রোজার ঈদের রেশ না কাটতেই কোরবানি ঈদের কাজ

প্রকাশ | ২৫ জুন ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
ঈদুল ফিতরের রেশ কাটতে না কাটতেই নাট্যাঙ্গন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে ঈদুল আজহার কর্মযজ্ঞ নিয়ে। অসংখ্য টিভি চ্যানেলে সপ্তাহব্যাপী ঈদের অনুষ্ঠানমালার খোরাক জোগাতে যারপরনাই ব্যস্ত এখন নাট্য নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীরা। তবে জনপ্রিয় এবং শীর্ষ চাহিদাসম্পন্ন তারকারাই এই তালিকায় শীর্ষে অবস্থান করছেন। হাতে অসংখ্য নাটকের কাঁটায় কাঁটায় সিডিউল মেলাতে ভোর থেকে শুরু করে গভীর রাত পর্যন্ত কাজ করতে হচ্ছে তাদের। ঢাকা ও ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শুটিং হাউসে খোঁজ নিয়ে এবং নির্মাতা ও অভিনয়শিল্পীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বরাবরের মতো এবারও ব্যস্ততার শীর্ষে রয়েছেন অভিনেতা মোশারফ করিম, জাহিদ হাসান, চঞ্চল চৌধুরী, আফরান নিশো, সজল, নিলয় আলমগীর, সাজু খাদেম, নাঈম, আনিসুর রহমান মিলন, জিয়াউল ফারুক অপূর্ব, জোভান আহমেদ, তৌসিফ মাহবুব ও ইফরান সাজ্জাদ। আর অভিনেত্রীদের মধ্যে রয়েছেন মেহজাবীন চৌধুরী, নুশরাত ইমরোজ তিশা, জাকিয়া বারী মম, সাফা কবির, সাবিলা নূর, মুমতাহিনা টয়া, শেহতাজ মুনিরা, ঊর্মিলা শ্রাবন্তী কর, নাদিয়া, নাবিলা ইসলাম, শবনম ফারিয়া ও মৌসুমী হামিদ। এক ঘণ্টার নাটক ও টেলিফিল্মের পাশাপাশি অনেকেই কাজ করছেন ধারাবাহিক নাটকেরও। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ঢাকা ও পুবাইলসহ দেশের বিভিন্ন লোকেশনে শুরু হয়েছে ঈদ নাটকের কাজ। অনেক তারকাশিল্পী গত ঈদের ছুটি কাটিয়ে যোগ দিয়েছেন ঈদ নাটকের শুটিংয়ে। এর মধ্যে কাজ শুরু করেছেন ছোটপর্দার ব্যস্ততম অভিনেত্রী অহনা। তিনি নির্মাতা আল হাজেনের পরিচালনায় অভিনয় করছেন দুটি ঈদ নাটকে। ঈদুল ফিতরের ছুটি কাটিয়ে কাজ শুরু করেছেন ছোটপর্দার পরিচিত মুখ সাফা কবির ও ইরফান সাজ্জাদ। দুজনই জুটি বেঁধেছেন আগামী ঈদের জন্য। এ ছাড়া নাদিয়া নদী, শবনম ফারিয়া, চঞ্চল চৌধুরী, মুমতাহিনা টয়া, অপূর্ব, মেহজাবীনসহ অনেকই শুরু করেছেন ঈদুল আজহা উপলক্ষে নাটকের কাজ। নাট্যসংশ্লিষ্ট অনেকের মতে, বরাবরের মতো সামনের ঈদেও আলোচনায় থাকবেন মোশাররফ করিম, মেহজাবিন চৌধুরী, তানজিন তিশা, নুসরাত ইমরোজ তিশা, আরফান নিশো, জিয়াউল হক অপূর্ব, শবনম ফারিয়ার মতো পরীক্ষিত অভিনয় শিল্পীরা। নাট্য নির্মাতারা সেভাবেই সিডিউল নিয়ে রেখেছেন এসব অভিনেতা-অভিনেত্রীদের। গত ঈদে টেলিভিশন ও ডিজিটাল মাধ্যম মিলিয়ে প্রায় ৬০০ নাটক প্রচারিত হয়েছে। এতেও প্রত্যাশা মেটেনি দর্শকদের। দুর্বল গল্প, যুক্তি ছাড়াই কাতুকুতু দিয়ে দর্শক হাসানোর বৃথা চেষ্টার সঙ্গে যোগ হয়েছিল জোর করে কাঁদানো। ফলে বিনোদন না পেয়ে উল্টো বিরক্ত হয়েছে দর্শক। ঈদ নাটকে পাওয়া যায়নি ঈদের ছোঁয়া। বেশির ভাগ নাটকেই সামঞ্জস্য ছিল না। ভিন্নতা ছিল না গল্পে ও অভিনয়ে। হুটহাট করে গল্পে বিষাদ-বেদনা যোগ করে মিনিটের পর মিনিট দেখানো হয়েছে নায়ক-নায়িকাদের কান্নার দৃশ্য। এসব সমালোচনাকে উতরে সামনের ঈদে থাকছে নতুনত্ব-এমনটিই জানালেন বেশ কয়েকজন নির্মাতা ও অভিনয় শিল্পী। 'সোনা-বাবু' প্রেম ও অপ্রয়োজনীয় গান-লোকেশন দেখানোর বৃত্ত থেকে বেরিয়ে এসে গল্পে থাকুক নতুনত্ব-এমন প্রত্যাশা দর্শকদেরও।