সংবাদ সংক্ষপে

প্রকাশ | ১৭ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

অনলাইন ডেস্ক
ইরানের পর অনন্ত বর্ষার তুরস্ক মিশন বিনোদন রিপোর্ট ইরান থেকে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন চিত্রনায়ক অনন্ত জলিল ও চিত্রনায়িকা বর্ষা। সেখানে মাসব্যাপী তাদের নতুন ছবি 'দিন : দ্য ডে'র শুটিং করেছেন। রোজার ঈদের আগের দিন বাংলাদেশি ইউনিট নিয়ে ইরান উড়াল দেন এ তারকা দম্পতি। ইরানের বিভিন্ন ঐতিহাসিক ও মনোরম লোকেশনে ছবিটির প্রায় পঁচাত্তর শতাংশের শুটিং করেছেন বলে জানিয়েছেন অনন্ত। এবার ইরান মিশন শেষে শুটিং করতে যাচ্ছেন তুরস্কে। এ প্রসঙ্গে অনন্ত জানিয়েছেন, এবার তুরস্কে এ ছবির বাকি অংশের শুটিং করবেন। আগামী কোরবানি ঈদের ছুটিতেই তুরস্কের অংশটুকু শেষ করার ইচ্ছে রয়েছে তার। সে লক্ষ্যে প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। ইরান যাওয়ার আগে বাংলাদেশেও ছবিটির শুটিং করেছেন তারা। এদিকে ইরানে শুটিং করা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'ইরানের ঐতিহাসিক স্থানগুলোর প্রতি গুরুত্ব দিয়ে আমরা শুটিং করেছি। বিভিন্ন দৃশ্যের পাশাপাশি গানেরও শুটিং করেছি ওখানে। বিশেষ করে আমি ও বর্ষা একটি ইরানি গানে অংশ নিয়েছি। গানটিও বেশ মেলোডিয়াস ছিল। এরমধ্যে ছবির চার ভাগের তিন ভাগ শুটিং শেষ হয়েছে।' ইরানে শুটিং শেষে চলতি সপ্তাহেই দেশে ফিরেছেন অনন্ত। উলেস্নখ্য, ইরানের সঙ্গে যৌথ প্রযোজনায় 'দিন : দ্য ডে' পরিচালনা করছেন ইরানি পরিচালক মুস্তফা অতাশ জমজম। চলতি বছরই ছবিটি মুক্তি দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে বলে অনন্ত জানিয়েছেন। হুমায়ূনের প্রয়াণ দিবসে 'কৃষ্ণপক্ষ' বিনোদন রিপোর্ট কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস ১৯ জুলাই। এই দিনকে ঘিরে বরাবরই বেশকিছু অনুষ্ঠান প্রচার করে চ্যানেল আই। এবারও হচ্ছে না তার ব্যতিক্রম। হুমায়ূন আহমেদের প্রয়াণ দিবস উপলক্ষে তার ১৮ জুলাই চ্যানেল আইয়ের পর্দায় দেখানো হবে তার উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত ছবি 'কৃষ্ণপক্ষ'। চ্যানেল আইয়ের অনুষ্ঠান বিভাগ থেকে জানানো হয়, বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে তিনটায় ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত 'কৃষ্ণপক্ষ' ছবিটি দেখানো হবে। মেহের আফরোজ শাওন পরিচালিত দুটি বিভাগে জাতীয় পুরস্কার পাওয়া এ চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রে আছেন রিয়াজ ও চিত্রনায়িকা মাহি। এছাড়া অভিনয় করেছেন ফেরদৌস আহমেদ, তানিয়া আহমেদ, মৌটুসী বিশ্বাস, আজাদ আবুল কালাম, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, ওয়াহিদা মলিস্নক জলি, মাসুদ আখন্দ ও ফারুক আহমেদ। প্রশংসিত নিরব বিনোদন রিপোর্ট ঢাকাই সিনেমার ক্ষেত্রে অধিকাংশ সময়ই উৎসব পার্বণে মুক্তি পাওয়া সিনেমা ছাড়া অন্য কোনো সিনেমা আলোচনায় আসতে দেখা যায় না। অনেক দিন পরেই এর ব্যতিক্রম ঘটলো সাইফ চন্দন পরিচালিত 'আব্বাস' সিনেমাটির ক্ষেত্রে। মুক্তির আগেই ছবিটির ট্রেলার ও গান ছবিটির প্রতি দর্শকের আগ্রহ তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিল। বিশেষ করে ছবিটিতে পুরান ঢাকার আঞ্চলিক ভাষার ব্যবহার ও নিরবের লুক আগ্রহী করে দর্শকদের। গেল ৫ জুলাই সারাদেশে মুক্তি পাওয়া 'আব্বাস' দ্বিতীয় সপ্তাহেও বেশ কিছু সিনেমা হলে চলছে। নিরব আব্বাস রূপে হাজির হয়ে দর্শকের মন জয় করতে সক্ষম হয়েছেন। তার বাস্তব প্রমাণ হলো এখন নিরবকে 'আব্বাস' নামে ডাকছেন অনেকেই। 'এই শহরে আব্বাস ২০ বছর ঘুমাই না' ছবির সংলাপটিও এখন ঘুরছে মানুষের মুখে মুখে। একথা বলার অপেক্ষা রাখে না ছবিটি নিরবের ক্যারিয়ারে নতুন পালক যোগ করলো। ছবিটির সাফল্যে বেশ উচ্ছ্বসিত নিরব। তিনি বলেন, 'সব সময় নিজেকে নতুনভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে ভালো লাগে। নতুন কিছু দর্শক গ্রহণ করলে আরও ভালো লাগে। 'আব্বাস' ছবিটির সাফল্য আমাকে অনেক অনুপ্রাণিত করেছে। প্রচুর ভালোবাসা পেয়েছি ছবিটির জন্য। এখনো পাচ্ছি। আমি মনে করি, ছবিটির সাফল্য আসলে ঢাকাই সিনেমার সাফল্য। আব্বাসের জয় হয়েছে, দর্শকদের হলে টানতে পেরেছে ছবিটি এটাই বড় ব্যাপার।' নিরব আরও বলেন, 'আব্বাসের মতো একটি চরিত্রে অভিনয় করা আমার জন্য বড় একটা চ্যালেঞ্জিং ছিল। অনেক কষ্ট করেছিলাম ছবিটির জন্য, সেই কষ্ট করা সার্থক হয়েছে। নির্মাতা সাইফ চন্দন ভালো একটি গল্প বাছাই করেছিলেন, নির্মাণেও মুন্সিয়ানা দেখাতে সক্ষম হয়েছেন। ভালো সিনেমা দর্শক যে গ্রহণ করেন আব্বাস সিনেমা তা আবারও প্রমাণ করেছে।' ছবিটিতে নিরবের বিপরীতে অভিনয় করেছেন সোহানা সাবা।