নুহাশপলস্নীতে হুমায়ূন আহমেদের মৃতু্যবার্ষিকী পালিত

প্রকাশ | ২০ জুলাই ২০১৯, ০০:০০

বিনোদন রিপোর্ট
বাংলাদেশের কিংবদন্তি কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের সপ্তম মৃতু্যবার্ষিকী গতকাল শুক্রবার বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে গাজীপুরের নুহাশপলস্নীতে পালিত হয়েছে। সকালে হুমায়ূন আহমেদের ভাই-বোন, শ্বশুর এবং নুহাশপলস্নীর কর্মচারী ও ভক্তসহ হিমু পরিবহনের সদস্যরা কবর জিয়ারত ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সকাল ১০টার দিকে হুমায়ূন আহমেদের শ্বশুর প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী ও নুহাশপলস্নীর কর্মচারীরা কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ এবং কবর জিয়ারত করেন। পরে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে প্রয়াত লেখকের ছোট ভাই কার্টুনিস্ট এবং মাসিক উন্মাদের সম্পাদক ও প্রকাশক মো. আহসান হাবীব, তার স্ত্রী আফরোজা আমিন, বোন সুফিয়া হায়দার, রোকসানা আহমেদ, অন্য প্রকাশের নির্বাহী মো. মাজহারুল ইসলাম, আগামী প্রকাশনীর মালিক ওসমান গণি, অভিনেতা সৈয়দ হাসান সোহেল প্রমুখ লেখকের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান এবং তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাত করেন। এ বছর দেশের বাইরে থাকায় লেখকের স্ত্রী মেহের আফরোজ শাওন এবং তার দুই ছেলে নিশান ও নিনিদ তার সপ্তম মৃতু্যবার্ষিকীর কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি। কবর জিয়ারত শেষে প্রয়াত লেখক হুমায়ূন আহমেদের ছোট ভাই আহসান হাবিব জানান, হুমায়ূন আহমেদের সকল স্বপ্ন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হয়নি। তবে তার অনেক স্বপ্নই বাস্তবায়িত হয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতাল নির্মাণসহ অনেক স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে রয়েছে। এ সময় তিনি প্রকাশক ও সংশ্লিষ্টদের প্রতি হুমায়ূন আহমেদের লেখাগুলো নির্ভুলভাবে প্রকাশের অনুরোধ করেন। আহসান হাবিব আরও বলেন, হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে পারিবারিকভাবে একটি মিউজিয়াম স্থাপনেরও পরিকল্পনা রয়েছে। তাকে নিয়ে একটি আর্কাইভ নির্মাণ করা হয়েছে। হিমু পরিবহনের সভাপতি মো. আসলাম হোসেন জানান, তারা সকালে ঢাকা, ফরিদপুর, নরসিংদী ও গাজীপুর থেকে ৬০ জন হিমু নুহাশপলস্নীর কর্মসূচিতে যোগ দেন। হিমুরা ৪০ জেলায় একযোগে তাদের প্রিয় লেখকের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করছে। তার মধ্যে বৃক্ষরোপণ, চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, বইমেলা রয়েছে। হিমুদের উদ্যোগে ইতোমধ্যে ১০টি জেলা পাঠাগার স্থাপন করা হয়েছে।