শেষ মুহূর্তে জমে উঠেছে শিল্পী সংঘের নির্বাচন

প্রকাশ | ২০ জুন ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
সভাপতি পদপ্রার্থী শহীদুজ্জামান সেলিম
দেখতে দেখতে ঘনিয়ে এলো সময়। আগামীকালই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ছোটপর্দার শিল্পীদের আশা-ভরসার নির্বাচন। অভিনয় শিল্পী সংঘের দ্বিবার্ষিক এই নির্বাচন নিয়ে মুখরিত এখন মিনিপাড়া। শিল্পী-কলাকুশলীদের মাঝে বিরাজ করছে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা। চলছে শেষ মুহূর্তের প্রচারণা। বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে গত ক'দিন ধরেই সন্ধ্যা জুড়ে দেখা মিলছে ছোটপর্দার তারকাদের সমাগম। শুধু শিল্পকলাতেই নয়, বেইলি রোডস্থ নাটক সরণি, শান্তিনগর মোড়, মগবাজারের মিডিয়া গলিসহ টিভি মিডিয়ার সকল আড্ডাখানা এখন নির্বাচনী হাওয়ায় সরগরম। শেষ সময়ের নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় প্রার্থীরা ব্যস্ত। ঢাকার নানা প্রান্তে বারবার মিলিত হচ্ছেন সবাই। আড্ডা আর নির্বাচনী মুখরতায় কাটছে সবার ব্যস্ত সময়। সন্ধ্যার নীরবতা ভেঙে রাজধানীর মগবাজার, শিল্পকলা একাডেমিসহ নানান জায়গায় দেখা যাচ্ছে শিল্পীদের। সেইসঙ্গে ফেসবুকের টাইমলাইনে চলছে আলোচনা আর প্রচারণার ঝড়। এই নির্বাচন সংস্কৃতিপ্রেমী দর্শক-শুভাকাঙ্ক্ষীদের মধ্যেও এনেছে আনন্দের উষ্ণতা। নির্বাচনে সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আহসান হাবিব নাসিম। তিনি এর আগের কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। নাসিম বলেন, 'নির্বাচনী প্রচারণা ভালোই চলছে। প্রার্থীরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছেন। নির্বাচনী আলোচনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নাটকপাড়া। আশা করি ভোটাররা যোগ্যপ্রাথী কে বিজয়ী করতে সঠিক সিদ্ধান্ত নিবেন।' তিনি আরও বলেন, 'আমি গেল মেয়াদে সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। নিজের দায়িত্ববোধের জায়গা থেকে কখনো বিচু্যত হইনি। চেষ্টা করেছি শিল্পীদের পাশে থাকার। আমি আশাবাদী নতুন মেয়াদেও নির্বাচিত হব। সেইসঙ্গে একটি চমৎকার পরিবেশে আনন্দ উৎসবে নির্বাচনের প্রত্যাশাও করছি।' কার্যনির্বাহী পদে লড়ছেন অভিনেত্রী বন্যা মির্জা। তিনিও এর আগের কমিটিতে ছিলেন। এবারের নির্বাচন নিয়ে তিনি বলেন, 'অভিনয় শিল্পী সংঘ একটি স্বেচ্ছাশ্রম সংগঠন। এখানে যারা নির্বাচিত হয়, তারা কোনো সম্মানী পান না। আগের কমিটিতেও আমি নির্বাচিত ছিলাম। সফলতার সঙ্গে এ দু বছর আমরা দায়িত্ব পালন করেছি। এবারের নির্বাচনে হেরে গেলেও আমি কোনো কষ্ট পাব না। কারণ এখানে যে ৫২ জন নির্বাচনে লড়ছে সবাই দক্ষ। কোনো অদক্ষ লোক নির্বাচন করছেন না।' এবার ২০১৯-২০২১ মেয়াদের কার্যনির্বাহী কমিটিতে নির্বাচিত হতে লড়ছেন ছোটপর্দার একঝাঁক প্রিয়মুখ। 'জিতবে একুশ জন, হারবে না কেউ'- সেস্নাগানে এবার নির্বাচনে ৫২ জন শিল্পী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। যার মধ্য থেকে সাধারণ ভোটারদের ভোটে নির্বাচিত হবেন ২১ জন। তাদের নিয়েই গঠিত হবে আগামী দু বছরের জন্য নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি। আসন্ন নির্বাচনে বরেণ্য নাট্যব্যক্তিত্ব খায়রুল আলম সবুজ প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করবেন। এদিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে, এবারে ভোট দেবেন ৬০৮ জন শিল্পী। রাজধানীর সেগুনবাগিচার বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে নির্বাচন। এদিন ভোটগ্রহণ চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এবারে সভাপতি পদে লড়ছেন- তুষার খান, মিজানুর রহমান ও শহীদুজ্জামান সেলিম। সহ-সভাপতি পদে আজাদ আবুল কালাম, আহসানুল হক মিনু, ইউজিন ভিনসেন্ট গোমেজ, ইকবাল লাবু, তানিয়া আহমেদ ও দিলু মজুমদার। সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছেন আহসান হাবিব নাসিম ও আবদুল হান্নান। দুটি যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক পদে আশরাফ কবীর, আনিসুর রহমান মিলন, আমিনুল হক আমিন, রওনক হাসান, সুমনা সোমা। এদিকে কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী না থাকায় সাংগঠনিক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত লুৎফর রহমান জর্জ। অর্থ-সম্পাদক পদে নূর এ আলম এবং মাঈন উদ্দিন আহমেদ (কোহিনূর)। দপ্তর সম্পাদক পদে উর্মিলা শ্রাবন্তী কর, আরমান পারভেজ মুরাদ, গোলাম মাহমুদ, মেরাজুল ইসলাম। অনুষ্ঠান সম্পাদক পদে জিনাত সানু স্বাগতা, পাভেল ইসলাম ও রাশেদ মামুন অপু। আইন ও কল্যাণ সম্পাদক পদে মমতাজ বেগম, শামীমা ইসলাম তুষ্টি ও শিরিন আলম। প্রচার ও প্রকাশনা পদে প্রাণ রায়, শফিউল আলম বাবু এবং শহিদ আলমগীর। তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক পদে মুলুক সিরাজ ও সুজাত শিমুল। কার্যনির্বাহী সদস্য পদে রাজিব সালেহিন, জাকিয়া বারী মম, নুরুন জাহান বেগম, রেজাউল রাজু, বন্যা মির্জা, নাদিয়া আহমেদ, তানভীর মাসুদ, মাহাদী হাসান পিয়াল, মুনিরা বেগম মেমী, ওয়াসিম যুবরাজ, জাহিদ চৌধুরী, নিথর মাহবুব, সনি রহমান, শামস সুমন, আবদুর রাজ্জাক, সূচনা সিকদার ও সেলিম মাহবুব।