একটি গল্পকে ক্যামেরার মাধ্যমে বলা। এর বাইরে কিছু নেই। আর অভিনেতা হিসেবে আমার চ্যালেঞ্জ হচ্ছে পর্দায় অভিনয় ফুটিয়ে তোলা। অভিনয়টা ঠিকঠাক করতে পারলে সেটা নাটক, আর্ট ফিল্ম বা বাণিজ্যিক ফিল্ম হোক সমস্যা নেই। 'মিশন এক্সট্রিম'.... আমার কাছে সবসময় গল্পের চরিত্র গুরুত্ব পায়। মূলত সে কারণেই 'মিশন এক্সট্রিম' সিনেমায় কাজ করছি। অনেকেই বলতে পারেন নাটকে আমি প্রধান চরিত্রে অভিনয় করি, তবে চলচ্চিত্রে কেন পার্শ্ব চরিত্রে অভিনয় করলাম। উত্তর হলো, আমার কাছে মনে হয়েছে এই চরিত্রটি পুরো সিনেমার জন্যই গরুত্বপূর্ণ। সবমিলিয়ে দর্শকরা আমাকে যে ধরনের অভিনয়ে দেখে, তার বাইরে নতুন এক মনোজকে আবিষ্কার করবে। এছাড়া সম্প্রতি মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর 'শনিবার বিকেল' চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছি। বড় পর্দায় নিয়মিত কাজ করার ইচ্ছে আছে। তবে ভালো গল্প হতে হবে।