স া ক্ষ া ৎ ক া র

দ্বীপের নামকরণ হয়েছে আমার নামে

রুপালিপর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী ফরিদা আক্তার ববিতা। সত্তর-আশির দশকে বেশ দাপটের সঙ্গে কাজ করেছেন তিনি। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, বাচসাস পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কার ও সম্মাননা পেয়েছেন। এ ছাড়াও তাকে ২০১৮ সালে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা প্রদান করা হয়। বর্তমান ব্যস্ততা ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হলো তার সঙ্গে...

প্রকাশ | ১১ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ফরিদা আক্তার ববিতা
বর্তমান ব্যস্ততা ... কয়েক সপ্তাহ আগে দেশে ফিরেছি। পারিবারিক কিছু কাজের জন্য নিজেকে সময় দিচ্ছি। কয়েকদিনের মধ্যে আবার দেশের বাইরে যাব। আমার ছেলে কানাডায় চাকরির পাশাপাশি পড়াশোনা ও রিসার্চ করছে। তার ওখানেই বেশি থাকা হয়। তবে সুযোগ পেলেই দেশে আসি, দেশীয় চলচ্চিত্রের মানুষদের সঙ্গে সময় দিতে চেষ্টা করি। সহকর্মী হিসেবে ... আমার জীবনে বহু চলচ্চিত্রে কাজ করেছি। সহকর্মী হিসেবে নায়করাজ রাজ্জাক ভাই আমার কাছে প্রিয় মানুষ ছিলেন। তার সঙ্গে আমার হাজারো রকমের স্মৃতি জড়িত। এছাড়া ফারুক ভাই, উজ্জ্বল ভাইসহ অনেকের সঙ্গে আমার কাজ করা হয়েছে। বিশেষ করে চলচ্চিত্র আমাদের একটা প্রাণের জায়গা। এখানের মানুষগুলোর প্রতি আমার হৃদয়ে আলাদা ভালোবাসা রয়েছে। অভিনয় জীবনের স্মৃতি ... অভিনয় জীবনের তো মজার স্মৃতির শেষ নেই। আর হঠাৎ করে সব স্মৃতিও বলা সম্ভব নয়। তবে এই মূহূর্তে একটি স্মৃতি মনে পড়ছে। আমি রাজ্জাক ভাইসহ পুরো শুটিং ইউনিট একটি চলচ্চিত্রের শুটিং করতে একটি পাহাড়ি অঞ্চলে যাই। যেখানে আমরা থাকতাম সেখান থেকে আমাদের শুটিংয়ের স্থান অনেক দূরে ছিল। রাজ্জাক ভাইয়ের কথায় আমাকে সাজিয়ে প্রতিদিন পালকিতে নিয়ে যাওয়া-আসা হতো। একটি দৃশ্য ছিল হিরো আমাকে মুখে মুখ লাগিয়ে পানি বের করবে। পরে দৃশ্যটি শেষ করার পর অনেক প্রশংসিত হয়েছিল। একটি দ্বীপে শুটিং করেছিলাম। অনেকদিন পর যখন সেখানে বেড়ানোর জন্য গিয়েছিলাম তখন খুব মনে পড়ে যায় সেইসব দিনের কথা। একজন দেখালেন, যে দ্বীপে অভিনয় করেছিলাম সেই দ্বীপটা নাকি 'ববিতা দ্বীপ' নামেই নামকরণ করা হয়েছে। শুনেই তো আমি অবাক! এরকম হাজার রকমের স্মৃতি আমার জীবনে রয়েছে। অভিনয় জীবনের প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তি ... আমার জীবনের যত প্রাপ্তি সবকিছুই চলচ্চিত্রকে ঘিরেই। আমি নাটক কিংবা বিজ্ঞাপনে পর্যন্ত কাজ করিনি। কারণ আমি জানতাম, আমি চলচ্চিত্রের শিল্পী। অপ্রাপ্তি তো আছেই। ইদানীং চোখে পড়ে অনেকের কাজ কমে গেলে সব ধরনের কাজ করতে নেমে পড়েন। আমার মধ্যে এরকম চিন্তা-চেতনা ছিল না। সব ধরনের কাজ করলে নিজেরও কোনো ব্যক্তিত্ব থাকে না। চলচ্চিত্রের সঙ্গে অন্য কিছুর তুলনা কখনও হয় না। সব যেন জগাখিচুড়ি হয়ে যাচ্ছে। এসব চলচ্চিত্র মানুষদেরকেই আবার নতুন করে সাজাতে হবে। ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা ... অভিনয় আর চলচ্চিত্র আমার ভালোবাসার জায়গা। ভবিষ্যতে কী হবে, সেটি তো আমি কিংবা আমরা জানি না। সবসময় চলচ্চিত্রের সঙ্গে ছিলাম ভবিষ্যতেও থাকব। সবাই আমার ও আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন। যেন ভালো থাকতে পারি।