সাক্ষাৎকার

শুরু থেকেই সিনিয়রদের সহযোগিতা পাচ্ছি

চলচ্চিত্রের উদীয়মান তারকা অভিনেতা তাসকিন রহমান। 'ঢাকা অ্যাটাক' দিয়ে চলচ্চিত্রে রাজকীয় অভিষেক। পরে খলনায়ক থেকে হয়েছেন নায়ক। অভিনয়ে দক্ষতা দেখিয়ে অল্প দিনেই অর্জন করেছেন দর্শকপ্রিয়তা। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক বিষয়ে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১২ জুন ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
তাসকিন রহমান
ঈদ প্রসঙ্গ... পরিবার ও বন্ধুদের নিয়ে অনেক দিন পর ঢাকায় ঈদ করেছি। দেশে ঈদ করার মজাই আলাদা। সবার সঙ্গে হইহুলেস্নাড় করে দিনটা উৎযাপন করা যায়। যদিও ঈদের দিন বৃষ্টি ছিল, তারপরও বিশেষভাবেই কাটিয়েছি। মিশন এক্সট্রিম... 'মিশন এক্সট্রিম' চলচ্চিত্রটির বেশির ভাগ কাজই শেষ হয়েছে। আমার দু-একটি সিকোয়েন্স বাকি আছে। তারপরই ডাবিংয়ের কাজ শুরু হবে। বলা যায়, অলমোস্ট ডান। আশাবাদী... বর্তমানে ব্যস্ত আছি 'শান' চলচ্চিত্র নিয়ে। ঈদের পর গত সোমবার থেকে শুরু হয়েছে এর দ্বিতীয় দফার কাজ। এর আগে রমজানের মধ্যে এক সপ্তাহ শুটিং হয়েছিল। এ চলচ্চিত্রটি নিয়ে আমি খুব আশাবাদী। এটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মাণ করা হচ্ছে। আর এ ছবিটি নির্মাণের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাই দারুণ খুশি। অন্যদিকে সিয়াম ও পূজার সঙ্গে আমার এটি প্রথম কাজ হলেও তাদের সঙ্গে চেনাজানা আগে থেকেই। ফলে দারুন কাজ হচ্ছে। ঢাকা অ্যাটাকের মতো 'শান'ও ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা পাবে বলে আমার বিশ্বাস। প্রধান চরিত্র... পহেলা বৈশাখে 'বয়ফেন্ড' নামে একটি চলচ্চিত্র মুক্তি পেয়েছে। যেখানে প্রধান চরিত্রে আমি অভিনয় করেছি। হয়তো সামনেও এরকম প্রধান চরিত্রে আমাকে দেখা যেতে পারে। সত্যি বলতে কী, আমার কাছে প্রধান আর দ্বিতীয় চরিত্র বলে কিছু নেই। গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে আমার অভিনীত চরিত্রটি দর্শকের কাছে কতটা বিশ্বাসযোগ্যভাবে উপস্থাপন করতে পারছি। প্রচারণা... চলচ্চিত্রের বর্তমান অবস্থা খুব একটা সুবিধাজনক নয়। আবার খারাপও বলা যাবে না। ভালো ছবি নির্মাণ হচ্ছে। সংখ্যায় হয়তো কম। এ বিষয়ে সবার নজর দেয়া উচিত। বিভিন্ন জায়গায় হল বন্ধ হয়ে যাচ্ছে, ফলে দর্শকও কমে যাচ্ছে। আমার মনে হয়, ভালো ছবি নির্মাণের সঙ্গে সঙ্গে এর প্রচারণায়ও মনোযোগ দিতে হবে। ছবি নির্মাণের পর প্রচারণা ভালোভাবে না হলে দর্শক প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে ছবিটি দেখবে না। সহযোগিতা... আমাদের চলচ্চিত্রাঙ্গনের একটি বিষয় আমাকে খুব আকৃষ্ট করেছে। এ পর্যন্ত আমি যে কয়টি চলচ্চিত্রে কাজ করেছি তার সবক'টিতেই সিনিয়র শিল্পীরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন। বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন। সব সময়ই আমার কাছে মনে হয়েছে, আমরা একটি পরিবার হয়ে কাজ করছি। এ বিষয়টি সত্যিই আমার ভালো লেগেছে।