সংবাদ সংক্ষেপ

প্রকাশ | ১৩ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
'মেরাজ ফকিরের মা' নাটকের ২০০তম মঞ্চায়ন বিনোদন রিপোর্ট বাংলাদেশের আধুনিক নাট্য আন্দোলনের প্রবাদপ্রতিম ব্যক্তিত্ব এবং বহমাত্রিক শিল্পস্রষ্টা আবদুলস্নাহ আল-মামুন-এর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন উপলক্ষে ঢাকার প্রথম সারির নাটকের দল থিয়েটার ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি যৌথভাবে দুদিনব্যাপী 'আবদুলস্নাহ আল-মামুন-এর ৭৭তম জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন' অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। মহান এই নাট্যব্যক্তিত্বের জন্মদিন আরও স্মরণীয় করতে থিয়েটার তার রচিত ও নির্দেশিত বিখ্যাত নাটক 'মেরাজ ফকিরের মা'-এর ২০০তম প্রদর্শনীরও আয়োজন করেছে। জন্মবার্ষিকী উদ্‌যাপন আয়োজনের প্রথম দিন গতকাল শুক্রবার বিকেল ৫টা ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় 'মেরাজ ফকিরের মা' নাটকের ১৯৮তম ও ১৯৯তম প্রদর্শনী হয়। আজ শনিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির সেমিনার হলে 'বর্তমান প্রেক্ষিতে নাট্য প্রযোজনা ও অভিনয়' শীর্ষক আব্দুলস্নাহ আল-মামুন স্মারক বক্তৃতা প্রদান করবেন নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় জাতীয় নাট্যশালায় অনুষ্ঠিত হবে 'মেরাজ ফকিরের মা' নাটকের ২০০তম প্রদর্শনী। ২০০টি প্রদর্শনীতে টানা অভিনয়ের জন্য এদিন থিয়েটার, নাটকটির ৩জন অভিনয়শিল্পী ফেরদৌসী মজুমদার, রামেন্দু মজুমদার এবং মারুফ কবিরকে সম্মাননা স্মারক প্রদান করবে। \হ 'কঙ্কাবতীর না বলা কথা' বিনোদন রিপোর্ট নবাব নাসিরের পরিচালনায় নির্মিত হয়েছে নাটক 'কঙ্কাবতীর না বলা কথা'। এ নাটকে জুটি হয়ে অভিনয় করলেন সজল ও নাদিয়া নদী। অব্যক্ত প্রেমের গল্প নিয়ে নাটকের মূল বিষয়বস্তু। সময় ও কাজের ব্যস্ততার মাঝে কঙ্কাবতীর প্রিয় মানুষের কঠিন বিসর্জন তার জীবন বেদনায় বিভোর করে তোলে। এমন গল্প নিয়েই নির্মিত হয়েছে নাটকটি। আজ শানিবার রাত ৮টায় আরটিভিতে প্রচারিত হবে 'কঙ্কাবতীর না বলা কথা'। এতে আরও অভিনয় করেছেন বাপ্পা, শান্তনু, রেশমা, তাইমুর রহমান, ফারদিন সানি, রিন্টু হক ও সফর শুভ উত্তম। টাইমস ইনোভেশন প্রযোজিত নাটকটি রচনা করেছেন জহির করিম। অপূর্ব-তিশার নতুন নাটক বিনোদন রিপোর্ট কাব্য এবং রায়ার একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প নিয়ে জাকারিয়া শৌখিন নির্মাণ করেছেন আগামী ঈদের জন্য বিশেষ নাটক 'শুনতে কী পাও'। শৌখিনের ভাষ্যমতে 'শুনতে কী পাও' গল্প সম্পর্কে জানা যায় যে কাব্য ও রায়ার আগে থেকেই পরিচয় ছিল। তবে তা প্রেমের সম্পর্ক নয়। একসময় কাব্য'র একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষক হিসেবে চাকরি হয়। ঘটনাক্রমে সেই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী রায়া। কিন্তু শিক্ষকতার জায়গা থেকে কাব্য রায়াকে তার ভালোবাসার কথা বলতে পারে না। তাই একসময় বাধ্য হয়ে কাব্য চাকরিটা ছেড়ে দিয়ে রায়াকে তার ভালোবাসার কথা জানায়। কিন্তু শেষতক কী হবে তাই জানতে অপেক্ষা করতে হবে আগামী ঈদ পর্যন্ত। এরইমধ্যে নাটকটির নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন জাকারিয়া শৌখিন। আগামী ঈদে একটি স্যাটেলাইট চ্যানেলে প্রচারের পর নাটকটি সাউন্ডটেক'র ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে। নাটকটিতে অভিনয় প্রসঙ্গে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব বলেন, 'এর আগেও শৌখিনের জলসা ঘর, যদি তুমি জানতে নাটকে অভিনয় করে বেশ সাড়া পেয়েছি। এই নাটকটি একটি মিষ্টি প্রেমের গল্প। তিশা আগের চেয়ে অভিনয়ে অনেক ভালো করছে। তার চরিত্রানুযায়ী নিজেকে ভাঙার চেষ্টাটা এভাবে অব্যাহত রাখা উচিত। আমরা দু'জনেই এ নাটকে ভালো করার চেষ্টা করেছি। ধন্যবাদ শৌখিনকে সুন্দর একটি গল্প লেখার জন্য।' তানজিন তিশা বলেন, 'এর আগে আমি অনেক ভালো ভালো নাটক নিয়ে দর্শকের উদ্দেশ্যে বলেছি নাটকগুলো দেখার জন্য। কিন্তু যে নাটক নিয়ে আমার প্রত্যাশা বেশি থাকে সেই নাটকই দর্শকের কাছে সাড়া পায় না। তাই, শুনতে কী পাও নাটক নিয়ে আগে থেকেই বেশি কিছু বলতে চাই না। তবে এটা সত্যি গল্পটা সত্যিই খুব সুন্দর। একেবারেই সময়োপযোগী একটি গল্পের নাটক।'