সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় এবার এক নারী গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ২৯ জানুয়ারি ২০২৫, ০০:০০

বিনোদন ডেস্ক
বলিউড অভিনেতা সাইফ আলী খানকে ছুরিকাঘাতের ঘটনা নিয়ে চর্চা এখন তুঙ্গে। এই হামলাকে কেন্দ্র করে বেরিয়ে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। অভিনেতাকে হামলাকারী হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে শরিফুল ইসলামকে। তবে তিনি সত্যিই হামলাকারী কিনা, এ নিয়েও সন্দেহ ছিল অনেকেরই। এবার সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার হলেন এক নারী। পিটিআইয়ের প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, সোমবার নদিয়ার বিভিন্ন প্রান্তে তলস্নাশি চালায় মুম্বাই পুলিশ। অবশেষে চাপড়া অঞ্চল থেকে গ্রেপ্তার করা হয় এক নারীকে। পুলিশের দাবি, ওই নারীর সঙ্গে সাইফের ওপর হামলাকারীর সংযোগ রয়েছে। ওই নারীর সাহায্যেই নাকি বাংলাদেশ থেকে এ দেশে এসেছিলেন সাইফের হামলাকারী শরিফুল। সেই নারী মুর্শিদাবাদের আন্দুলিয়ার বাসিন্দা বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে বেশ কয়েকদিন হাসপাতালেই ভর্তি ছিলেন সাইফ। এখন অনেকটাই সুস্থ। বাড়ি ফিরেছেন অভিনেতা। ইতোমধ্যেই সেই রাতের ঘটনা নিয়ে অনেক জলঘোলা হয়েছে। কিন্তু বুধবার মধ্যরাতে কী ঘটেছিল তা সঠিক একমাত্র সাইফই বলতে পারতেন। কারণ, সে রাতে ওই পরিস্থিতিতে তিনিই মোকাবিলা করেছিলেন হামলাকারীকে। বাড়ি ফিরে পুলিশের কাছে সেই রাতের ঘটনার পুনঙ্খানুপুঙ্খ বর্ণনাও দিয়েছেন সাইফ। বয়ান রেকর্ড করেছে মুম্বাই পুলিশ। ২৩ জানুয়ারির সন্ধ্যায় নিজের বক্তব্য পুলিশকে জানিয়েছেন অভিনেতা। সাইফ জানান, সেই রাতে তিনি আর কারিনা ছিলেন ১১ তলায় নিজেদের শোবার ঘরে। রাতে আচমকাই শুনতে পান ছোট ছেলে জাহাঙ্গীরের চিৎ?কার। ছেলের চিৎ?কার শুনে সঙ্গে সঙ্গে তার ঘরে যান সাইফ এবং কারিনা। সেখানেই ছিলেন হামলাকারী। গৃহকর্মীও ভয় পেয়ে চিৎ?কার করছিলেন। আর ভয়ংকর কাঁদছিলেন সাইফের ছোট ছেলে জাহাঙ্গীর। তখনই সেই হামলাকারীকে থামানোর চেষ্টা করেন তিনি। সেই ব্যক্তি সাইফের পিঠে, ঘাড়ে এবং হাতে বেশ কয়েকবার ছুরি দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। এরপর বড় ছেলে ইব্রাহিমের হাত ধরেই হাসপাতালে পৌঁছেছিলেন সাইফ। এদিকে সাইফের ওপর হামলার ঘটনায় নিত্যনতুন তথ্য সামনে আসছে। বাড়ছে বিভ্রান্তি। ভারতীয় গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুসারে, মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিভাগের রিপোর্ট বলছে, সাইফের বাড়ি থেকে হামলাকারীর যে ১৯টি ফিঙ্গারপ্রিন্ট পাওয়া গেছে, সেগুলোর সঙ্গে শরিফুলের আঙুলের ছাপের কোনো মিল নেই। মহারাষ্ট্র সিআইডির ফিঙ্গারপ্রিন্ট বিশেষজ্ঞরা যে রিপোর্ট দিয়েছে তাতে রীতিমতো চমকপ্রদ তথ্য এসেছে। বলা হচ্ছে, সাইফের বাড়ি থেকে পাওয়া নমুনার একটাও মিলছে না শরিফুলের সঙ্গে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে আদৌ শরিফুলই সাইফের বাড়িতে হামলা চালিয়েছেন তো? আপাতত মুম্বাই পুলিশও ব্যস্ত সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে।